১২ বছর বয়সে দাখিল পাস, শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা

নওগাঁ প্রতিনিধি |

নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার লক্ষণপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (ইসলাম শিক্ষা) মো. নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ১২ বছর বয়সে দাখিল পাসের সনদে দিয়ে চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের সাবেক অভিভাবক সদস্য মো. মাসুদ করিম সরদার বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি নওগাঁ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, লক্ষণপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রয়োজন হলে ১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দে সহকারী শিক্ষক (ধর্ম) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সেখানে অন্যান্য নিয়োগ প্রার্থীদের সঙ্গে মো. নুরুল ইসলাম আবেদন করেন। নিয়োগ বোর্ডকে ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে অন্য নিয়োগ প্রার্থীদের বঞ্চিত করে ১৯৮৭ খ্রিষ্টাব্দের ৩ জানুয়ারি যোগদান করে এমপিওভুক্ত হয়েছেন। তিনি সরকারি বেতনভাতা পাচ্ছেন।

অভিযোগে বাদী মাসুদ করিম সরদার আরও বলেন, তিনি ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে ম্যনেজিং কমিটির নির্বাচিত সদস্য হয়ে ওই শিক্ষকের কাগজপত্রে অমিল দেখতে পান। তার জন্মসনদে জন্ম তারিখ ১৯৬৩ খ্রিষ্টাব্দের ১ মার্চ। তিনি ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে দাখিল পাস করেছেন বলে সনদ দাখিল করেছেন। তার জন্মতারিখ থেকে ১২ বছর বয়সে দাখিল পাস করেন। এরপর তিনি ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দে আলিম পাস করেন। আলিম পাসের ১ বছর পর ১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ফাযিল (ডিগ্রি) পাস করেন এবং কামিল পাস করেন ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দে। কিন্তু সহকারী শিক্ষক ধর্ম পদে চাকরির জন্য কামিল পাসের সার্টিফিকেট আবশ্যক ছিলো।

জানতে চাইলে মাসুদ করিম সরদার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমি ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে অভিভাবকদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে তার জালিয়াতির কথা জানতে পেরে তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হলে তিনি আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেন। পরবর্তীতে এ বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি অন্যান্যদের সামনে তার কাগজপত্র সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি স্বীকার করেন এবং এ কথা কাউকে বলতে নিষেধ করে। এরপর ম্যানেজিং কমিটির অন্যান্য সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে থানায় মামলা করতে গেলে থানা পুলিশ মামলা নিতে অস্বীকার করে। তাই আদালতে মামলা দায়ের করি। আমি ওই প্রতারকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষক নুরুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষা ডটকমের কাছে দাবি করেন, তখন মাদরাসা লাইনে ১২ বছর বয়সে দাখিল পরীক্ষা দেয়ার নিয়ম ছিলো।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ইউএনওর ‘মানসিক নির্যাতনে’ শিক্ষকের মৃত্যুর অভিযোগ - dainik shiksha ইউএনওর ‘মানসিক নির্যাতনে’ শিক্ষকের মৃত্যুর অভিযোগ শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতির সভা ১৮ সেপ্টেম্বর - dainik shiksha শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতির সভা ১৮ সেপ্টেম্বর সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! - dainik shiksha সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! নাহিদ-দীপুর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিই মাউশি অধিদপ্তরের ডিজি হচ্ছেন! - dainik shiksha নাহিদ-দীপুর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিই মাউশি অধিদপ্তরের ডিজি হচ্ছেন! শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- জানতে চায় অধিদপ্তর - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- জানতে চায় অধিদপ্তর এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি অন্যকে সুযোগ দেয়ার জন্য নয়: সারজিস - dainik shiksha এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি অন্যকে সুযোগ দেয়ার জন্য নয়: সারজিস কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.009429931640625