সড়ক সম্প্রসারণে কাটা হচ্ছে শতবর্ষী গাছ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি |

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে সড়ক সম্প্রসারণে কাটা হচ্ছে শতবর্ষী ও ঐতিহ্যবাহী বট গাছ। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। শুধু তাই নয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই  নিন্দা জানিয়েছেন অনেকেই। স্থানীয়দের দাবি গাছটি রক্ষা করে মহাসড়ক সম্প্রসারণের কাজ করার। 

জানা গেছে, উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের মাটিকাটা মোড় থেকে জোড়গাছ সড়কের পোস্ট অফিসের সামনে একটি শতবর্ষী জীবিত বট গাছ অন্য গাছের মতো সড়ক সম্প্রসারণের জন্য কাটার প্রস্তুতি নিচ্ছেন শ্রমিকরা। এর মধ্যে বট গাছটির কিছু ডালপালা কেটে ফেলা হয়েছে।  এতে স্থানীয়দের বাধার মুখে গাছটি কাটা বন্ধ রয়েছে। শতবর্ষী এই বট গাছটি রক্ষার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

থানাহাট ইউনিয়নের কলেজ মোড় এলাকার জিয়াউর রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন, চিলমারী ইতিহাসের পরিচয় বহনকারী চিলমারী পোস্ট অফিস, ভূমি অফিসের সামনে থানাহাট পুরাতন বাজার নাম স্থানে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা বট ও পাকড় গাছ দুটির একটি, যা কি না রাস্তায় জায়গা প্রয়োজনের নামে কেটে ফেলা হচ্ছে। চিলমারী বন বিভাগ, চিলমারী ত্রাণ ও দুর্যোগ শাখা ও চিলমারী পবিবেশ আন্দোলন কমিটির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে গাছটি না কাটার আবেদন জানিয়েছেন।

রেল-নৌ, যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটির সাবেক সভাপতি নাহিদ হাসান বলেন, রাস্তা তো দুই পাশে সম্প্রসারিত হবে না। হবে একদিকে। গাছ কাটা পড়লে একদিকের গাছ কাটা পড়বে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে উভয়পাশের গাছই কাটা হচ্ছে। এই গাছগুলোর বয়স গড়ে অর্ধশতাব্দী। আমরা চাই যেগুলো কাটা হয়েছে, সেগুলো তো হয়েছেই। বাকি গাছগুলো যেন কাটা না হয়। 

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রুকুনুজ্জামান শাহীন বলেন, গাছগুলো চিলমারীর ঐতিহ্যবহন করে। আমি জনগণের দাবির পক্ষে সহমত পোষণ করি। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে অনেক কিছুই সেক্রিফাইজ করতে হয়। এই সড়কটি গাইবান্ধা জেলার সঙ্গে সংযোগ হবে। ইতিমধ্যে হরিপুর ব্রিজের কাজও শেষের পথে।

চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  (ইউএনও) মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, এই সড়কটি সম্প্রসারণের জন্য কাটা হচ্ছে। এটা আন্তঃজেলা সড়ক হবে। চিলমারী হয়ে হরিপুর গাইবান্ধায় সংযোগ হবে। এছাড়া জেলা পরিষদের মাধ্যমে টেন্ডারের আওতায় বৈধভাবে গাছগুলো কাটা হচ্ছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ভিসি নিয়োগের দাবিতে এবার উত্তরবঙ্গ ব্লকেড বেরোবি শিক্ষার্থীদের - dainik shiksha ভিসি নিয়োগের দাবিতে এবার উত্তরবঙ্গ ব্লকেড বেরোবি শিক্ষার্থীদের দীপু মনি-রতন সিন্ডিকেটের ফিরোজই শিক্ষা অধিদপ্তরের এ ডি! - dainik shiksha দীপু মনি-রতন সিন্ডিকেটের ফিরোজই শিক্ষা অধিদপ্তরের এ ডি! ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণার দাবি জামায়াতের - dainik shiksha ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণার দাবি জামায়াতের শিক্ষক আত্মগোপনে দায়িত্বে ছাত্ররা - dainik shiksha শিক্ষক আত্মগোপনে দায়িত্বে ছাত্ররা ভারতে পাঠ্যবই ছাপানোর বিপক্ষে ৯২ শতাংশ বাংলাদেশি - dainik shiksha ভারতে পাঠ্যবই ছাপানোর বিপক্ষে ৯২ শতাংশ বাংলাদেশি পেছালো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষা - dainik shiksha পেছালো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষা ভয়ংকর বিপদের মধ্যে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী - dainik shiksha ভয়ংকর বিপদের মধ্যে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী প্রশ্নফাঁসের মামলায় ১০ জনের কারাদণ্ড, খালাস ১১৪ - dainik shiksha প্রশ্নফাঁসের মামলায় ১০ জনের কারাদণ্ড, খালাস ১১৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ ও সবুজায়নের তথ্য আহ্বান - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ ও সবুজায়নের তথ্য আহ্বান কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0025157928466797