হ্যারি পটার সিনেমার ‘প্রফেসর আলবাস ডাম্বেলডোর’ চরিত্রের অভিনেতা স্যার মাইকেল গ্যামবন মারা গেছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) জানিয়েছে, গ্যামবনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তার পরিবার।
গ্যামবনের ছেলে ও স্ত্রী বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমাদের প্রিয় স্বামী ও বাবা হাসপাতালে পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে শান্তিপূর্ণভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন।’ নিউমোনিয়ার সমস্যা নিয়ে হাসাপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।
আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে জন্ম নেওয়া এই অভিনেতা টিভি, সিনেমা, থিয়েটার, রেডিওতে দীর্ঘ ৫ দশক বিভিন্ন চরিত্রে কাজ করেছেন। তিনি ৪ বার বাফতা চলচিত্র পুরস্কার জিতেছিলেন।
স্যার গ্যাম্বন লন্ডনের লরেন্স অলিভিয়ারের ন্যাশনাল থিয়েটার অ্যাক্টিং কোম্পানির মূল সদস্যদের একজন হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। ন্যাশনাল থিয়েটার প্রোডাকশনে অভিনয়ের জন্য তিনি ৩ বার অলিভিয়ার পুরস্কারও জিতেছিলেন।
তিনি আইটিভি সিরিজ ‘মাইগ্রেটে’ ফরাসি গোয়েন্দা জুলেস ‘মাইগ্রেটে’র ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন এবং বিবিসিতে ডেনিস পটারের দ্য সিঙ্গিং ‘ডিটেকটিভ’-এ ‘ফিলিপ মার্লো’ চরিত্রের জন্যও পরিচিত ছিলেন।
স্যার মাইকেল গ্যাম্বন ২০০৩ খ্রিষ্টাব্দে রিচার্ড হ্যারিসের মৃত্যুর পর জে কে রাউলিংয়ের উপন্যাস অবলম্বনে হিট ‘হ্যারি পটার’ সিরিজে উইজার্ডিং স্কুল হগওয়ার্টসের প্রধান শিক্ষক – ‘ডাম্বলডর’ ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। হ্যারি পটার সিনেমার ৮টির মধ্যে ৬টিতেই এই চরিত্রে দেখা গিয়েছিল ৮২ বছর বয়সি স্যার গ্যামবনকে।
২০১০ খ্রিষ্টাব্দে জেন অস্টেনের এমার অভিযোজনে ‘মিস্টার উডহাউসে’র ভূমিকায় এবং ২০০২ খ্রিষ্টাব্দে পাথ টু ওয়ার-এ ‘প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি জনসন’ চরিত্রে অভিনয় করার জন্য তিনি ‘এমি’ পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন। এছাড়াও ১৯৯৭ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ‘টনি’ মনোনয়ন পেয়েছিলেন। ১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দে বিনোদন শিল্পে সেবার জন্য তিনি ‘নাইট’ উপাধি লাভ করেন।
অভিনেতা স্যার গ্যাম্বন অভিনয় জগতে ‘দ্য গ্রেট গ্যাম্বন’ নামে সুপরিচিত ছিলেন। সবশেষ ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে স্যামুয়েল বেকেটের নাটক অল দ্যাট ফল-এর একটি লন্ডন প্রযোজনায় মঞ্চে উপস্থিত হয়েছিল তিনি।
সূত্র: বিবিসি