এখন থেকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সুবিধাভোগীদের বৃত্তি, অনুদান, সম্মানীসহ অন্যান্য ভাতা বিতরণ করবে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ।
গত বুধবার বিকাশের প্রধান কার্যালয়ে বিকাশ ও হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের মধ্যে এ সম্পর্কিত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব ডা. দিলীপ কুমার ঘোষ ও বিকাশের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ। অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য রাজেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ, নান্টু রায়, রেখা রানী গুন ও প্রকল্প পরিচালক রণজিৎ কুমার এবং বিকাশের গভর্নমেন্ট পার্টনারশিপ বিভাগের প্রধান মাসরুর চৌধুরী সহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এ চুক্তির ফলে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের বৃত্তি, অনুদানসহ সব ধরণের ভাতা খুব সহজে, ঝামেলাহীনভাবে ও দ্রুততার সাথে ভাতাভোগীদের বিকাশ অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে। এই টাকা ক্যাশ আউট করতে ভাতাভোগীদের কোন ফি দিতে হবে না। তাছাড়া, বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকেই উপকারভোগীরা সেন্ড মানি, ক্যাশ আউট, মোবাইল রিচার্জ, সব ধরণের পরিষেবার বিল পরিশোধ, কেনাকাটার পেমেন্টসহ প্রয়োজনীয় নানা সেবা ব্যবহার করতে পারবেন।
হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব এবং ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ডা. দিলীপ কুমার ঘোষ বলেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কল্যাণসহ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিপূর্ণ সহাবস্থান এবং শান্তিপূর্ণ সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য বর্তমান সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। বিকাশের সাথে যে শুভ সূচনা হয়েছে তা কল্যাণ ট্রাস্টের বৃত্তি, অনুদান ও অন্যান্য ভাতা বিতরণ কার্যক্রমকে আরো সহজ করবে।
বিকাশের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ বলেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সার্বিক কল্যাণ সাধনে সরকারী এই উদ্যোগের অংশীদার হতে পেরে আমরা আনন্দিত। এ চুক্তির মাধ্যমে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সাথে যে যাত্রা শুরু হলো তা ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ পরিসরে এগিয়ে নিয়ে যাবে বিকাশ।
২০১৭ খ্রিষ্টাব্দ শুরু করে এখন পর্যন্ত সারা দেশের কোটি উপকারভোগীর কাছে সরকারের প্রণোদনা ও ভাতা সহজেই পৌঁছে দিয়ে সফলতার উদাহরণ তৈরি করেছে বিকাশ। স্বচ্ছতা, নিরাপত্তা ও দ্রুততার সাথে ভাতা বিতরণকে সাশ্রয়ী করে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের অন্যতম সহযোগী হয়ে উঠেছে বিকাশ।