১৩তম নিবন্ধিতদের জন্য শিক্ষক নিয়োগে পদ সংরক্ষণ চাই

অধ্যক্ষ মুজম্মিল আলী |

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে শিগগির ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে যাচ্ছে বলে দৈনিক শিক্ষাডটকম ও দৈনিক আমাদের বার্তায় প্রকাশিত বিশেষ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে । বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে এবার বড় ধরনের একটি নিয়োগ দেয়া হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন। এর ফলে শিক্ষক স্বল্পতা কিছুটা হলেও দূর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এমনিতে নানা সমস্যায় জর্জরিত। তন্মধ্যে শিক্ষক সঙ্কট একটি বড় বিষয়। সারাদেশে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক, বিশেষ করে গণিত ও ইংরেজি শিক্ষকের মারাত্মক সঙ্কট বিদ্যমান রয়েছে। নব্বই

দশকের মাঝামাঝি সময়ে এরশাদ সরকারের আমলে ছাত্রদের বাহবা কুড়াতে স্নাতক শ্রেণিতে ইংরেজি বিষয় আবশ্যিকের পরিবর্তে ঐচ্ছিক করে দেয়া হয়। ফলে অনেকে ডিগ্রি পর্যায়ে ইংরেজি পড়া ছেড়ে দেয়। এর কয়েক বছর যেতে না যেতে সঙ্গতকারণে আমাদের মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ইংরেজি শিক্ষকের দারুণ সঙ্কটে পড়তে শুরু করে। সেই সমস্যা এখনো চলমান রয়েছে। হয়তো বা আরো অনেক দিন চলবে। এছাড়া শিক্ষক নিয়োগের জন্য এনটিআরসিএর তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের অন্য প্রতিষ্ঠানে শূন্যপদে আবেদনের সুযোগ দেয়ায় অনেক প্রতিষ্ঠান নতুন করে শিক্ষক সঙ্কটে পড়ে। শূন্যপদ পূরণ করতে গিয়ে বহু জায়গায় নতুন করে পদও শূন্য হয়ে যায়। বিষয়টি অনুধাবন করে আসন্ন ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে এ সুযোগ আর থাকছে না বলে জানা গেছে। এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের জন্য এর বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে দ্রুত বদলি চালু করার জোর দাবি জানাই।

এনটিআরসিএর মতিগতি বুঝতে পারা এক কঠিন কাজ। এরা স্বাধীনভাবে কাজ করার নামে মাঝে-মধ্যে গেজেট, পরিপত্র এবং আদালতের রায়ের কোনো তোয়াক্কা করেন না। শিক্ষায় এরকম স্বেচ্ছাচারিতা কাম্য নয়। এ রকম করে তারা অনেকের জীবন সর্বনাশ করে ফেলেছে। বহু তরুণ ও মেধাবী শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়েও শিক্ষকতার মহান পেশায় প্রবেশ করতে পারছেন না। নানা কারণে নিয়োগ বঞ্চিত থেকে যান। আজকাল যেখানে মেধাবী শিক্ষকের আকাল, সেখানে উচ্চ শিক্ষিত মেধাবী নিবন্ধনধারী তরুণদের শিক্ষকতায় প্রবেশের দ্বার রুদ্ধ করে দেওয়ার কোনো মানে হয় না। এ প্রসঙ্গে ১৩তম নিবন্ধনধারী নিয়োগবঞ্চিত কয়েক হাজার শিক্ষক প্রত্যাশীর কষ্টের কথা বলতে হয়। ২০১৫  খ্রিষ্টাব্দে  শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার সার্কুলার অনুসারে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

সেটি সর্বপ্রথম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা, যখন থেকে প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে চূড়ান্ত রেজাল্ট দেয়া শুরু হয়। এর আগে এমসিকিউ পদ্ধতিতে কেবল লিখিত পরীক্ষা নিয়ে নিবন্ধন দেয়া হতো। সেই সনদের মানে এই নয় যে তাকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া, বরং সেটা ছিলো আবেদন করার যোগ্যতা অর্জনের জন্য। ২০১৫  খ্রিষ্টাব্দে  চাহিদা মতো বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠান সমূহে ১৫ হাজার শিক্ষকের পদ শুন্য ছিলো। সার্কুলার দেওয়ার পর নিবন্ধন পরীক্ষার জন্য ৬ লাখ ২ হাজার ৫ শত ৩৩ জন প্রার্থী আবেদন করেন। তাদের মধ্যে মাধ্যমিক ও সমমানে বাছাইকৃত ৯০ হাজার ৯৪ জন এবং উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানে বাছাইকৃত ৫৫ হাজার ৬ শত ৯৮ জন লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হন ১৭ হাজার ২ শত ৫৪ জন।

উত্তীর্ণদের নিজ নিজ উপজেলা, জেলা অথবা বিভাগে নিয়োগ দেওয়ার কথা ছিলো। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিজ উপজেলায়, পদ না থাকলে নিজ জেলায় এবং সর্বোপরি উপজেলা ও জেলায় পদ না থাকলে বিভাগের মধ্যে কোথাও তাঁদের পোস্টিংয়ের বিষয়ে স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষাসচিব, এনটিআরসিএ'র চেয়ারম্যানসহ আরো অনেকে দিয়েছিলেন। শিক্ষা বিষয়ক দেশের একমাত্র ডিজিটাল পত্রিকা দৈনিক শিক্ষাড্টকম-এ সেগুলো প্রকাশিত হয়েছিলো। নিবন্ধনের এতগুলো কঠিন সিঁড়ি পেরিয়ে আসার পরও কোন অদৃশ্য কারণে কৃতকার্যদের নিয়োগ দেয়া হয়নি। এরপর থেকে কৃতকার্যরা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এবং এনটিআরসিএতে বহু বার যোগাযোগ করেন। কিন্তু, কেউ তাদের কথায় কর্ণপাত করেননি। তাদের দিকে ফিরে তাকাননি। তারা নিয়োগ বঞ্চিত থেকে যান। যে যাই বলুন না কেন, ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দ  থেকে এনটিআরসিএ যে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা নেয়া শুরু করে, সেটি মোটামুটি ভালোই। আমি এমন অনেক মেধাবীকে জানি, যারা শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি, অথচ বিসিএস পরীক্ষায় ঠিকই পাস করেছেন। এইসব মেধাবীদের নিয়োগ না দিয়ে ঘরে বসিয়ে রেখে কী লাভ ? শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণের পর নিয়োগ পাওয়ার জন্য তাদের আইন-আদালতের দ্বারস্থ হতে হবে কেনো, সেটি আমার বোধগম্য হয় না। আদালত যখন এনটিআরসিএকে কৃতকার্যদের নিয়োগ দিতে বলে, তখনো কি তাদের এতটুকু হুঁশ হয় না ? আদালতের রায়ের পর নিবন্ধনধারীদের নিয়োগ না দিয়ে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে যাওয়া কেমন হঠকারিতা ?  

বলছিলাম ১৩তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নিয়োগ বঞ্চিতদের দুঃখ-কষ্টের কথা। এক পর্যায়ে নিয়োগের কোনো আশা  দেখতে না পেয়ে নিয়োগবঞ্চিত ২ হাজার ২ শত ৭ জন নিবন্ধনধারী মহামান্য হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে মহামান্য আদালত তাদের পক্ষে রায় দেন। রিটকারী শিক্ষক প্রত্যাশীদের নিয়োগ দিতে আদালত থেকে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেয়া হয়। কিন্তু এনটিআরসিএ তাদের নিয়োগ না দিয়ে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে বসেন। ২০১৯  খ্রিষ্টাব্দে তাদের লিভ টু আপিল ৩৪৩/২০১৯ মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নিষ্পত্তি হয়। উক্ত রিট মামলার রায়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের পূর্বের রায় বহাল রেখে রিটকারীদের নিয়োগ দিতে এনটিআরসিএকে নির্দেশনা দেয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে ২০২১-তে ৩য় গণবিজ্ঞপ্তিতে ২ হাজার ২শ ৭টি পদ সংরক্ষণ করে তাদের নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু রিটের বাইরে যারা ছিলেন, তারা বঞ্চিত থেকে যান। আমরা মনে করি, এনটিআরসিএ আন্তরিক হলে হাইকোর্টের রায় ও আপিল বিভাগের রিট মামলার রায় আমলে নিয়ে ১৩তম নিবন্ধনধারী নিয়োগ বঞ্চিত সকলকে নিয়োগ দিতে পারতো। একই পরিপত্র, একই সার্কুলার এবং একই পরীক্ষায় তারা সবাই উত্তীর্ণ। এই ঐতিহাসিক রায়ের মাধ্যমে ১৩তম নিবন্ধনধারী নিয়োগ বঞ্চিত সকলেই নিয়োগ লাভের অধিকার লাভ করেন। কেননা, আমাদের পবিত্র সংবিধানে 'চাকুরি লাভের ক্ষেত্রে সকলের সমান অধিকার' কথাটি সংযুক্ত রয়েছে। অবশিষ্টদের নিয়োগের ব্যবস্থা না করে প্রকারান্তরে এনটিআরসিএ  আইন ও সংবিধান পরিপন্থি কাজ করেছেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই। এখানে তাদের কী স্বার্থ রয়েছে, তা খুঁজে কিংবা ভেবে পাইনা।

