১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দের জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিবেশীকে ছুরিকাঘাতে খুন করে পালিয়েছিলেন। তখন তার বয়স ছিল ১৬ বছর। এরপর কেটে গেছে প্রায় ৩৩ বছর। হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে তার। সম্প্রতি বোনের মৃত্যুর পর কুলখানিতে অংশ নিতে গ্রামের বাড়ি এসেছিলেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে বোরকা পরে চলাচল করছিলেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি, পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন মাসুক মিয়া (৫৬)।
বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার মাসুক সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের করগাঁও গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিলে করগাঁও গ্রামের আব্দুস সালাম নামের এক ব্যক্তি পুরকায়স্থ বাজার থেকে গ্রামে ফেরার পথে ছুরিকাঘাতে খুন হন। এ ঘটনায় ওই বছরের ১৩ এপ্রিল মামলা করেছিলেন নিহত ব্যক্তির এক স্বজন। এই মামলার আসামি ছিলেন মাসুক মিয়া। ঘটনার পর তিনি ভারতে পালিয়ে যান। এরমধ্যে হত্যা মামলায় ১৯৯২ খ্রিষ্টাব্দের মাসুকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।
পুলিশ জানায়, সম্প্রতি বোনের কুলখানিতে অংশ নিতে মাসুক ভারত থেকে নিজ এলাকায় আসেন। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে বোরকা পরে এলাকায় গিয়েছিলেন। বোরকা পরেই বাড়িতে প্রবেশ করেন। পলাতক আসামি এলাকায় ফিরেছেন এমন তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে মাসুকের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, মাসুক আগেও একাধিকার বোরকা পরে এলাকায় যাতায়াত করেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন। তবে এবার তিনি পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে পারেননি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
ওসি বলেন, বোনের কুলখানিতে অংশ নিতে তিনি সম্প্রতি দেশে এসেছিলেন। মাসুক মিয়া ভারতের আসামে থাকেন এবং এর আগে সৌদি আরবেও ছিলেন। আসামে তিনি বিয়ে করেছিলেন। তবে নিঃসন্তান হওয়ায় স্ত্রীর সাথে তার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন।