কুড়িগ্রামে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ১৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও কর্মচারীকে জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম নুরনবী হলোখানা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। অভিযোগকারী হারুন অর রশীদ একই বিদ্যালয়ের পিয়ন পদে কর্মরত।
হারুন অর রশীদ অভিযোগ করে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম আমাকে জামায়াতের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করতে চাপ সৃষ্টি করে আসছেন।
তিনি আমার ছোটো ভাই হাসান দেওয়ানের কাছ থেকে ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে তার স্ত্রীর নামের জমি ও বাড়ির বিক্রির কথা বলে ১৫ লাখ টাকা নেন। পরে তিনি ওই জমি বিক্রি করেননি। টাকাও ফিরিয়ে দিতে গড়িমশি করেন। ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় চেকটি ব্যাংক ডিজঅনার করে। আমার ভাই প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতির জন্য লিগ্যাল নোটিশ দেন। এতে প্রধান শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে চাকরিচ্যুত করতে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন কল্পিত অভিযোগ এনে সভাপতির কাছে অভিযোগ করেন। তিনি আমাকে শোকজও করিয়েছেন। পরে তিনি আমাকে ও আমার ভাইকে দমন করতে চেক চুরির মিথ্যা অভিযোগে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা চেক চুরির ঘটনা তদন্ত করে আমার ও আমার ভাই হাসান দেওয়ানের কোনো সংশ্লিষ্টতা পাননি।জানতে চাইলে হাসান দেওয়ান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, একদিকে জমি বিক্রির ১৫ লাখ টাকা ফেরত দিচ্ছেন না, অপরদিকে বড় ভাইকে চাকরি থেকে বরখাস্তর চেষ্টা করছেন। আমি সুবিচারের জন্য আদালতের দারস্ত হয়েছি।
জানতে চাইলে নুরনবী হলোখানা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে জামায়াতের রাজনীতি করার অভিযোগটি সত্য নয়। আমার নামে মামলাটিও সাজানো। এ ব্যাপারে আদালতে পাল্টাপাল্টি মামলা রয়েছে।