বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের নির্মাণকাজ নয় মাসে শেষ হওয়ার কথা। অথচ তিন বছর পেরিয়ে গেলেও বড়লেখা উপজেলার চান্দগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের কাজ শেষ করেননি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। এই অবস্থায় প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়-কাম শিক্ষক মিলনায়তনে চলছে প্রাক-প্রাথমিকের শ্রেণি কার্যক্রম।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বড়লেখা উপজেলার চান্দগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে চলছিল শ্রেণি কার্যক্রম। শ্রেণিকক্ষ সংকটে পাঠদান ব্যাহত হওয়ায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর বিদ্যালয়ে চারতলা ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট তিন কক্ষের একটি একতলা ভবন নির্মাণের বরাদ্দ দেয়।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক বিমল চন্দ্র বর্ধন জানান, কার্যাদেশ অনুযায়ী ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের আগস্টে একাডেমিক ভবনটির নির্মাণ কাজ সম্পন্নের কথা। কিন্ত ঠিকাদার প্রায় তিন বছরেও কাজ সম্পন্ন করেননি। বাধ্য হয়ে প্রায় ৩ বছর ধরে তার কার্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কার্যক্রম চালাচ্ছেন।
উপজেলা প্রকৌশলী প্রিতম সিকদার জয় জানান, কার্যাদেশ অনুযায়ী একাডেমিক ভবনের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন না করায় ইতিপূর্বে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কয়েক দফা কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন। অসুস্থতার কথা জানিয়ে ঠিকাদার সর্বশেষ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় নিয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন না করলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।