১২ বছর পর অধ্যক্ষ পদ ফিরে পেলেন তোফাজ্জল হোসেন

গাজীপুর প্রতিনিধি |
শ্রীপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে অধ্যক্ষ তোফাজ্জল হোসেনকে জোর করে একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে বের করে দেওয়া হয়। তারপর চলে গেছে এক যুগেরও বেশি সময়। আইনি লড়াই শেষে গতকাল রোববার কলেজ ফিরেছেন তিনি।
 
অধ্যক্ষ তোফাজ্জল হোসেন আকন্দ জানান, ১৯৮৯ সালে তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে লেকচারার হিসেবে যোগদান করেন। ২০০৫ সালের ৩ মার্চ বিধি মোতাবেক তিনি কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পান। টানা চার বছর দায়িত্ব পালন করার পর ২০০৯ সালের ২৮ মার্চ হঠাৎ করেই তার ওপর নেমে আসে এক অত্যাচার। যে অত্যাচারে কেড়ে নেওয়া হয় অধ্যক্ষের পদ। বের করে দেওয়া হয় প্রিয় কলেজ ক্যাম্পাস থেকে। তারপর আর তিনি ভয়ে কলেজে যেতেই পারেননি। 

 

 
 
তোফাজ্জল হোসেন আকন্দ বলেন, জিম্মি করে তার কাছ থেকে সাদা কাগজে সাক্ষর নেওয়া হয়। পরে নূরুন্নবী আকন্দ অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িতত্ব গ্রহণ করেন। সশস্ত্র মহড়া দিয়ে সেদিন তার কাছ থেকে অধ্যক্ষের পদটি কেড়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন তোফাজ্জল আকন্দ।

 
এ ঘটনার প্রায় দেড় বছর পর নিজের পদ ফিরে পাওয়া এবং প্রতারণার অভিযোগ তুলে গাজীপুরের পঞ্চম সহকারী জজ আদালতে গভর্নিং বডির সদস্যসহ ২০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে মামলা করেন তিনি। গত ৩০ সেপ্টেম্বর তোফাজ্জল হোসেন আকন্দের পক্ষে আদালতের সিনিয়র সহকারী জজ শাহেনারা আক্তার রায় প্রদান করেন। তোফাজ্জল হোসেন আকন্দ অধ্যক্ষের পদে বহাল রয়েছেন বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়।
 
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এএএম আমান উল্লাহ ফরিদ জানান, দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে নিজের পদ ফিরে পেয়েছেন তোফাজ্জল হোসেন আকন্দ।
 
বিবাদী নূরুন্নবী আকন্দ জানান, তোফাজ্জল স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছিলেন। রোববার জেলা জজ আদালতে এ রায়ের বিরুদ্ধে তিনি আপিল করেছেন।
 
কলেজের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও ইউএনও মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, তোফাজ্জল হোসেনের আবেদনপত্র গ্রহণ করা হয়েছে। তবে প্রতিপক্ষের আপিলের কপিও তার কাছে এসেছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন - dainik shiksha অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ - dainik shiksha শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল - dainik shiksha ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিবের বিরুদ্ধে মাউশির তদন্ত কমিটি - dainik shiksha চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিবের বিরুদ্ধে মাউশির তদন্ত কমিটি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.003093957901001