এমতাবস্থায় নিয়োগ বঞ্চিত আরো ২ হাজার ৫ শত জন ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে হাইকোর্ট বিভাগে আরেকটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে মহামান্য আদালত পুনরায় রিটকারীদের পক্ষে রায় দেন এবং এই মর্মে নির্দেশ প্রদান করেন যে, যেহেতু সিভিল লিভ টু আপিল ৩৪৩/২০১৯ মামলা নিষ্পত্তির ফলে ইতোপূর্বে ২ হাজার ২ শত ৭ জন নিয়োগ পেয়েছেন, সেহেতু বর্তমান পিটিশনাররা তাদেরই উত্তরসূরি। তাই একই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ অবশিষ্টদের অনতিবিলম্বে ৬০ দিনের মধ্যে নিয়োগ প্রদান করতে হবে। কিন্তু, এনটিআরসিএ সে পথে না গিয়ে পুনরায় রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে বসেন। একই গেজেট, পরিপত্র ও রায়ের বিরুদ্ধে বার বার আপিল করার বিষয়টি আমাদের কাছে বোধগম্য নয়। এর ফলে নিয়োগ বঞ্চিত ১৩তম নিবন্ধনধারীরা এবং তাদের পরিবার-পরিজন নতুন করে হতাশ  হয়ে পড়েন। অধিকন্তু, রায় না মেনে বার বার আপিল করে জনস্বার্থ ও সাংবিধানিক অধিকার সংশ্লিষ্ট বিষয়টি আটকিয়ে রেখে বেকারত্ব বৃদ্ধির দায়ে এই প্রতিষ্ঠানটির প্রতি অনেকের আস্থা-বিশ্বাস হারিয়ে যাচ্ছে ।

সঙ্গতকারণে যে কারো মনে প্রশ্ন জাগা খুবই স্বাভাবিক যে, কেনো এবং কোন উদ্দেশ্যে এনটিআরসিএ ১৩তম নিবন্ধনধারীদের সঙ্গে এ বৈরি আচরণ করছেন ? এর পেছনে আসল রহস্যটা কী ? সন্দেহ হয়, মামলা কিংবা আপিল মামলা চালাতে গিয়ে টাকা-পয়সা খরচের ব্যাপার আছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কেউ কেউ হয়তো টাকা–কড়ি হাতিয়ে নেবার সুযোগ পান। উল্টাপাল্টা ভাউচার তৈরি করে এক টাকার জায়গায় একশ' টাকা লিখে টাকা উপার্জনের সুযোগ হাতছাড়া না করতে আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে অনেকে অতিশয় উৎসাহি হয়ে ওঠেন। আমাদের দেশে এসব নতুন কোনো অভিজ্ঞতা নয়।

খুব শিগগিরই শিক্ষক নিয়োগের জন্য এনটিআরসিএ ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে যাচ্ছে। দৈনিক আমাদের বার্তায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতির জন্য তারা প্রস্তাবনা প্রেরণ করেছেন। মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পেলেই গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে। এবার একটি বড় ধরণের শিক্ষক নিয়োগ হবে বলে জানা গেছে। প্রায় সত্তর হাজার শূন্য ও নবসৃষ্ট পদে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। আমরা মনে করি, ১৩তম নিবন্ধনধারীদের মধ্যে যারা এখনো নিয়োগ বঞ্চিত রয়েছেন, তাদের এই সুযোগে এনটিআরসিএ নিয়োগদানের একটি স্বপ্রণোদিত উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। ৩য় গণবিজ্ঞপ্তিতে যেমন প্রথম রিটকারীদের জন্য পদ সংরক্ষণ করা হয়েছিল, তেমনি ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে অবশিষ্ট নিয়োগ বঞ্চিত সবার জন্য পদ সংরক্ষণ করে নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একই সঙ্গে বিষয়টির প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরগুলোর সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আশা করি, তারাও এ ব্যাপারে এগিয়ে আসবেন। আর তা হলে এনটিআরসিএর প্রতি মানুষের হারানো আস্থা ও বিশ্বাস কিছুটা বাড়বে এবং স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো উচ্চ শিক্ষিত মেধাবী শিক্ষকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠবে। উপকৃত হবে দেশ ও জাতি। নতুন প্রজন্ম আলোকিত বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে নিজেদের উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার সুযোগ পাবে। নিয়োগ বঞ্চিত শিক্ষক প্রত্যাশী  ও তাদের পরিবার-পরিজন হতাশা থেকে মুক্ত হয়ে সুন্দর এক আলোকিত পৃথিবীর মুখ দেখতে পাবেন।

লেখক : দৈনিক শিক্ষা ও দৈনিক আমাদের বার্তার( লন্ডনে অবস্থানরত) আবাসিক সম্পাদক।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
এমপিও কোড পেলো আরো ১৪ স্কুল-কলেজ - dainik shiksha এমপিও কোড পেলো আরো ১৪ স্কুল-কলেজ নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হিটস্ট্রোকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র তূর্যের মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র তূর্যের মৃত্যু পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ - dainik shiksha পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী - dainik shiksha ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ - dainik shiksha প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0053591728210449