১৭ বছর ধরে শ্রেণিকক্ষে ঝুলছে বৈদ্যুৎতিক তার

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি |

আমতলীর একে হাই সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনের দেয়াল ছিদ্র করে পাশের খুটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। ১৭ বছর এভাবেই ঝুঁকি নিয়ে চলছে স্কুলটির ক্লাস। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে আবেদন করা হলেও বিষয়টি আমলে নেয়া হচ্ছে না। 

বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বিদ্যালয় ভবনের তৃতীয় তলার একটি শ্রেণিকক্ষের মধ্যে দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগের তার নেয়া হয়েছে। ওই তারের নিচেই শ্রেণিকক্ষে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা পাঠদান করছেন। বারান্দায় একটু উঁচুতে কক্ষের দেয়াল ছিদ্র করে পাশে একটি খুঁটির সঙ্গে সংযোগ দেয়া হয়েছে। ওই খুঁটি থেকে অন্তত ২০ থেকে ২৫টি বাড়িতে বৈদ্যুৎতিক সংযোগের তার নেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ওই খুটিটিও বেশ ঝুঁকিতে রয়েছে।

জানা গেছে, ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে আমতলী একে হাই সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিনতলা ভবন নির্মাণ করা হয়। ওই সময়ে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ ভবনের তৃতীয় তলার একটি কক্ষ ছিদ্র করে ভেতর দিয়ে বিদ্যুতের তার টেনে পাশ্ববর্তী খুঁটিতে সংযোগ দিয়েছেন। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অভিযোগ ভবন ছিদ্র করে বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে নিষেধ করলেও তারা তা আমলে নেননি। গত ১৭ বছর ধরেই বিদ্যালয় কক্ষে এভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে। এতে দুর্ঘটনার শঙ্কায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা।

এ নিয়ে বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হয় দৈনিক শিক্ষাডটকমের। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাদিয়া মমতাজ মিমো, উম্মে জাহান,  আরিশা, বুশরা ও আরিয়া দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, প্রতিদিন ভয়ের মধ্যেই ক্লাস করতে হচ্ছে। কখন কি হয়ে যায় এই আতঙ্কেই থাকতে হয়। দ্রুত বিদ্যালয় কক্ষ থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার দাবি জানান তিনি। 

এদিকে শিক্ষার্থীদের অভিভাবক রিপন মুন্সি, টিপু সুলতান ও রুনা বেগম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, শিশু সন্তানকে ভয়ের মধ্যেই বিদ্যালয়ে পাঠাতে হয়। বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বছরের পর বছর ভবনের দেয়াল ছিদ্র করে বিদ্যুৎতের সংযোগ দিয়ে রেখেছে। দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে শ্রেণি কক্ষ স্বাভাবিক করার দাবি তারা। 

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাইনুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আতঙ্কের মধ্যেই বিদ্যালয়ের কক্ষে কোমলমতি শিশুদের পাঠদান করাতে হয়। 

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে বেশ কয়েকবার লিখিতভাবে জানালেও তারা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ সরানোর দাবি জানান তিনি। 

এদিকে আমতলী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিস এজিএম মিন্টু রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আবেদন করে খুঁটি সরাতে প্রয়োজনীয় অর্থ বহন করলেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি - dainik shiksha শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি কারিগরি শিক্ষকদের অক্টোবর মাসের এমপিওর চেক ছাড় - dainik shiksha কারিগরি শিক্ষকদের অক্টোবর মাসের এমপিওর চেক ছাড় সরকারি কর্মচারীদের ৯ দফা নির্দেশনা - dainik shiksha সরকারি কর্মচারীদের ৯ দফা নির্দেশনা স্কুল-কলেজে বেতন ছাড়া সব ফি বেঁধে দিলো সরকার - dainik shiksha স্কুল-কলেজে বেতন ছাড়া সব ফি বেঁধে দিলো সরকার সব শিক্ষকের স্বার্থ সংরক্ষণ করে বদলির নীতিমালা : সাক্ষাৎকারে শিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha সব শিক্ষকের স্বার্থ সংরক্ষণ করে বদলির নীতিমালা : সাক্ষাৎকারে শিক্ষা উপদেষ্টা ঢাবিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা রেখেই ভর্তি কার্যক্রম - dainik shiksha ঢাবিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা রেখেই ভর্তি কার্যক্রম ক্যামব্রিয়ানের বাশারকে গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত - dainik shiksha ক্যামব্রিয়ানের বাশারকে গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: অষ্টম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি - dainik shiksha শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: অষ্টম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা কল্যাণের হবে না: ছাত্রদল সম্পাদক - dainik shiksha ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা কল্যাণের হবে না: ছাত্রদল সম্পাদক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0022518634796143