সাভার থানা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিলশাদ হোসেনকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হত্যা মামলায় আসামি বানানোর কথা বলে টাকা দাবির অভিযোগে রাতুল ইসলাম রাহিম (২৬) নামে এক প্রতারককে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জীবন রহমান পলাতক রয়েছেন।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে সাভার থানা রোডের প্রাইম হাসপাতালের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। সোমবার দিবাগত মধ্য রাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক মাহবুবুর রহমান।
আটক রাতুল ইসলাম সাভারের গেন্ডা এলাকার বাসিন্দা। তিনি সাভারের সিটি সেন্টারের দর্জিবাড়ি নামের একটি দোকানের ম্যানেজার পদে কর্মরত ছিলেন।
ভুক্তভোগী দিলশাদ হোসেন বলেন, গত ২৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে আটক রাতুল ইসলাম রাহিম আমার শ্যালক জাহাঙ্গীর আলম ইমনের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে দেখা করতে বলেন। তার কথা অনুযায়ী জাহাঙ্গীর আলম ইমন প্রতারক রাতুল ইসলাম রাহিম ও জীবন রহমানের সঙ্গে সাভার রাজ্জাক প্লাজার সামনে দেখা করেন। সেই সময় রাহিম আমাকে ও আমার শ্যালককে ছাত্র আন্দোলন সংক্রান্ত একটি হত্যা মামলায় ছাত্রলীগ ও সেচ্ছাসেবক লীগের নেতা বানিয়ে নাম অন্তর্ভুক্ত করবে বলে জানান। চল্লিশ হাজার টাকা দিলে আমাদের নাম প্রত্যাহার করে নেওয়ারও আশ্বাস দেন। পরে আমি সাভার মডেল থানায় বিষয়টি নিয়ে কথা বলি।
তিনি আরও বলেন, সাভার মডেল থানার পরিদর্শক জুয়েল মিঞার পরামর্শে টাকা দিতে রাজি হই। পরে তাকে থানা রোডের প্রাইম হাসপাতালের সামনে আসতে বললে পুলিশ তাকে হাতেনাতে আটক করে।
এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক মাহবুবুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগী দিলশাদ হোসেনের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে আগে থেকেই ওত পেতে থাকে পুলিশ। পরে দিলশাদের কাছে রাহিম টাকা নিতে আসেন। তার কাছে টাকা নেয়ার সময় রাহিমকে হাতেনাতে আটক করা হয়।
সাভার মডেল থানার পরিদর্শক জুয়েল মিঞা বলেন, আটক রাহিমের বিরুদ্ধে মামলা মামলা দায়েরের পর মঙ্গলবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে।