হিমালয়তুল্য বঙ্গবন্ধু

মাজহার মান্নান |

এমন একজন মানুষকে নিয়ে দু‘কলম লেখার সাহস করছি যাকে হিমালয়ের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। আর এই তুলনাটি কোনো সাধারণ লোক করেননি। এই তুলনাটি করেছিলেন কিউবার নেতা ফিদেল কাস্ত্রো। হিমালয় তুল্য এই মানুষটি হলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি শুধু একজন মহানায়কই নন, তিনি নিজে একটি প্রতিষ্ঠান এবং একটি ইতিহাস।

যুগে যুগে যখন শোষণ জুলুমের সীমা ছাড়িয়ে যায় তখন কোনো ক্ষণজন্মা পুরুষের আবির্ভাব ঘটে। এমনই এক ক্ষণজন্মা পুরুষ ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলার শাসন ব্যবস্থার যখন কৃমি-কীটে খাওয়া দগ্ধ লাশের চেহারা, ঠিক তখনই জন্ম নিলেন এই কালজয়ী নেতা। খুব ছোট থেকে আন্দাজ করা গিয়েছিলো যে এই শিশুটি একদিন বড় কিছু হবেন।

সবার ধারণা সত্য প্রমাণিত হলো। সেই ছোট খোকা ধীরে ধীরে কালের আবর্তে ইতিহাসের মহানায়কে পরিণত হলেন যেটা মোটেও সহজ ছিলো না। জীবনের প্রতিটি পরতে পরতে তাকে মোকাবিলা করতে হয় অত্যাচার, নির্যাতন আর ষড়যন্ত্রের বিষাক্ত ছোবল।

প্রকাণ্ড ঝড়ের মাঝে উত্তাল সাগরে টিকে থাকা তরীর মতো তার জীবন। পাহাড়সম ঢেউ এসেও তার ইচ্ছা তরীকে ডোবাতে পারেনি। এমনটি শুধু কোনো মহাবীরের পক্ষেই সম্ভব। সীমাহীন সাহস, অসীম আত্মবিশ্বাস, উপস্থিত বুদ্ধি, প্রজ্ঞা এবং মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসা তাকে নক্ষত্রে পরিণত করেছে। 
যদি না জন্ম হতো তোমার
শেখ মুজিবুর
তবে আমাদের এই স্বাধীনতা
থাকতো বহুদূর।

ক্ষণজন্মা এই মহানায়কের জীবন ও কর্ম তুলে ধরা এতো ছোট পরিসরে অসম্ভব। পাঠকদের কথা মাথায় রেখে তার সংক্ষিপ্ত জীবনী ও কর্ম তুলে ধরার চেষ্টা করছি। 

১৯২০ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় তার জন্ম। ১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দে সাত বছর বয়সে তিনি গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দে গোপালগঞ্জ পাবলিক স্কুলে ভর্তি হন। এ সময় তার চোখে কিছুটা সমস্যা দেখা গেলে লেখাপড়ায় কিছুটা গ্যাপ পড়ে যায়। ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দে তিনি গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে ভর্তি হন।
 
স্কুল থেকেই তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দে অসীম সাহসিকতার জন্য শেরে বাংলা তাকে বুকে টেনে নেন। তিনি তার স্কুলের ছাদ মেরামতের দাবিটি শেরে বাংলার কাছে বলিষ্ঠভাবে পেশ করেছিলেন।

১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দে তিনি মেট্রিক পাস করেন এবং কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে ভর্তি হন। এ সময় তিনি বেঙ্গল মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। ইসলামিয়া কলেজে পড়া অবস্থায় তিনি সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। এই কলেজে তিনি জিএস নির্বাচিত হন। 

১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে তিনি এখান থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। এ সময় কলকাতার দাঙ্গা প্রতিরোধে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনে ভর্তি হন। এ বছর তিনি মুসলিম ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার পাঁয়তারা চলছিলো তখন।  

তরুণ মুজিব তীব্র প্রতিবাদ জানালেন। তার নেতৃত্বে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। এ সময় আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে তিনি একাধিকবার গ্রেফতার হন। ১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা তাদের নায্য দাবি আদায়ে ধর্মঘট আহ্বান করলে তরুণ মুজিব তাতে সমর্থন দেন। 

বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশন তাকে অন্যায়ভাবে বহিষ্কার করে। ১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ জুন পূর্ব পাকিস্থান আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত হয়। এ সময় তিনি জেলে থাকা অবস্থায় দলের যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে জেলখানায় অনশন শুরু করেন এবং একটানা ১৭ দিন অনশন করে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।

১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে যুক্তফ্রন্ট গঠনে তিনি ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের বিপুল বিজয় হলে তিনি কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। কেন্দ্রীয় সরকার যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রীসভা বাতিল করলে তিনি গ্রেফতার হন। ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দে তিনি পূর্ব পাকিস্থানের স্বায়ত্তশাসনের জন্য ২১ দফা দাবি পেশ করে আন্দোলন চালাতে থাকেন। এ বছরেই আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে মুসলিম শব্দ বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ গঠন করা হয় এবং তিনি দলের সাধারণ সম্পাদক হন। ১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দে তিনি কোয়ালিশন সরকারের মন্ত্রী হন। 

১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দে তিনি মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করেন এবং স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে আন্দোলন চালাতে থাকেন। ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দে আইয়ুব খানের মার্শাল ‘ল’ জারি করা হলে তিনি গ্রেফতার হন এবং দীর্ঘ সময় জেল খাটেন। ১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দে তার নেতৃত্বে আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। 

তিনি আবারো গ্রেফতার হন। ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দে সামরিক শাসনের অবসান হলে তিনি কারামুক্ত হন।

১৯৬৩ খ্রিষ্টাব্দে তিনি প্রাপ্তবয়স্কদের ভোটে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের দাবি করেন। ১৯৬৫- তে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহীতার মামলা করা হয় এবং তিনি দীর্ঘসময় জেল খাটেন। ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ৬ দফা পেশ করেন। এর প্রথম দফাটি ছিলো স্বায়ত্তশাসন। 

এটি ছিলো মুক্তির সনদ। এ সময় তিনি একাধিকবার গ্রেফতার হন। ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দে তার বিরুদ্ধে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা করা হয় এবং গ্রেফতার হন। ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে তিনি গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে কারামুক্ত হন। এ বছর তাকে বঙ্গবন্ধু উপাধি দেয়া হয়। ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের নির্বাচনে তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ জয়লাভ করে। 

ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে টালবাহানা শুরু হলে তিনি আন্দোলনের ডাক দেন। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ৭ মার্চে তিনি বাংলার মানুষের অধিকার ও স্বাধীনতা নিয়ে কালজয়ী ভাষণ দেন। ২৫ মার্চ রাতে নিরীহ বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে হায়েনার দল। এই রাতেই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। এরপর তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়। 
 
অস্তিত্বের লড়াই যখন
ইতিহাসের বাঁকে
বাঙালিরা দিলো সাড়া
বঙ্গবন্ধুর ডাকে।

১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং সরকার প্রধান হন। ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সংবিধান কার্যকর হয়। ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দে তিনি জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দেন। ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ আগস্ট ঘাতকদের হাতে তিনি সপরিবারে নিহত হন। 

তিনি ছিলেন এমন একজন মানুষ যার কাছে নিজের সুখ ছিলো খুব তুচ্ছ। তার মতো দূরদর্শী নেতা বিশ্বে বিরল। তিনি ছিলেন গণতন্ত্রের পুজারি এক নির্ভীক দুর্জয় সাহসী জাতীয়তাবাদী নেতা। অমানিশার ঘোর অন্ধকারে নিমজ্জিত দাসত্বের করাল গ্রাসে নিপতিত একটি জাতির জন্য তিনি এলেন আলোর দিশারী হয়ে।

ছোট থেকে বৃহৎ বিষয়গুলো নিয়ে তিনি ভাবতে পারতেন। সমাজের কোথায় গলদ এবং সেটা সারানোর উপায়টিও তিনি জানতেন। অতি দৃঢ়চেতা এই মহাবীর বাল্যকালেই প্রমাণ করেছিলেন যে তার জন্ম শুধু দুটো ডাল-ভাত খেয়ে বাঁচার জন্য হয়নি। সমাজে তার করণীয় অনেক কিছু আছে। 

স্কুলে পড়া অবস্থায় দাবি দাওয়া নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শেরে বাংলার সামনে বুক ফুলিয়ে দাঁড়ানো সহজ কোনো বিষয় ছিলো না। শেরে বাংলার বুঝতে মোটেও সময় লাগেনি যে, কি সুপ্ত শক্তি সেই বালকটির মাঝে লুকিয়ে ছিলো। তিনি সেই বালককে কাছে টেনে নিলেন। সেই বালক হয়ে গেলো বিশ্ব আইকন, নেতৃত্বের জাদুকর, ইতিহাসের এক বিরাট মহীরূহ।

রাজনীতির এই মহাকবি ছিলেন তিমিরাচ্ছন্ন গগনের এক দীপ্ত রবি। শোষণের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন এক মহা স্ফুলিঙ্গ যিনি মহাপ্রাচীর ভেঙে ছিনিয়ে এনেছেন পতাকা এবং একটি মানচিত্র। 

বাংলার নৃপতি, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু ছিলেন অকুণ্ঠ, সদাশয় ও দূরদর্শী। জননন্দিত, অবিসংবাদিত, অস্প্রদায়িক, সেক্যুলার, আপোষহীন এই বিশ্বনেতার চলার পথ মোটেও মসৃণ ছিলো না।

তার স্বর্ণালী দিনগুলো কেটে গেছে রাজপথ, আন্দোলন-সংগ্রাম আর কারাগারের অন্ধকার কুঠিরে। স্বপ্নের কারিগর, অনলবর্ষী এই বক্তা তার সহজাত গুণের কারণে ঘুমন্ত বাঙালিকে জাগিয়ে তুলতে পেরেছিলেন। বিশ্বের বহু নেতা বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। 

কিন্তু ফসল ঘরে তুলতে পেরেছেন এমন নজির খুব কম। বঙ্গবন্ধু ছিলেন এমন এক ব্যক্তি তিনি যা ভেবেছেন তা শুরু করেছেন, সেটাকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন এবং সেটার ফসল ঘরে তুলে আনতে সক্ষম হয়েছেন। আর তার শ্রেষ্ঠত্ব ঠিক এখানেই। 

ধারাবাহিক সংগ্রামের বলিষ্ঠ এই বীর হিমালয়ের মতো প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন যা ভেদ করা কারো পক্ষে সম্ভব হয়নি। যার মহান নেতৃত্বে মাত্র নয় মাসে পরাক্রম একটি সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে বাঙালি স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিলো।


বাঙালি জাতির মুক্তির দূত, নীতিতে অবিচল, উজ্জীবনী শক্তির ধারক আপন শক্তি বলে প্রকাণ্ড প্রতিবন্ধককে দুমড়ে-মুচড়ে ফেলেছিলেন। টর্নেডোর মতো ক্ষিপ্রগতিতে তিনি হাজার বছরের বদ্ধ খাঁচার দুয়ার খুলে দিয়েছিলেন। পরাধীনতার লৌহ শিকলে আটকে থাকা একটি জাতিকে তিনি মুক্ত করেছিলেন। কোনো ভয়, কোনো ষড়যন্ত্র, কোনো ফাঁদ, কোনো হুমকি তার এগিয়ে যাওয়ার পথকে প্রতিহত করতে পারেনি।

তিনি তার ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়া নিয়ে কোনো স্বপ্ন দেখতেন না। তার গগনচুম্বী স্বপ্ন ছিলো বদ্ধ প্রকোষ্ঠে আটকে থাকা অসহায় মানুষগুলোকে মুক্ত করে স্বাধীনতার স্বাদ দেয়া। বাঙালি জাতি যে শিকলে বাঁধা পড়েছিলো সেটা ভেঙে দেয়াই ছিলো তার মহাব্রত।

তিনি ছিলেন একজন খাঁটি বাঙালি। বাঙালিয়ানার প্রবাদ পুরুষ এই মানুষটির শিল্প সাহিত্যের প্রতি ছিলো অগাধ ভালোবাসা। রবীন্দ্রনাথের একটি গানকে তিনি জাতীয় সঙ্গীতের মর্যাদা দিয়েছিলেন। 

নজরুলের একটি গানকে তিনি রণসঙ্গীত হিসেবে নির্বাচিত করেছিলেন এবং নজরুলকে তিনি বাংলাদেশের জাতীয় কবির মর্যাদা দিয়েছিলেন। 

বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে ৭১-এর স্বাধীনতা যুদ্ধে নারী পুরুষ নির্বিশেষে অংশগ্রহণ করেছিলো। নারীদের বিশেষ মর্যাদা বঙ্গবন্ধু দিয়েছিলেন। ৭২-এর সংবিধানে নারী পুরুষের সমতার বিধানটি যুক্ত করেন।

নারীর ক্ষমতায়নের ভিত রচিত হলো ৭২-এর সংবিধানের মাধ্যমে। যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী নারীদের তিনি বীরাঙ্গনা উপাধি দিয়েছেন। যুদ্ধ শিশুর সামাজিক পরিচয়ের বিষয়টি বঙ্গবন্ধুর মাথায় ছিলো। 

বিশাল হৃদয়ের এই মহান নেতা জাতীয় মহিলা সংস্থার এক ভাষণে বললেন ‘আজ থেকে যুদ্ধ শিশুদের সামাজিক পরিচয়ের ক্ষেত্রে তাদের পিতার নামের জায়গায় শেখ মুজিবুর রহমান লিখবে এবং ঠিকানা লিখবে ধানমন্ডি ৩২।’ যুদ্ধে যে সব নারীরা নির্যাতিত হয়েছিলো তাদের তিনি বিশেষ মর্যাদা দেয়াসহ পুনর্বাসন করেন। সরকারি চাকরিতে নারীদের জন্য ১০ ভাগ কোটা সংরক্ষণ করেন।

কিন্তু যুদ্ধ বিধস্ত দেশটিকে তিনি যখন নতুনভাবে সাজানো শুরু করলেন ঠিক তখনই কতিপয় জঘন্য কুচক্রী কিছু অমানুষ তার বুকে গুলি চালালো নির্মমভাবে। বিশ্বাসঘাতকদের হাতে প্রাণ হারালেন তিনি ও তার পরিবার। সৃষ্টি হলো ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্য কলঙ্কিত অধ্যায়।

কবির ভাষায় বলা যায়-

সোনার এই বাংলাকে তুমি
দিয়েছো হাতে তুলে
যতোদিন দেহে প্রাণ আছে
যাবো না তোমায় ভুলে।

হিমালয়তুল্য এই মহান নেতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষ হাতে দেশ পরিচালনার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। দেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত নানা পদক্ষেপ বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হয়েছে। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের এক রোল মডেল।


লেখক: কবি ও কলামিস্ট


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
৭ কলেজ নিয়ে পরিকল্পনা জানালেন শিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha ৭ কলেজ নিয়ে পরিকল্পনা জানালেন শিক্ষা উপদেষ্টা অটোরিকশার ধাক্কায় ছাত্রীর মৃত্যু, ৮ দাবিতে জাবিতে ব্লকেড - dainik shiksha অটোরিকশার ধাক্কায় ছাত্রীর মৃত্যু, ৮ দাবিতে জাবিতে ব্লকেড শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কমিটি সংক্রান্ত শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কমিটি সংক্রান্ত শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা ছাত্রাবাস খোলার দাবিতে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ - dainik shiksha ছাত্রাবাস খোলার দাবিতে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ট্রাম্প প্রশাসনে শিক্ষামন্ত্রী হচ্ছেন লিন্ডা ম্যাকমোহন - dainik shiksha ট্রাম্প প্রশাসনে শিক্ষামন্ত্রী হচ্ছেন লিন্ডা ম্যাকমোহন কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে চবিতে এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামে আবেদন করুন, ফি ১০০০ - dainik shiksha চবিতে এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামে আবেদন করুন, ফি ১০০০ কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে বাউবিতে বিএড প্রোগ্রামে ভর্তি, আবেদন ফি ৭০০ - dainik shiksha বাউবিতে বিএড প্রোগ্রামে ভর্তি, আবেদন ফি ৭০০ চবিতে এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামে আবেদন করুন, ফি ১০০০ - dainik shiksha চবিতে এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামে আবেদন করুন, ফি ১০০০ please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0029699802398682