অপহরণের পর কেটে ছয় টুকরো করে সাগরে ভাসিয়ে দেওয়া শিশু আয়াতের শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন মাথা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গতকাল (৩০ নভেম্বর) পাওয়া দুই পায়ের পর এবার মাথাসহ এ নিয়ে শরীরের তিনটি খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করা হলো।
বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে নগরীর ইপিজেড থানার আকমল আলী রোডের শেষপ্রান্তে নালাসংলগ্ন স্লুইস গেট এলাকা থেকে মাথাটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত ১৫ নভেম্বর বিকেলে আয়াত নিখোঁজ হন।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে স্লুইস গেটে আটকে থাকা পানির মধ্যে জমা পলিথিনে তল্লাশি করে মাথাটি পাওয়া যায়। আবির আলী যেভাবে বর্ণনা দিয়েছিলেন সেভাবেই ‘টেপ মোড়ানো পলিথিনের ভেতরে মাথাটি পাওয়া গেছে।
ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলে আয়াতের স্বজনরা যাচ্ছেন।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে একই এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন দুই পায়ের অংশ পাওয়া যায়।
পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটের পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা জানান, সিটি করপোরেশন, সিডিএ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় স্লুইস গেটের চারটি প্রকোষ্ঠের পানিপ্রবাহ বন্ধ করে দেওয়ার পর একটি প্রকোষ্ঠে আটকে যাওয়া পলিথিনে পা দু’টি পাওয়া যায়, যেগুলো আবিরের বর্ণনামতো পলিথিনের ভেতর টেপ দিয়ে মোড়ানো ছিল।
উল্লেখ্য, গত ১৫ নভেম্বর বিকেলে নগরীর ইপিজেড থানার দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের নয়ারহাট এলাকার বাসিন্দা সোহেল রানার মেয়ে চার বছর ১১ মাস বয়সী আলীনা ইসলাম আয়াত নিখোঁজ হন।
১০ দিন পর ২৪ নভেম্বর পিবিআই আবির আলীকে গ্রেপ্তারের পর জানায়, আয়াতকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ কেটে ছয় টুকরো করে আবির। এরপর সেগুলো সাগরে ভাসিয়ে দেয়।