হাইকোর্টের রায় প্রত্যাখ্যান, মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের দাবি ঢাবি শিক্ষার্থীদের

আমাদের বার্তা, ঢাবি |

সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহাল করা নিয়ে হাইকোর্টের রায় প্রত্যাখ্যান করে মানববন্ধন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা।

সরকারি নিয়োগের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের প্রজ্ঞাপনকে অবৈধ ঘোষণা করে উচ্চ আদালত রায়ের পরেই বুধবার (৫ জুন) সন্ধ্যায় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিক্ষোভ মিছিল করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। 

বিক্ষোভ মিছিলে শতাধিক শিক্ষার্থীকে কোটাবিরোধী প্ল্যাকার্ড হাতে নেয় বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। পরে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রদক্ষিণ করে কেন্দীয় পাঠাগারে এসে শেষ করেন।

এ সময় বিক্ষোভ মিছিলে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদুল ইসলাম বলেন, আমার হাইকোর্টের এই রায়কে অবৈধ মনে করছি এবং এর তীব্র নিন্দা জানাই। যদি হাইকোর্টের এই রায় বহাল থাকে তাহলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাবো। আমরা ১৮ খ্রিষ্টাব্দে বলেছিলাম সরকারি চাকরিতে যেনো মেধাকে গুরুত্ব দেয়া হয়। সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা থাকা কোনো দেশের বৈশিষ্ট্য হতে পারে না। সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে হাইকোর্ট কিসের ভিত্তিতে এই রায় দিলো এটা আমরা জানি না। এক্ষেত্রে সরকার যদি কোনো সিদ্ধান্তে আসতে চায় তাহলে অবশ্যই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে আসতে হবে। 

তিনি আরো বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির সূর্য সন্তান। তাদেরকে যতো ধরনের মর্যাদা দেয়া প্রায়োজন রাষ্ট্র তা দিয়ে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও দেবে। যখন দেশে বেকারত্বের এই অবস্থা, সরকার দেশের  শিক্ষার্থীদেরকে চাকরি দিতে পারছে না,  সেখানে সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা এবং সার্বিকভাবে এই কোটা ৫৬ শতাংশ।  

আমরা হাইকোর্টের এই রায় প্রত্যাখ্যান করলাম। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে যে রায় দিয়েছিলো সেই রায়ে অটল থাকতে হবে। এ সময় আগামীকাল বিকেল পাঁচটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ফের বিক্ষোভ করার ঘোষণা দেয় তারা।   

বিক্ষোভ সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হাসিবুল ইসলাম। আরো উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী আবু বকর জাকারিয়া, ফারসি বিভাগের শিক্ষার্থী রানা, আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী সায়েদসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ইউএনওর ‘মানসিক নির্যাতনে’ শিক্ষকের মৃত্যুর অভিযোগ - dainik shiksha ইউএনওর ‘মানসিক নির্যাতনে’ শিক্ষকের মৃত্যুর অভিযোগ শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতির সভা ১৮ সেপ্টেম্বর - dainik shiksha শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতির সভা ১৮ সেপ্টেম্বর সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! - dainik shiksha সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! নাহিদ-দীপুর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিই মাউশি অধিদপ্তরের ডিজি হচ্ছেন! - dainik shiksha নাহিদ-দীপুর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিই মাউশি অধিদপ্তরের ডিজি হচ্ছেন! শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- জানতে চায় অধিদপ্তর - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- জানতে চায় অধিদপ্তর এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি অন্যকে সুযোগ দেয়ার জন্য নয়: সারজিস - dainik shiksha এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি অন্যকে সুযোগ দেয়ার জন্য নয়: সারজিস কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0044939517974854