দীর্ঘ সাত বছর পর আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ষষ্ঠ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ খান অনুশাসন প্রদান করেছেন। সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব শতরূপা তালুকদার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, 'আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে তিনটায় এ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে। এমতাবস্থায়, বর্ণিত অনুশাসনের আলোকে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।'
এই সমাবর্তনে প্রায় ৩২ হাজার গ্রাজুয়েটের মাঝে সনদপত্র প্রদান করা হবে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. নজরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত স্নাতকধারী (সম্মান) ১২ হাজার ৪৬৮ জন, স্নাতোকোত্তর সম্পন্নকারী ১০ হাজার ৩৭১ জন, উইকেন্ড প্রোগ্রামের ৮ হাজার ৭৫ জন ও এমপিল-পিএইচডি সম্পন্নকারী ৯৫০ জন সহ মোট ৩১ হাজার ৮৬৪ জনের সনদপত্র প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে সমাবর্তনের আগে আরও কয়েকটি বিভাগের ফল প্রকাশিত হবে। এতে গ্রাজুয়েটদের সংখ্যা আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
এছাড়া, ২০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটে সমাবর্তনের ফি নির্ধারণ করা হয়। এতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর আলাদাভাবে ২ হাজার ৫০০ টাকা ও একসাথে ৪ হাজার টাকা, এমফিল ডিগ্রির জন্য ৫ হাজার টাকা, পিএইচডি ডিগ্রির জন্য ৭ হাজার টাকা এবং উইকেন্ড/ইভিনিং প্রোগ্রামের জন্য ৮ হাজার টাকা সমাবর্তন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান রেজিস্ট্রেশন কমিটির সদস্য সচিব সৈয়দ মোহাম্মদ আলী রেজা।
তবে রেজিস্ট্রার কার্যক্রম এখনও শুরু হয়নি। এবিষয়ে তিনি বলেন, ২৫ তারিখ একটা সভা আছে। সেখানেই সিদ্ধান্ত হবে। তবে আমরা পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে তা শুরু করতে পারব বলে মনে করি। এর আগেও শুরু হতে পারে রেজিস্ট্রার কার্যক্রম।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ বলেন, 'আমরা একটু আগে চ্যান্সেলরের অনুমতি পেয়েছি। নির্ধারিত তারিখে সমাবর্তন আয়োজনের কাজ চলছে।'
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২ বছরে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে মাত্র পাঁচবার। প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ২৬ বছরে ১৯৯৭ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। পরে ২০০১ খ্রিষ্টাব্দে দ্বিতীয় সমাবর্তন, ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে তৃতীয় সমাবর্তন, ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে চতুর্থ সমাবর্তন এবং সর্বশেষ ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়।