বান্দরবান সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস ৩২ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুৎ বিল বাকি রয়েছে পাঁচ লাখ টাকা । শুধু ছাত্রাবাস নয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি এখন বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত।
পার্বত্যজেলার ৭২ বছরের পুরনো এই বিদ্যালয়টিতে চলে দুই শিফটে। বর্তমান শিক্ষার্থীর সংখ্যা সহস্রাধিক। শিক্ষক ৫৩ জন থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে আছেন ৩২ জন।
স্কুলের দক্ষিণ দিকে দেয়ালের সীমানা ঘেঁষে আছে মুরগীর দোকান। দুর্গন্ধে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে টেকা ভার। এনিয়ে মুরগীর দোকান সরিয়ে নেয়ার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করা হয়েছে।
বান্দরবান সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা দিপ্তী কণা দে গণমাধ্যমকে জানান, বিদ্যালয়টিতে বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে ছয়টি শিক্ষকের পদ শূন্য। ভৌত বিজ্ঞান, জীব বিজ্ঞান ও শারীরিক শিক্ষায় প্রতি বিষয়ে দুইজন করে শিক্ষক থাকার কথা। কিন্তু একজন করে শিক্ষক আছেন অন্যান্য বিষয়সহ মোট ২১ জন শিক্ষকের শূন্যপদ রয়েছে। তবে শিক্ষকের জন্য আবেদনের প্রেক্ষিতে চলতি মাসে মাত্র একজন নতুন শিক্ষক যোগদান করেছেন বলেও জানান তিনি।
১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দে চালু করা ছাত্রাবাস ১৯৯২ খ্রিষ্টাব্দে ঠিক কি কারণে বন্ধ করে দিয়ে হাজারো শিক্ষার্থীর শিক্ষালাভ বন্ধ করেছিল, তা আজও অজানা। বর্তমানে বন্ধ ছাত্রাবাসটির বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পাঁচ লাখ টাকা রয়েছে বলে জানান প্রধান শিক্ষিকা দিপ্তী কণা দে।
বান্দরবান সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষাবিদ শম্ভু কুমার সেন (৭২) বলেন, কম-বেশি শিক্ষক সংকট সবসময় ছিল। আগে আরও বেশি ছিল এখন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপির প্রচেষ্টায় শিক্ষকের শূন্যপদ অনেকটাই পূরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
৩২ বছর বিদ্যালয়টির ছাত্রাবাস বন্ধ কেন জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ডা. মো. শেখ ছাদেক জানান, আগে প্রকল্প বরাদ্দ সাপেক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড থেকে ছাত্রাবাসটি পরিচালিত হতো। কিন্তু প্রকল্প শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে ছাত্রাবাসটিও বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া উচ্চবিদ্যালয়টির ছাত্রাবাস বন্ধ রয়েছে খোঁজখবর নিয়ে পরে বিস্তারিত জানাবেন বলে জানান তিনি। আর শিক্ষকের শূন্যপদ পূরণে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।