আগামী ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যেই বিদ্যুতের সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা আওতায় এনেছে। যার ফলে মানুষের অভ্যাস ও দেশের পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমানে দেশে বিদ্যুতের বহুমাত্রিক ব্যবহার হয়। এখন বিশ্ব মন্দা ও যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে। ১৫ থেকে ২০ দিনের এই সমস্যার সমাধান হবে, ইনশাআল্লাহ।
বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বিশ্ব সমুদ্র দিবস উপলক্ষে এক সেমিনারে শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিলো তখন ৩ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো। এখন যেকোনো সময় ১৮ থেকে ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহের সক্ষমতা সরকারের আছে। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিলো তখন দেশের ৪০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় ছিলো। এখন দেশের শতভাগ মানুষ এর আওতায় এসেছে। বিদ্যুৎ সুবিধা পেয়ে মানুষের অভ্যাসের পরিবর্তন হয়ে গেছে। গ্রামেও এখন মানুষ এসি চালায়। মসজিদ-মন্দির-প্যাগোডায় এখন এসি চলে। ১৩-১৪ বছর আগে মানুষ এগুলো কখনো ভাবেনি।
তিনি আরো বলেন, ১৭ কোটি মানুষের এদেশে সাড়ে ১৫ কোটি মোবাইল ব্যবহারকারী। অন্যদিকে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে প্রতিদিন আড়াই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। এখন মানুষ বৈদ্যুতিক চুলাতেও রান্না করছে। মানুষের জীবনযাত্রায় বিশাল পরিবর্তন এসেছে। আমরা কী তাহলে ভুল করেছি এতো সুযোগ সুবিধা দিয়ে। নিশ্চয় তা করিনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই অসুবিধাটা সাময়িক। খুব দ্রুত সমাধান হবে।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নয়। চলতি সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে। বিএনপি যেসব দেশের কাছে ধরণা দেয় সেসব দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় বাংলাদেশেও সেই গণতান্ত্রিক ধারায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।