ক্যাশলেস পেমেন্টকে আরো উৎসাহ দিতে কোরবানির পশুর হাটেও স্মার্ট পেমেন্টে কেনাবেচার আয়োজন করেছে দেশের সেরা মোবাইল আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান নগদ। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অংশ হিসেবে চলতি বছর কোরবানির হাটে এ সেবা চালু করা হয়েছে। নগদের মাধ্যমে পেমেন্ট করে পশু বেচাকেনা করলে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার পাশাপাশি গ্রাহকেরা পাবেন আকর্ষণীয় উপহার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগ এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনায় দুই শহরে চালু হয়েছে দশটি স্মার্ট পশুর হাট। পাশাপাশি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স এসোসিয়েশন স্মার্ট হাট পরিচালনায় সার্বিক সহায়তা দিচ্ছে। স্মার্ট হাটগুলোতে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের নানারকম সেবা দিতে উপস্থিত রয়েছে নগদ-এর বুথ ও দক্ষ কর্মীরা।
ক্যাশলেস লেনদেন প্রসারে সরকারের প্রতিটি উদ্যোগে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে নগদ। তারই অংশ হিসেবে এবারও রাজধানী ঢাকার দুটি স্মার্ট হাটে ক্যাশলেস লেনদেন নিশ্চিত করার দায়িত্ব পেয়েছে মোবাইল আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠানটি। হাট দুটি হলো, দেশের সবচেয়ে বড় পশুর হাট গাবতলী এবং রাজধানীর আরেকটি বৃহৎ কোরবানির পশু হাট বছিলা।
হাট দুটিতে নগদের মাধ্যমে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকার পশু কেনা বা বিক্রি করে গ্রাহক পাবেন আকর্ষণীয় টি-শার্ট, ক্যাপ, মগ, চাবির রিং ও কলম। বিভিন্ন ধাপের কেনাবেচায় এসব উপহার পাওয়া যাচ্ছে।
স্মার্ট হাটকে সামনে রেখে নগদ আগে থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে খামারিদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম চালিয়েছে। এ ছাড়া যেসব খামারির ট্রেড লাইসেন্স আছে, তাদের অনেককেই উদ্যোক্তা অ্যাকাউন্ট খুলে দেয়া হয়েছে। ফলে খামারিরা এই হাটে পশু বিক্রি করে কোনোরকম ক্যাশ টাকা বহন না করেই বাড়ি ফিরে যেতে পারবেন।
এ ছাড়া এই হাটগুলোতে নগদ অ্যাকাউন্টে পশু বিক্রির অর্থ গ্রহণ করার পর চাইলে সেই টাকা সর্বনিন্ম খরচে ক্যাশ আউট করতে পারবেন হাটেই অবস্থিত নগদ বুথ থেকে। একই সঙ্গে আগ্রহী ক্রেতাও বুথ থেকেই ক্যাশ-ইন করিয়ে নিতে পারবেন চাহিদা মতো। তাছাড়া ক্যাশ লেনদেনে পশু বিক্রি করা অর্থ খামারি চাইলে তার নিজের নগদ অ্যাকাউন্টে ক্যাশ ইন করতে পারবেন। বা বাড়িতে কারো অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে সেটিকে নিরাপদ করতে পারবেন। আবার নগদ অ্যাকাউন্ট না থাকলেও হাটে অবস্থিত বুথ থেকেই সহজে অ্যাকাউন্ট খুলে নেয়া যাবে।
স্মার্ট পশুর হাট নিয়ে নগদ-এর উদ্যোগ সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানটির পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বলেন, যেকোনো ডিজিটাল উদ্যোগের সঙ্গে নগদ সব সময় সবার আগে এগিয়ে আসে। ২০২৭ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে দেশের ৭৫ শতাংশ লেনদেনকে ক্যাশলেস পেমেন্টের আওতায় আনার যে উদ্যোগ সরকার নিয়েছে, তার সঙ্গে আমরা একাত্ম হয়ে কাজ করছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের এই উদ্যোগ সফল করতে নগদ শুরু থেকে কাজ করে আসছে। আমরা খামারি ও ক্রেতাদের পাশে থেকে এমন মহৎ উদ্যোগকে সফল করতে সচেষ্ট। আমরা বিশ্বাস করি নগদ ব্যবহারে ক্যাশলেস লেনদেন গ্রাহককে সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তা দিতে পারে, নিশ্চিত করতে পারে স্বাচ্ছন্দ্য। ক্যাশলেস লেনদেনের এই পক্রিয়ায় জাল টাকা ব্যবহারের আশংকা রোধ করবে এবং তাছাড়া সংশ্লিষ্ট অপরাধ দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
স্মার্ট হাট ছাড়াও গত কয়েক বছরের মতোই এবার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অনলাইনে কোরবানি পশু কেনাবেচা জমে উঠেছে। এখানেও হাজার হাজার পশু কেনাবেচা হবে। এসব অনলাইনেও পশু কেনাবেচায় পেমেন্ট মাধ্যম হিসেবে নগদ গ্রাহকের প্রথম পছন্দ।