১২৭ ফুট উঁচু পাহাড় লোপাট

দৈনিক শিক্ষাডটকম, চট্টগ্রাম |

পাহাড় ধ্বস করে ভবন উঠছে চট্টগ্রামে। ভূমির বৈধ রেকর্ড ও পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই এসব ভবন নির্মাণের অনুমতি দিয়ে পাহাড় লোপাটের সুযোগ করে দিয়েছে চট্টগ্রামের নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। ডিটেইল এরিয়া প্ল্যানের (ড্যাপ) নির্দেশনাও মানা হয়নি। ফলে পাহাড় বিলীন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশও পড়েছে মারাত্মক বিপর‌্যয়ের মুখে। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীর জামালখানের আসকারদীঘির পাড়ের সংরক্ষিত পাহাড়ের ঢালের সর্বোচ্চ চূড়া ১২৭ ফুট উঁচু। অথচ পাহাড়টি সরকারের রেকর্ডে বাড়ি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত। এই ভূমিতে ৮৬ শর্তে ১৭তলা করে তিনটি টাওয়ার নির্মাণের অনুমোদন দেয় সিডিএ। তারপর জোরকদমে শুরু হয় নির্মাণ কাজ। সম্প্রতি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চৈতি সর্ববিদ্যা অভিযান চালানোর পর কিছু দিন বন্ধ থাকলেও ফের ভবন নির্মাণ শুরু হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেট চৈতি সর্ববিদ্যা এ বিষয়ে বলেন, এভাবে পাহাড় কেটে স্থাপনা নির্মাণ করা যায় না। এ ছাড়া পাহাড় কাটার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদনের প্রয়োজন থাকলেও কর্তৃপক্ষ তা দেখাতে পারেনি।

জনা গেছে, অনেক হাতবদল হয়ে এই জমি সজল চৌধুরী, খোকন ধর, হিমেল দাশ, সুভাষ নাথ, রনজিত কুমার দে, রূপক সেনগুপ্তসহ ৯২ জনের হাতে এসেছে। ৫০ শতকের বেশি এই জমি ১০ কোটি টাকায় ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বরে কিনেছেন তারা। জায়গাটির জামালখান এসএস খালেদ রোডে গ্রিন্ডল্যাজ ব্যাংকের পাহাড় বলে পরিচিত। ভবন নির্মাণের অনুমোদনের আবেদনের সময় জায়গার যে কন্টুর ম্যাপ (ভূমির অবস্থানগত উচ্চতা যে মানচিত্রে বোঝা যায়) জমা দিয়েছে, সেখানেও এই জায়গায় সর্বোচ্চ চূড়ার উচ্চতা ১২৭ ফুট দেখানো হয়েছে।

যদিও এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (মহানগর) হিল্লোল বিশ্বাস বলেন, একটি সংস্থা আরেক সংস্থাকে এভাবে বলতে পারে না। এ ছাড়া জায়গাটি রেকর্ডে পাহাড় নয়। বাড়ি শ্রেণিতে লিপিবদ্ধ।

ভূমি রেকর্ডে যা আছে

২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ জানুয়ারি ৯২ জনের নামে জমিটির নামজারি হয়। সিডিএতে জমা দেয়া নথিতে দেখা যায়, রহমতগঞ্জ মৌজার ১৯৬৬ নম্বর বিএস খতিয়ানে ৫০২ (অংশ) দাগ বাড়ি হিসেবে লিপিবদ্ধ। কিন্তু সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভূমির এই শ্রেণি নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেন। তিনি বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিএস জরিপে এই জায়গা বাড়ি হিসেবে রেকর্ড হয়েছে। আসকারদীঘির পূর্ব পাড়, জামালখান প্রেস ক্লাব, এসএস খালেদ রোড ও হেমসেন লেনের মধ্যবর্তী প্রায় আধা বর্গকিলোমিটার এলাকাটি পাহাড়। এই পাহাড়ের চূড়ায় অনেক আগে একটি বাংলো ছিলো, সে হিসেবে হয়তো বাড়ি হিসেবে রেকর্ড হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে তা বাড়ি শ্রেণির ভূমি নয়। ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দের দিকে দেশে বিএস জরিপের সময় তা বাড়ি হিসেবে রেকর্ড হয়েছে, যা রহমতগঞ্জ মৌজার ৭৮১ নম্বর খতিয়ানে উল্লেখ রয়েছে। পরে ১৬৯৪ নম্বর খতিয়ানেও তা বাড়ি হিসেবে নামজারি হয়েছে।

সরেজমিনে যেটা পাহাড় হিসেবে দেখা যাচ্ছে, সেটা বাড়ি হিসেবে রেকর্ড হতে পারে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসনের বাকলিয়া সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ এফ এম শামীম বলেন, ভূমির রেকর্ডের ভিত্তিতে আমরা জমির নামজারি করে থাকি। জমির শ্রেণি পরিবর্তনের জন্য মালিককে আবেদন করতে হবে। সরকারি সার্ভের সময় জমির শ্রেণি রেকর্ড করা হয়। কিন্তু ভূমির রেকর্ডের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।

এদিকে ১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দের পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে এবং ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের সংশোধিত আইনে পাহাড় বা টিলা বলতে বোঝায়, প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট পার্শ্ববর্তী সমতল ভূ-পৃষ্ঠ থেকে উঁচু মাটি অথবা মাটি ও পাথর অথবা মাটি ও কাঁকর অথবা অন্য কোনো কঠিন পদার্থ সমন্বয়ে গঠিত স্তূপ বা স্থান। এ জায়গাটি ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম কাটার পর পরিবেশ অধিদপ্তরের তৎকালীন পরিচালক নুরুল্লাহ নূরী অভিযান চালিয়ে ২৮ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছিলেন।

আরএস রেকর্ডে যা আছে

১৯৮৫-৮৭ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশ জরিপ অধিদপ্তরের করা সার্ভে বা বিএস রেকর্ডে ৫০২ নম্বর রহমতগঞ্জ মৌজার ৫০২ নম্বর দাগ বাড়ি হিসেবে রেকর্ড হয়েছে। এ দাগটি ষাটের দশকে করা আরএস জরিপে চারটি দাগে রেকর্ড হয়েছিলো। দাগ নম্বরগুলো ছিলো ১৭৯ (অংশ), ১৮০/২২৮(অংশ), ১৮০/২৩১(অংশ) ও ২৩২(অংশ)। 

রেকর্ডরুমের তথ্যমতে, ১৭৯ দাগ নম্বরটি পাহাড়ের ঢাল, ১৮০ দাগ নম্বরটি বাংলো, ১৮০/২২৮ দাগ নম্বরটি টিলা, ১৮০/২৩১ দাগ নম্বরটি পাহাড়ের ঢাল এবং ২৩২ দাগ নম্বরটি ফুলের বাগান হিসেবে ভূমির শ্রেণি উল্লেখ রয়েছে। তাই আরএস রেকর্ড অনুযায়ী পাহাড়ের ওপরে একটি বাংলো ছিলো। আর বাকি এলাকা পাহাড়, পাহাড়ের ঢাল ও ফুলের বাগান।

এ বিষযে ভূমি জরিপ অধিদপ্তরের জরিপ বিভাগের পরিচালক মুহাম্মদ আব্দুল হাই-আল মাহমুদ বলেন, এমন ভূমি পাহাড় হিসেবেই রেকর্ড হওয়ার কথা। কিন্তু তখন হয়তো আমাদের লোকজনের অসততা বা অন্য কোনো কারণেও ভুল রেকর্ড হতে পারে। তবে এখন জেলা প্রশাসক চাইলে ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন করতে পারবেন।

যেভাবে বহুতল ভবনের অনুমোদন 

প্রতিটি ১৭ তলার তিনটি ভবন নির্মাণের নগর উন্নয়ন কমিটির অনুমোদন পায় ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ৭ মার্চ, ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্রের অনুমোদন পায় ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের ১১ মে এবং বিশেষ প্রকল্পের ছাড়পত্র পায় ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের ৫ মার্চ। সর্বশেষ ইমারত নির্মাণ কমিটির কাছ থেকে তিনটি বেইজমেন্ট ও ১৪ তলা ভবনের অনুমোদন নেয়া হয় ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ এপ্রিল। এ সময় নগর উন্নয়ন কমিটি ৭টি, বিশেষ কমিটি ২৫টি, ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র কমিটি ২২টি, ইমারত নির্মাণ কমিটি ৩২টি শর্ত দিয়েছিলো ভবনগুলো নির্মাণে। 

সংশোধিত পরিবেশ আইন

২০১০ খ্রিষ্টাব্দের সংশোধিত পরিবেশ আইনে পাহাড়কাটা সম্পূর্ণ নিষেধ। তবে জাতীয় স্বার্থে সরকারের প্রয়োজনে অনুমোদন সাপেক্ষে পাহাড় কাটা যেতে পারে। তবে এরপর থেকে এ পর্যন্ত কোনো পাহাড়কাটার অনুমোদন পরিবেশ অধিদপ্তর দেয়নি। আর ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দের ইমারত নির্মাণ আইন অনুযায়ী, পাহাড়ে স্বল্প উচ্চতার ভবন নির্মাণ করতে পারলেও নগর উন্নয়ন কমিটির অনুমোদন লাগবে। একই কথা বলা রয়েছে, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ড্যাপে। 

নগর উন্নয়ন কমিটির সদস্যসচিব, বিশেষ প্রকল্পের চেয়ারম্যান ও ইমারত নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, আমরা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র পাওয়া সাপেক্ষে ভবন নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছি। এ ছাড়া নির্মাণকাজ শুরুর সময় থেকে সিডিএকে অবহিত করে এবং আমাদের প্রতিনিধির সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ে কাজ করার কথা বলা হয়েছে। ভবন নির্মাণে কোনো শর্ত মানা হয়নি। 

তিনি আরো বলেন, জমা দেয়া কন্টুর ম্যাপ অনুযায়ী যে উচ্চতার পাহাড় ছিলো, আমরা সম্প্রতি সাইট ভিজিটে গিয়ে সেই পাহাড় দেখতে পাইনি; অর্থাৎ তারা পাহাড় কেটেছে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের শর্তের বিষয়ে সংস্থাটির মহানগরের পরিচালকের দায়িত্বে থাকা হিল্লোল বিশ্বাস বলেন, সিডিএ পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ছাড়পত্র নেয়ার পর তারা অনুমোদন দিলে ভালো হতো।

বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের সভাপতি স্থপতি আশিক ইমরান বলেন, নগর উন্নয়ন কমিটির সদস্যদের পাশ কাটিয়ে কৌশলে এই প্রকল্পের অনুমোদন নেয়া হয়েছে। আমরা নগর উন্নয়ন কমিটিতে এর অনুমোদন দিইনি। আমরা মিটিংয়ে বলেছিলাম, কন্টুর ম্যাপ জমা দিতে। সেই ম্যাপের ভিত্তিতে সাইট ভিজিট করে আলোচনা করে অনুমোদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। কিন্তু পরে দেখি অনুমোদন দেয়া হয়ে গেছে।

সুশীল সমাজের প্রতিনিধি সদস্য হিসেবে নগর উন্নয়ন কমিটিতে থাকা প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদারও একই কথা বলেন। 

ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশ চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সাবেক এই চেয়ারম্যান বলেন, এক মিটিংয়ে এ প্রকল্পটি উত্থাপনের পর আমরা কন্টুর ম্যাপ এবং পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ছাড়পত্র জমা দিতে বলেছিলাম। পরের মিটিংয়ে আশিক ইমরান ছিলেন না। আমি ওয়াশরুমে গেলাম। এই ফাঁকে এসে দেখি এই ফাইলটি আলোচনা হয়ে গেছে। পরে অনুমোদনপত্রও দেয়া হয়।

২০০৮ খ্রষ্টাব্দে গেজেট আকারে প্রকাশিত হওয়া ড্যাপ অনুযায়ী সিডিএ ইমারত নির্মাণের অনুমোদন দিয়ে থাকে। ড্যাপ নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কেউ নকশা জমা দিলে তা নগর উন্নয়ন কমিটির কাছে যায়। নগর উন্নয়ন কমিটি সবকিছু পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত দেন। ড্যাপের নির্দেশনা অনুযায়ী, এই এলাকায় বহুতল ভবন করার অনুমতি দেয়ার কথা নয়। কিন্তু পাহাড়টিতে ১৭ তলার ৩টি টাওয়ারে ৯২টি ফ্ল্যাটের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতগুলো ফ্ল্যাটের অনুমোদন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নগর উন্নয়ন কমিটির একাধিক সদস্য। 

এদিকে বিশেষ প্রকল্প অনুমোদন কমিটির সদস্য সচিব ও সিডিএর সিনিয়র স্থপতি গোলাম রাব্বানী চৌধুরী বলেন, কমিটির সবার উপস্থিতিতে সর্বসম্মতিক্রমে ৯২টি ফ্ল্যাট দেয়ার অনুমোদন হয়েছে। এ ছাড়া কমিটিতে নগর পরিকল্পনাবিদও রয়েছেন।

