ফের রাজপথে নামার ঘোষণা দিয়েছেন ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও বয়স জটিলতায় পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগ না পাওয়া প্রার্থীদের একাংশ। অন্তত একবার আবেদনের দাবিতে তারা রাজধানীতে এনটিআরসিএ অফিসের সামনে মানবন্ধন ও প্রতীকী অনশন করার পরিকল্পনা করেছেন। আগামীকাল মঙ্গলবার (৪ জুন) সকালে এনটিআরসিএ কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও অনশন কর্মসূচির পরিকল্পনার কথা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানিয়েছেন তারা।
এর আগে গত তিন মাসে তারা রিট ব্যবসায়ীদের খপ্পরে পড়ে লাখ লাখ টাকা খুইয়েছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তস্য জুনিয়র কর্মচারীদের ফাইলে মিথ্যা পজেটিভ আশ্বাসের পেছনেও লাখ লাখ খরচ করেছেন। হতাশ হয়ে পড়া ৩৫ ঊর্ধ্ব ১৭তম নিবন্ধনধারীদের কয়েকজন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন। অবশেষে ভুল বুঝতে পেরে তারা এনটিআরসিএর সামনে ফের মানবন্ধনের পরিকল্পনা করছেন।
মানববন্ধনের অন্যতম সমন্বয়কারী রাজ্জাকুল হায়দার, জমির উদ্দিন ও উত্তম সরকার। তারা বলেন, অন্যান্য গণবিজ্ঞপ্তিতে বয়সের ছাড় থাকলেও তাদেরকে সে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। তাই তারা বয়সের ছাড় দিয়ে আবেদনের সময়সীমা বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেন, ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি মাসে ১৭তম নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হয় গত বছরের ডিসেম্বরে। একটি নিবন্ধনের কার্যক্রম শেষ করতে প্রায় চার বছর লেগেছে। এতে তাদের ৭৩৯ জনের বয়স পার হয়ে গেছে। তাই এখন আবেদনের সময়সীমা বৃদ্ধির দাবি তাদের।
তারা বলেন, তারা প্রিলি, রিটেন ও ভাইভা দিয়ে একটি শিক্ষক পদের জন্য বাছাই হয়েছি। অথচ আমরা শিক্ষক পদে নিয়োগ পাচ্ছি না। এনটিআরসিএ তাদের জীবন থেকে চারটি বছর কেড়ে নিয়েছে। এনটিআরসিএ আমাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যেতে বলছে, কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না। এখন অন্তত একবার হলেও আবেদনের সুযোগ চান তারা।
তারা বলেন, যৌক্তিক দাবি আদায়ে আগামীকাল শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন ও আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করবেন। তাই সারা দেশের ১৭তম ৩৫ ঊর্ধ্ব নিবন্ধনধারীদের তাদের কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার আহবান জানানো হয়েছে।
জানা যায়, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৯৬ হাজার ৭৩৬ শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের ৫ম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ২৪ হাজারেরও কম প্রার্থী আবেদন করেছে। এতে এনটিআরসিএর নিবন্ধনে পাস করা ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনধারীরা বঞ্চিত হয়েছেন।
উল্লেখ্য-এর আগে, একই দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবে ও এনটিআরসিএ কার্যালয়ের সামনে একাধিকবার মানববন্ধন করেন ১৭তম নিবন্ধনের ৩৫ ঊর্ধ্বরা। এছাড়া আবেদনের সুযোগ চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা।