ব্যাটিং কিংবা বোলিং-ফিল্ডিং সব বিভাগেই আজ ব্যর্থ বাংলাদেশ দল। সেটার খেসারতও দিতে হয়েছে চড়া মূল্যে। বড় হারে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ খোয়ালো তামিম ইকবালের দল। আগে ব্যাট করে জেসন রয়ের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশকে ৩২৭ রানের বিশাল লক্ষ্য দেয় ইংল্যান্ড। জবাবে ব্যাটিং বিপর্যয়ে ৪৪.৪ ওভারে ১৯৪ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। বাংলাদেশ হারে ১৩২ রানে। এই হারে প্রায় ৬ বছর পর ঘরের মাঠে সিরিজ হারের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে সবশেষ ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই সিরিজ হেরেছিল তারা।
ইংল্যান্ডের পাহাড়সম টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই স্বাগতিকদের এলেমেলো করে দেয় স্যাম কারানের। তার বোলিং তোপে দলীয় ৯ রানেই সাজঘরে ফিরতে হয় লিটন-শান্ত-মুশফিককে। প্রথম ওভারে তার জোড়া আঘাতে গোল্ডেন ডাক মারেন শান্ত-লিটন। আক্রমণের ধার বজায় রেখে নিজের দ্বিতীয় ওভারে মুশফিককে(৪) ফেরান বাঁহাতি এই পেসার।
৯ রানে তিন উইকেট হারানোর ধাক্কার পর দলের হাল ধরেছিলেন সাকিব-তামিম। জুটির পঞ্চাশ পেরিয়ে ছুটছিল তারা, তবে বেশিদূর যেতে পারেননি। চতুর্থ উইকেটে সাকিব-তামিমের জুটি থেমেছে ৭৯ রানেই। মঈন আলীকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে জেমস ভিন্সের হাতে ধরা পড়েন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ৬৫ বলে ৩৫ রান করেন তামিম।
সাকিব-তামিম ব্যাটিং থাকায় আদিল রশিদকে আনেনি বাটলার। তামিম ফিরতেই রশিদকে দিয়ে সাকিবকে আউট করে ইংল্যান্ড। টাইগার এই অলরাউন্ডার আজ বাংলাদেশের হয়ে খেলেছেন ৪০০তম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। এমন মাইলফলকের ম্যাচে ৫ চারে ৬৯ বলে ৫৮ রান করেছেন সাকিব।
মাহমুদউল্লাহ-আফিফের জুটিও জমে যাচ্ছিল। তবে ৭ রানের ব্যবধানে দুজনেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেছেন। আফিফ করেন ২৩ রান। আফিফ ফিরতে না ফিরতেই আউট মাহমুদউল্লাহ (৩২)। মূলত তার বিদায়েই লড়াই থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ। শেষদিকে তাসকিন-মিরাজ শুধু পরাজয়ের ব্যবধানটাই কমিয়েছেন। তাসকিনের ব্যাট থেকে আসে ২১ রান। এছাড়া মিরাজ ৭ ও মুস্তাফিজ শূন্যরানে আউট হন। ১ রানে অপরাজিত থাকেন তাইজুল। বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১৯৪ রানে।
ইংলিশ পেসার স্যাম কারেন ২৯ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন। ৪৫ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন আদিল রশিদ। একটি নিয়েছেন মঈন আলী।
এর আগে জেসন রয়ের সেঞ্চুরি ও জস বাটলারের ফিফটিতে ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩২৬ রান করে ইংল্যান্ড। বাংলাদেশের মাটিতে এটিই তাদের দলীয় সর্বোচ্চ। ১২৪ বলে ১৩২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন জেসন রয়। বাটলারের ব্যাট থেকে আসে ৬৪ বলে ৭৬ রানের ঝকঝকে ইনিংস। মঈন আলী ৩৫ বলে ৪২ এবং স্যাম কারেন ১৯ বলে ৩৩ রান করেন।
বাংলাদেশের সব বোলারই ছিলেন খরুচে। তাইজুল ও সাকিব ১০ ওভার হাত ঘুরিয়ে যথাক্রমে ৫৮ ও ৬৪ রান দিয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন। মিরাজ ১০ ওভারে ৭৩ রান দিয়ে নিয়েছেন দুই উইকেট। মুস্তাফিজ তার ১০ ওভারে ৬৩ রান দিয়ে উইকেট শূন্য থাকেন। সেরা বোলিং করেছেন তাসকিন। তার ১০ ওভারে ৬৬ রান আসলেও তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নিয়েছেন তিনি।