সিডিএর একাধিক প্রকৌশলী ও নগর পরিকল্পনাবিদ জানান, ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দের বিধিমালার আগে ওই পাহাড়ের চূড়ায় একটি ও নির্মাণের অনুমতি পাওয়া প্রকল্পের পাশে আরো একটি বহুতল ভবন হয়েছে। তখন বিধিমালায় এতো কঠোরতা ছিলো না। কিন্তু ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দের বিধিমালার পর এই পাহাড়ে কোনো ভবনের নির্মাণ অনুমোদন দেয়া হয়নি।

সিডিএর ইমারত নির্মাণ বিধিমালা-২০০৮ অনুযায়ী, প্রতিটি বহুতল ভবনের জন্য সিডিএর একজন নিবন্ধিত স্থপতি ও প্রকৌশলী থাকতে হয়। তাদের স্বাক্ষরিত নকশাই অনুমোদন করা হয়। এই নকশা অনুযায়ী নির্মাণ নিশ্চিত করবেন প্রকৌশলী ও স্থপতি। ভবনের নির্মাণকাজের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত স্থপতি ও প্রকৌশলী নির্ধারিত ফরমে সিডিএকে অবহিত করবেন। এই প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্থপতি বিজয় শংকর তালুকদার ও প্রকৌশলী অনুরূপ চৌধুরী। 

কিন্তু দায়িত্ব থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন স্থপতি বিজয় শংকর। তিনি বলেন, আমার নকশায় ভবনের অনুমোদনের পর ভবনের মালিকপক্ষ আর আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখেনি। আমার নকশা অনুযায়ী এই ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে কি না, তা অবগত না থাকায় দায়িত্ব থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছি এবং সিডিএকেও চিঠি দিয়ে অবগত করেছি।

এদিকে, সিডিএর অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী ভবন নির্মাণের কাজ না করায় কারণ জানাতে নোটিস দিয়ে কাজ বন্ধ রাখার জন্য বলেছেন সংস্থার অথরাইজড অফিসার-২ তানজিব হোসেন। চিঠিতে বলা হয়, নির্মাণকাজ শুরুর আগে পরিবেশ অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স থেকে ছাড়পত্র নিতে হবে। কিন্তু ছাড়পত্র না নিয়ে শর্ত ভঙ্গ করা হয়েছে। এ ছাড়া নির্মাণসংশ্লিষ্ট আরও কিছু শর্তও ভঙ্গ করা হয়েছে। 

গত ২৮ জানুয়ারি জমিমালিকদের পক্ষ থেকে সজল চৌধুরীর স্বাক্ষরে এই নোটিসের জবাব দেয়া হয়েছে। এতে দাবি করা হয়েছে, ‘আমরা কোনো পাহাড় কাটছি না। আমরা ভবন ও পার্কিং নির্মাণের জন্য লেভেলিং ও মাটি ড্রেসিং করছি। এ ছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তর ও ফায়ার সার্ভিসে আবেদন করেছি। ছাড়পত্র পেলে সিডিএতে জমা দেব।’

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
বর্তমানে ছাত্রদের নেতৃত্ব দেয়ার কেউ নেই: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী - dainik shiksha বর্তমানে ছাত্রদের নেতৃত্ব দেয়ার কেউ নেই: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী শিক্ষাখাতের নতুন তদবিরবাজ তিতাস! - dainik shiksha শিক্ষাখাতের নতুন তদবিরবাজ তিতাস! শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভাজন তৈরির চেষ্টা চলছে: সমন্বয়ক হান্নান - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভাজন তৈরির চেষ্টা চলছে: সমন্বয়ক হান্নান তদন্ত রিপোর্ট না দিয়েই সটকে পড়ছেন শিক্ষা পরিদর্শকরা - dainik shiksha তদন্ত রিপোর্ট না দিয়েই সটকে পড়ছেন শিক্ষা পরিদর্শকরা বরখাস্ত হচ্ছেন শিক্ষা বোর্ডের সেই সচিব নারায়ণ নাথ - dainik shiksha বরখাস্ত হচ্ছেন শিক্ষা বোর্ডের সেই সচিব নারায়ণ নাথ আমরা চাই না ছাত্রদের কঠোর হয়ে দমন করতে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা - dainik shiksha আমরা চাই না ছাত্রদের কঠোর হয়ে দমন করতে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0050220489501953