নতুন কারিকুলামের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন আগামী জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত হবে। সামষ্টিক এ মূল্যায়ন কোন বিষয়ের কতটুকু নেয়া হবে তা নির্ধারণ করে দিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তুক বোর্ড (এনসিটিবি)। আগামী ১২ জুনের মধ্যে শ্রেণি কার্যক্রম চলাকালে নির্ধারিত পাঠ শেষ করতে নির্দেশনাও দিয়েছে এনসিটিবি। নির্ধারিত সময়ে শেষ না করা গেলে প্রয়োজনে অনলাইনে শেষ করারও পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
সোমবার (১০ জুন) এনসিটিবি জানায়, গত ৬ জুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য এ ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন-২০২৪ এর জন্য নির্ধারিত শিখন অভিজ্ঞতা সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়। নির্দেশনায় বলা হয়, ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ছয় মাসের সামষ্টিক মূল্যায়ন আগামী জুলাই মাসে শুরু হতে যাচ্ছে। দৈবচয়নের ভিত্তিতে সারা দেশের নির্বাচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন বিষয়ে শ্রেণি কার্যক্রম সম্পন্ন করার তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যের আলোকে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যে পর্যন্ত শিখন কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে সেই পর্যন্ত অভিজ্ঞতাগুলোকে বিবেচনা করে এই সামষ্টিক মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
নির্দেশনায় কোন ক্লাসের কোন বইয়ের কত পৃষ্ঠা পর্যন্ত মূল্যায়ন করা হবে তাও নির্ধারণ করা হয়। নির্ধারিত এই পাঠ আগামী ১২ জুনের মধ্যে শেষ করতে বলা হয়। ১২ জুনের পরে ছুটির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে, বন্ধের আগে যদি মূল্যায়নের জন্য নির্ধারিত কোনও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন করা সম্ভব না হয় সেক্ষেত্রে বিকল্প উপায় অবলম্বন করুন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সময়ে বিকল্প উপায়ে পাঠ শেষ করার কথাও বলা হয়েছে। বন্ধের সময় কী কী করতে হবে সে ব্যাপারে বন্ধের আগেই শিক্ষার্থীদের সহজ ভাষায় বুঝিয়ে দিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীর বিকল্প কোন কোন কাজ পর্যবেক্ষণ করে তার পারদর্শিতা যাচাই করা জবে তা জানিয়ে দিতে বলেছে এনসিটিবি।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোথাও দলগত কাজ, পর্যবেক্ষণ, তথ্য সংগ্রহ ইত্যাদি কাজ থাকলে তা বিকল্প উপায়ে কাজটি সম্পন্ন করার কৌশল বলে দিন। উদাহরণস্বরূপ, দলগত কাজের বদলে একক কাজ, পরিবারের সদস্যদের থেকে তথ্য সংগ্রহ, পর্যবেক্ষণের কাজটি বাড়ির আশেপাশের পরিবেশ থেকে বা ভিডিও দেখে বা ডকুমেন্ট পড়ে সম্পন্ন করা যেতে পারে। কাজ শেষে সক্রিয় পরীক্ষণের বদলে শিক্ষার্থী কী অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেবে তাঁর ধারণা এবং জমা দেয়ার সময় নির্ধারণ করে দিন।
প্রয়োজনে অনলাইন ক্লাস করে, অভিভাবকদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম গ্রুপে, মোবাইলফোনের গ্রুপে নির্দেশনা প্রদান করে শিক্ষার্থীদের বাড়িতে বসে কাজ পর্যবেক্ষণ করুন এবং ফিডব্যাক প্রদান করুন।