বাংলাদেশের আর্থিক খাতের সার্বিক পরিস্থিতি ও সংস্কার বিষয়ে রূপকল্প তৈরি করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হওয়ার ১০০ দিনের মধ্যে তা প্রকাশ করা হবে। ব্যাংকিং খাতে টেকসই সংস্কারের জন্য দ্রুতই গঠন করা হবে ব্যাংকিং কমিশন।
দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে রোববার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের এক সভায় এ দুই সিদ্ধান্ত সহ আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়। দৈনিক আমাদের বার্তাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম।
সভায় যেসব বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করা হয় সেগুলোর অন্যতম হলো- ১. চাহিদা ও যোগানের যথাযথ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দেশের বিদ্যমান মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনতে হবে। এজন্য মুদ্রানীতিকে সংকোচনমূলক অবস্থায় ধরে রাখতে হবে এবং একইসাথে সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটাতে হবে। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু হয়েছে। তবে মূল্যস্ফীতির সুফল পেতে সবাইকে একটু ধৈর্য্য ধরতে হবে ২. বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে তারল্য বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আন্তঃব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ব্যান্ড ১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে খুব দ্রুতই আন্তঃব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে তারল্য ফিরে আসবে এবং বিনিময়ের পরিমাণও দ্রুত বৃদ্ধি পাবে ৩. ব্যাংকিং খাতের বর্তমান অবস্থা নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে যার পরিপ্রেক্ষিতে সংস্কারের বিষয়টি চলে এসেছে। ব্যাংকিং খাতে টেকসই সংস্কার করার জন্য একটি ব্যাংকিং কমিশন গঠন করে দ্রুত কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে ৪. আর্থিক খাতের সার্বিক পরিস্থিতি এবং সংস্কার বিষয়ে একটি রূপকল্প তৈরি করা হবে যা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হওয়ার ১০০ দিনের মধ্যে প্রকাশ করা হবে।