ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মাকসুদ কামাল বলেছেন, আমরা যে প্রতিশ্রুতি নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি তা হলো, ২০৩৫ খ্রিষ্টাব্দ নাগাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি উচ্চতর গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা। ২০৪৫ খ্রিষ্টাব্দে এটাকে গবেষণাপ্রধান বিশ্ববিদ্যালয় করা।
সোমবার (১ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) পায়রা চত্বরে আয়োজিত উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তেব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন “ইতোমধ্যে আমরা একাডেমিক ডেভেলপমেন্ট এবং ডিজিটাল মাস্টার প্লান হাতে নিয়েছি। মাস্টার প্লানের প্রথম অংশ অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। এছাড়া একাডেমিক ডেভেলপমেন্টের যে প্ল্যান তা আমরা সরকারের কাছে পাঠিয়েছি। সেই অনুযায়ী আমরা আগামীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্ব শিক্ষা মানচিত্রে একটি অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবো।”
তিনি আরো বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বাড়াতে হবে। সে যেকোনো বিভাগে পড়ুক না কেনো তার মধ্যে সব ধরনের মানবিক গুণাবলি সৃষ্টি করার পাশাপাশি চতুর্থ শিল্প বিপ্লব এবং আগত পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। তাদেরকে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষার্থীতে পরিণত করতে হবে।
“বিভিন্ন দেশ বিশ্ববিদ্যালয় সৃষ্টি করে, কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বে একটি জাতিকে সৃষ্টি করেছে। একটি জাতি সত্তার উন্মেষের জন্য যে ধরনের উপলক্ষ দরকার বিশ্ববিদ্যালয় তার সব কিছু করেছে। সেই বিবেচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি অন্যন্য অসাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়।”
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা, বিশ্ববিদ্যালয় ও হলসমূহের পতাকা উত্তোলন, পায়রা, বেলুন ও ফেস্টুন উড়ানো হয়। সংগীত বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয়ের থিমসং ও উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশিত হয়। পরে ১০৪তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে ১০৪ পাউন্ডের কেক কাটার মাধ্যমে দিবসটি উদ্বোধন করা হয়।