রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবাসিক হলগুলো খুলে তারপর স্থগিত থাকা পরীক্ষাগুলো নেয়ার দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। আর হল-ক্যান্টিন বন্ধ রেখেই ২০ জুন থেকে স্থগিত পরীক্ষা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নেয়া সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করেছেন তারা। একই সাথে দাবি মানতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ১০ দিনের আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে। হল-ক্যান্টিন খুলে স্থগিত থাকা পরীক্ষা শুরুর সিদ্ধান্ত না নিলে ১৭ জুন থেকে ফের আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে তারা।
আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’
রোববার (৬ জুন) পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরির পিছনে পরিবহন মার্কেটে এক সংবাদ সম্মেলন করে দাবি মানতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আহ্বান জানান শিক্ষার্থীরা।
গত বৃহস্পতিবার (৩ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, ডিন, সকল বিভাগীয় সভাপতিদের সম্মিলিত এক বৈঠকে ২০ জুনের পর ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের স্থগিত পরীক্ষাগুলো ও ৪ জুলাইয়ের পর ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের পরীক্ষাগুলো নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু আবাসিক হলগুলে সম্পূর্ণ বন্ধ রেখেই পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনভ
এর প্রেক্ষিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মনগড়া অকার্যকর সিদ্ধান্তের মাধ্যমে পরীক্ষা নেয়ার যে ঘোষণা দিয়েছে, তার পূর্ণ রূপরেখা হাজির করতে হবে। প্রশাসনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করে সব আবাসিক হল-ক্যান্টিন না খুলে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। একইসাথে সব বর্ষের পরীক্ষা ও প্রয়োজনীয় ক্লাস শুরুর দাবি জানান ৷ এই সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ১০ দিনের আলটিমেটাম দেন। দাবি না মানলে আগামী ১৭ জুন থেকে পুনরায় আন্দোলনে যাওয়ার হুশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন
লিখিত বক্তব্যে শিক্ষার্থীরা কয়েকদফা দাবি তুলে ধরেন। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো, স্বাস্থ্যবিধি মেনে হল ও ক্যাম্পাস দ্রুত খুলে দিতে হবে, দ্রুত সময়ের মধ্যে বিভিন্ন বর্ষের আটকে থাকা পরীক্ষাগুলো নিতে হবে, অল্প সময়ে সকল বর্ষের ক্লাস-পরীক্ষা নেয়ার পরিবেশ তৈরি করতে হবে, সেশনজট এড়াতে সকল প্রকার কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে, দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষক- শিক্ষার্থীসহ কর্মচারীদের টিকার আওতায় আনতে হবে, শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যাম্পাসে করোনা ইউনিট ও আইসোলেশনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক স্টাডিস বিভাগের শিক্ষার্থী মহব্বত হোসেন মিলন, গণিত বিভাগের মারুফ, ফলিত গণিত বিভাগের রেজাউল ইসলাম, আরবি বিভাগের মাহফুজ আনাম, গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুমা আক্তার, উম্মে হাবিবাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের অন্যান্য শিক্ষার্থীরা।