হাসিনাসহ ৩৪৭ জনের বিরুদ্ধে কলেজছাত্রী নাফিসা হ*ত্যা মামলা

দৈনিকশিক্ষাডটকম প্রতিবেদক |

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাসহ ৩৪৭ জনকে আসামি করে সাভার মডেল থানায় আরো একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ভোরে নাফিসা হোসেন মারুয়া (১৭) নামের এক কলেজছাত্রীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় নিহতের বাবা আবুল হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান। এ নিয়ে পতিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে সাভার মডেল থানায় ১১টি মামলা দায়ের করা হলো।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট দুপুরে সাভার মডেল মসজিদ কমপ্লেক্সের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান গাজীপুরের টঙ্গীর সাহাজউদ্দিন সরকার স্কুল ও কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী নাফিসা হোসেন মারুয়া।

মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে পরস্পরের যোগসাজশে অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দাঙ্গা-হাঙ্গামা, মারপিট ও গুলিবর্ষণ করে হত্যা ও হত্যার হুকুম দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

শেখ হাসিনা ছাড়াও মামলায় আসামির তালিকায় রয়েছেন—আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, তার সাবেক একান্ত সচিব শামীম আহমেদ, সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সাভার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব, তার ভাই ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফকরুল আলম সমর, সাভার পৌরসভার সাবেক মেয়র ও সাভার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল গনিসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

মামলার বাদী গাজীপুর সদরের বাসিন্দা আবুল হোসেন। পেশায় চা বিক্রেতা আবুল হোসেনের দুই মেয়ের মধ্যে বড় ছিলেন নাফিসা হোসেন মারুয়া (১৭)।

আবুল হোসেন জানান, তার শ্বশুড়বাড়ি সাভারের বক্তারপুরে। স্ত্রী কুলসুম বেগম কুয়েত প্রবাসী। তিনি বলেন, "আমার মেয়ে কিছুদিন সাভারে পড়াশোনা করেছে। বন্ধুদের সঙ্গে সাভারে আন্দোলনে যোগ দিতে যায় নাফিসা। বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। মেয়ের বন্ধুদের কাছ থেকে খবর পেয়ে মেয়ের নিথর দেহ দেখে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ি। আমাদের কতই না আশা ছিল আদরের মেয়েকে নিয়ে। এখন অবশিষ্ট জীবন আমাদের সেই দুঃসহ যন্ত্রণা বয়ে বেড়াতে হবে।’


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
আগের নিয়মে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গ্রন্থাগারিক নিয়োগের দাবি - dainik shiksha আগের নিয়মে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গ্রন্থাগারিক নিয়োগের দাবি শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধিদের সাক্ষাৎ - dainik shiksha শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধিদের সাক্ষাৎ মাদকের গডফাদারদের ধরার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার - dainik shiksha মাদকের গডফাদারদের ধরার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার শিক্ষা প্রশাসনে বদলি আতঙ্কে নাহিদ-দীপু সিন্ডিকেটের ৯২ কর্মকর্তা - dainik shiksha শিক্ষা প্রশাসনে বদলি আতঙ্কে নাহিদ-দীপু সিন্ডিকেটের ৯২ কর্মকর্তা দীপু মনি-রতন সিন্ডিকেটের ফিরোজই শিক্ষা অধিদপ্তরের এ ডি! - dainik shiksha দীপু মনি-রতন সিন্ডিকেটের ফিরোজই শিক্ষা অধিদপ্তরের এ ডি! বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের হাতাহাতি, সভা পণ্ড - dainik shiksha বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের হাতাহাতি, সভা পণ্ড শিক্ষকদের বদলির বিষয়ে সর্বশেষ - dainik shiksha শিক্ষকদের বদলির বিষয়ে সর্বশেষ অগ্রসর সমাজ তৈরির লক্ষ্যই বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন - dainik shiksha অগ্রসর সমাজ তৈরির লক্ষ্যই বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0035378932952881