২০ বছর আগের পরীক্ষার ফল প্রকাশে হাইকোর্টের নির্দেশ

দৈনিক শিক্ষাডটকম, ইবি |

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আইন ও মুসলিম বিধান বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ বিষয়ে ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ চেয়ে করা আবেদন নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের এ আদেশ বাস্তবায়নের জন্য বলেছেন আদালত।

একই সঙ্গে এ বিষয়ে জারি করা রুলে ফলাফল প্রকাশে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

২০২২ খ্রিষ্টাব্দে ২৪ আগস্ট এ সংক্রান্ত বিষয়ে দায়ের করা রিটের শুনানি নিয়ে গত বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনির হোসেন মিয়া। তাকে সহায়তা করেছেন অ্যাডভোকেট মো. মনির হোসেন হাওলাদার।বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) আদেশের বিষয়টি  নিশ্চিত করেছেন রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনির হোসেন হাওলাদার।

তিনি জানান, ইবির আইন ও মুসলিম বিধান বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছিল। রিটে ফলাফল প্রকাশে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে রুল জারির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

২০২২ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ আগস্ট হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় মো. শের-ই আলম সোহাগ নামে এক প্রার্থীর পক্ষে রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী।

রিটে শিক্ষা সচিব, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান, ইবির ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি), ইবির রেজিস্ট্রার ও আইন বিভাগের চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে। ওই রিটের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন আদালত।

রিটকারী আইনজীবী জানান, ইবির আইন ও মুসলিম বিধান বিভাগে একজন (প্রভাষক) শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের ১০ জুলাই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরপর ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ ডিসেম্বর সিলেকশন বোর্ড গঠন করা হয়। বোর্ডের বিষয়ে ওই বছরের ২৩ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সেটি আর হয়নি।

এরই ধারাবাহিকতায় প্রভাষক পদের ওই প্রার্থী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন দপ্তরের ফলাফল প্রকাশের আবেদন জানান। তারপরও ফলাফল প্রকাশ না করায় সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। লিগ্যাল নোটিশের পরও কোনো ধরনের পদক্ষেপ না নেওয়ায় রিট আবেদন করা হয় বলে জানান আইনজীবী। ওই রিটের বিষয়ে শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন হাইকোর্ট।

জানা গেছে, প্রকাশিত নিয়োগ বোর্ডটি অনেক বিতর্কের পর ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। বোর্ডের বিরুদ্ধে বিভাগের শিক্ষকদের লিখিত অভিযোগের ফলে পরবর্তীতে সিন্ডিকেট এ বিষয়ে আর কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
মিনিস্ট্রি অডিটরদের গরুর দড়িতে বাঁধবেন শিক্ষকরা! - dainik shiksha মিনিস্ট্রি অডিটরদের গরুর দড়িতে বাঁধবেন শিক্ষকরা! অ্যাডহক কমিটি সংক্রান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha অ্যাডহক কমিটি সংক্রান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে সোহরাওয়ার্দী কলেজ যেনো ধ্বং*সস্তূপ - dainik shiksha সোহরাওয়ার্দী কলেজ যেনো ধ্বং*সস্তূপ জোরপূর্বক পদত্যাগে করানো সেই শিক্ষকের জানাজায় মানুষের ঢল - dainik shiksha জোরপূর্বক পদত্যাগে করানো সেই শিক্ষকের জানাজায় মানুষের ঢল শিক্ষাব্যবস্থার ত্রুটি সারানোর এখনই সময় - dainik shiksha শিক্ষাব্যবস্থার ত্রুটি সারানোর এখনই সময় কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0027661323547363