স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনরায় খোলার প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে একটি গাইড লাইন প্রকাশ করেছে শিক্ষা অধিদপ্তর। এ গাইডলাইন অনুসরণ করে স্কুল-কলেজগুলো প্রস্তুতি নিচ্ছে কিনা তা পরিবীক্ষণ বা মনিটরিং করবেন মাঠপর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তারা। গাইডেড অনুসরণ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি মনিটরিংয়ের মাধ্যমে নিশ্চিত করবেন তারা। একইসাথে এ বিষয়ে প্রতিবেদন পাঠাবেন শিক্ষা অধিদপ্তরে।
বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ নির্দেশনা দিয়ে চিঠি জেলা-উপজেলা শিক্ষা অফিস ও আঞ্চলিক পরিচালকের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
অধিদপ্তর বলছে, গাইড লাইন অনুসরণ করে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্যসম্মত নিরাপদ ও আনন্দময় প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেদের প্রস্তুত করছে কিনা তা পরীক্ষা করা প্রয়োজন সেই লক্ষ্যে সকল আঞ্চলিক পরিচালক জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিজ জেলা ও উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা তা পরিবীক্ষণ এর মাধ্যমে নিশ্চিত করবেন। কোন প্রতিষ্ঠান গাইডলাইন বাস্তবায়ন করতে না পারলে কেন পারছে না তা ইমেইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মনিটরিং ও ইভ্যালুয়েশন উইংয়ের পরিচালক কে জানাতে হবে।
করোনা মোকাবেলার পাশাপাশি মুজিব বর্ষ উপলক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো স্থায়ীভাবে স্বাস্থ্যসম্মত নিরাপদ আনন্দময় প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে গাইডলাইন অনুসরণ করে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে কিনা তা মনিটরিং করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে আঞ্চলিক পরিচালক, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের।
গত ২২ জানুয়ারি করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা গাইডলাইন প্রকাশ করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। এ গাইডলাইন অনুসরণ করে চার ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে খোলার প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। এবার সে প্রস্তুতি মনিটরিং বা পরিবীক্ষণ করার নির্দেশনা দেয়া হলো মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তাদের।
কোভিড ১৯ পরিস্থিতিতে আবার খুলে দিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে শিক্ষার্থী-শিক্ষক, কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ ও আনন্দময় পরিবেশ সৃষ্টি করতে কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা গ্রহণের তাগিদ দেয়া হয়েছে।
গাইড লাইন মেনে ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। একই সাথে, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ পাওয়া মাত্র শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার গাইডলাইনে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সর্বোচ্চ প্রাধান্য পেয়েছে। তিন ফুট দূরত্বে ক্লাসরুমের বেঞ্চগুলোকে স্থাপন করতে বলা হয়েছে। পাঁচ ফুটের কম দৈর্ঘ্যের একজন শিক্ষার্থী এবং ৫ থেকে ৭ ফুট দৈর্ঘ্যের বেঞ্চে দুইজন শিক্ষার্থী স্বাস্থ্যবিধি মেনে গাইডলাইন অনুসারে ক্লাস করতে পারবে। স্কুলে ঢোকার আগেই থার্মোমিটার দিয়ে তাপমাত্রা পরীক্ষা করার কথাও বলা হয়েছে।
গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে।পরবর্তীতে এ ছুটি কয়েক দফায় বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো হয়েছিল।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।