প্রতিবেশী দেশের হিন্দুদের ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা তুলে ধরে এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। তিনি বলেছেন, এই সীমা লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে ‘এত বেশি নীরবতা’ যথাযথ নয়।
‘তথাকথিত নৈতিকতার ফেরিওয়ালা, মানবাধিকারের রক্ষকদের’ এই ‘বধিরের নীরবতা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ভারতের উপরাষ্ট্রপতি। এর মধ্য দিয়ে তাদের অবস্থান প্রকাশিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
আজ শুক্রবার ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন জগদীপ ধনখড়। তিনি বলেন, এমন কিছুর ভাড়াটে ব্যক্তি রয়েছেন, যা সম্পূর্ণরূপে মানবাধিকারের বিরোধী।
জগদীপ ধনখড় বলেন, ‘আমরা অনেক বেশি সহনশীল এবং এ ধরনের সীমা লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে এত বেশি সহনশীল হচ্ছি, যেটা ঠিক নয়।’ প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘ভাবুন, আপনি যদি ওই ব্যক্তিদের একজন হতেন, তাহলে কেমন হতো। দেখুন ছেলে, মেয়ে ও নারীরা কেমন নিষ্ঠুরতা, নির্যাতন, মানসিক নিপীড়নের শিকার হচ্ছে।’ হিন্দুদের ধর্মীয় স্থানগুলো কীভাবে আক্রান্ত হচ্ছে, সে বিষয়েও মনোযোগ দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
অবশ্য কোনো দেশের নাম উল্লেখ করেননি ভারতের উপরাষ্ট্রপতি। তবে বাংলাদেশে আগস্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর হিন্দুদের ওপর হামলার যেসব খবর প্রকাশিত হয়েছে, সেগুলোকেই তিনি ইঙ্গিত করেছেন বলে হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
বক্তব্যে জগদীপ ধনখড় এ বিষয়েও সতর্ক করেন যে কিছু অপশক্তি ভারতকে একটি ‘খারাপ’ দেশ হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করছে। এ ধরনের চেষ্টাকে নস্যাৎ করতে ‘পাল্টা আক্রমণ’ চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।