আগামী ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। এতে সভাপতিত্ব করবেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আজ সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এখনও মিথ্যাচার করছে, তাদের এ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। কিন্তু নির্বাচনের পর সহিংসতা করতে গেলে যে কোনো মূল্যে তা প্রতিহত করবে আওয়ামী লীগ সরকার।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে কাদের বলেন, অপরাজনীতি করে এ দেশে রায় পাওয়া সম্ভব না। বাস্তবতা ও জনগণের রায় মেনে নিয়ে রাজনীতি করুন—তা না হলে ভবিষ্যতে রাজনীতির আস্তাকুঁড়ে প্রতীত হবেন।
নির্বাচন কেমন হলো, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হলো কি না—তা দেখানোর জন্যই আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, দেশি–বিদেশি সাংবাদিক নির্বাচন প্রত্যক্ষ করেছেন। ভোটকেন্দ্রগুলোতে সশরীরে গিয়ে তারা সন্তুষ্টি জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জানান, নির্বাচিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সংসদ সদস্য হিসেবে তাদের কাজ চালিয়ে যাবেন। আর সংসদের বিরোধী দল কারা হবেন—তা এখনও ঠিক হয়নি। ভবিষ্যৎ বলে দেবে বাস্তবতার নিরিখে কখন কি করতে হবে।
বৈশ্বিক কোনো চ্যালেঞ্জ দেখছেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ, জলবায়ু মোকাবিলা, দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধিসহ সকল বিষয়ে চ্যালেঞ্চ রয়েছে। এগুলো মোকাবিলা করবে নতুন সরকার।
এ সময় আশা প্রকাশ করে কাদের বলেন, জনগণের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে নির্বাচনী ইশতেহারের দেওয়া সকল প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ নির্বাচন গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার মাইলফলক। এটি বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে শক্তিশালী অবস্থানে রাখবে।
জনগণের রায়ে রেকর্ড করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় অর্জন করেছে আওয়ামী লীগ। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে, আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জনগণ রায় দিয়েছেন। জনগণের রায়ে গণতান্ত্রিক এ জয় বঙ্গবন্ধু কন্যার ঐতিহাসিক নেতৃত্বের ফসল।
এ জয়ের ফলে শেখ হাসিনা নতুন সরকার গঠন করে তার অসমাপ্ত কাজগুলো বাস্তবায়ন করবেন বলে জানান ওবায়দুল কাদের।