দীর্ঘ ১৩ মাস ধরে বেতন বন্ধ বরিশালের বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অনার্স শাখার (ননএমপিও) শিক্ষকদের। এর প্রতিবাদ এবং বকেয়া বেতনের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন তারা। এসময় কলেজের প্রশাসনিক ভবন ও মূল ফটকে এবং অধ্যক্ষকে তার কক্ষে তালাবদ্ধ করে অবরুদ্ধ রাখেন তারা।
মঙ্গলবার সকালে বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে এ ঘটনা ঘটেছে। এসময় ১৩ মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ না করা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন অনার্স শিক্ষকরা।
তবে দুপুর ২ টার দিকে গর্ভনিং বডির সদস্য মোস্তফা কামাল চিশতী ও মাসুদ করিম লাভু ঘটনাস্থলে এসে শিক্ষকদের নিয়ে বসে সমাধানের আশ্বাস দিলে কর্মসূচি তুলে নেন আন্দোলনরত ১০ জন ননএমপিও শিক্ষক।
আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অনার্স শাখার রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ননএমপিও প্রভাষক মো. মোকলেছুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমাদের ১৩ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। অথচ অনার্সের ৫টি ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীদের থেকে পাওয়া আয় থেকে এমপিও শিক্ষকরা টাকা নিচ্ছেন। যেটা সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূত। আমরা ননএমপিও শিক্ষকরা ২-৫ হাজার টাকা যাতায়াত খরচ বাবদ নিয়ে থাকি প্রতিষ্ঠান থেকে।
তিনি বলেন, নিয়ম হচ্ছে কলেজের আয় থেকে আমাদের বেতন পরিশোধ করবে কর্তৃপক্ষ। অথচ আমাদের বেতন না দিয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সম্মানীর নামে ৭ লাখ টাকার দুর্নীতি করা হয়েছে। আমরা ঈদের আগে আমাদের পাওনা বুঝে পেতে চাই।
তিনি আরো বলেন, প্রতিষ্ঠানের গর্ভানিং বডির সদস্যরা বুধবার সকালে আমাদের নিয়ে বসে সমাধান করার আশ্বাস দেয়ায় কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।
বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এস এম খলিলুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আন্দোলনকারী ননএমপিও শিক্ষকদের কোনো বেতন বকেয়া নেই। তারা পাঠদান বাবদ প্রতিক্লাসে ১০০ টাকা করে পেয়ে থাকেন। সেখানে হয়তো কিছু দাবি-দাওয়া থাকতে পারে। তাদের দাবি থাকলে আলোচনায় বসতে পারে। এ কারণে কলেজ ক্যাম্পাসে তালা ঝুলিয়ে অবরুদ্ধ করে আন্দোলন করা কাম্য নয়।
গর্ভনিং বডির শিক্ষানুরাগী সদস্য মোস্তফা কামাল চিশতি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমাকে অধ্যক্ষ স্যার ফোন দিয়ে আন্দোলনের কথা জানান। আমি ঘটনাস্থলে এসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে নিয়ে অধ্যক্ষের রুমের তালা খুলে আলোচনায় বসি। আলোচনার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বুধবার সকালে কলেজ প্রশাসন, ম্যানেজিং কমিটি ও আন্দোলনকারীদের নিয়ে বসে বিষয়টি সমাধান করা হবে।