১২০ টাকা খরচে পুলিশে চাকরি পেয়েছেন ঝালকাঠির ২৬ জন নারী ও পুরুষ। বাছাই পরীক্ষার তিনটি ধাপ পার করে নিজ নিজ যোগ্যতায় চূড়ান্ত পর্যায়ে বাংলাদেশ পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে নিয়োগ পেয়েছেন তারা। এ প্রক্রিয়ায় তারা আবেদনের সময় ব্যাংক ড্রাফটে জমা দিয়েছেন প্রত্যেকের ১২০ টাকা করে।
কোনো রকম তদবির বা অর্থ লেনদেন ছাড়াই বাছাই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চাকরি পেয়ে অনেকেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তারা ঝালকাঠির পুলিশ সুপার মো. আফরুজুল হক টুটুলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
গতকাল রোববার রাত ১১ টায় ঝালকাঠি পুলিশ লাইন্সে টিআরসি পদে পরীক্ষায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিতদের পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মো. আফরুজুল হক টুটুল। অনুষ্ঠানের শুরুতে নিয়োগ পরীক্ষায় চুড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হওয়া ২৬ জন নারী ও পুরুষকে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ফুলদিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে মিষ্টি খাওয়ানো হয়।
অনুষ্ঠানে ঝালকাঠি জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা ছাড়াও নিয়োগ বোর্ডে থাকা ভোলা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আছাদুজ্জামান এবং পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আহমাদ মাঈনুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২ মার্চ ঝালকাঠি জেলার ৪টি উপজেলা থেকে আগত আট শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেন পুলিশের ‘ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল' পদের জন্য বাছাই প্রক্রিয়ায়। প্রথম ধাপে বাছায়ে টিকে ২১১ জন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। সেখান থেকে ৬১ জন প্রার্থী উর্ত্তীর্ণ হয়ে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেয়। সব পরীক্ষা শেষে চূড়ান্তভাবে কোটা নির্ধারণ মোতাবেক যোগ্যতা অনুযায়ী ৪ জন নারী এবং ২২ জন পুরুষ প্রার্থীকে এই চাকরির জন্য চূড়ান্ত পর্বে প্রাথমিক ভাবে নির্বাচিত করা হয়।
নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি ঝালকাঠির পুলিশ সুপার মো. আফরুজুল হক টুটুল বলেন, পুলিশকে আধুনিক ও মানবিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে বর্তমান আইজিপি মহোদয়ের প্রচেষ্টায় পুলিশের সব পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ার মানোন্নয়ন করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ঝালকাঠি পুলিশের মানোন্নয়ন ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ২৬ জন যোগ্য ব্যক্তি নিয়োগ পেয়েছেন।