রাস্তা পার হতে যাওয়া এক পথচারীকে বাঁচাতে গিয়ে ঝিনাইদহের কালিগঞ্জে ঘটে এই মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনা। তাকে বাঁচাতে বাস চালক হঠাৎ ব্রেক করলে বাসটি রাস্তার উপর আড়াআড়িভাবে উল্টে যায়। এ সময় দ্রুত গতিতে আসা একটি ট্রাক বাসটির মাঝ বরাবর ধাক্কা দেয়। এতে বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সময় ১০ যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আহত হন ৩৫ জন।
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কের বারোবাজার নামক স্থানে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। আহতদের যশোর ও ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে নিহতদের মধ্যে চারজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন-কালীগঞ্জ উপজেলার মোস্থাফিজুর রহমান (২৫), চুয়াডাঙ্গার ডিঙ্গেদহের রেশমা (২৫), চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার নাকদহের ওলিউল আলম (২৬) ও ঝিনাইদহ সদরের ইউনুচ আলী (২৬)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার জে কে পরিবহনের একটি বাস যাত্রী নিয়ে কুষ্টিয়ার দিকে যাচ্ছিল। বাসটি বারোবাজার পার হয়ে আমজাদ আলী ফিলিং স্টেশনের সামনে পৌঁছলে রাস্তা পারাপাররত পথচারীকে বাঁচাতে গিয়ে ব্রেক করে। এতে বাসটি উল্টে রাস্তার ওপর পড়ে যায়। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক বাসের মাঝামাঝি সজোরে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন কামাল হোসেন বলেন‘আমি যশোর শহরের চাঁচড়া মোড় থেকে বাসে উঠি। বাসটি বেপরোয়াভাবে চলছিল। সড়কের বারোবাজার শহর পার হয়ে কিছু দূর আসতেই একটি ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এরপরই বাসটি উল্টে যায়। এরপর কী হয়েছে আমি আর বলতে পারব না।’ কালীগঞ্জ দমকল বাহিনীর স্টেশন অফিসার মামুনুর রশিদ বলেন,‘আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখি বাসটি (ঢাকা-মেট্রো-গ-১১০২১৪) রাস্তার ওপর উল্টে পড়ে আছে। সেখান থেকে ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া আহতদের যশোর ও কালীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’