৪১তম বিসিএস পরীক্ষায় ক্যাডার পদ স্বল্পতার কারণে নন ক্যাডার পদে নিয়োগবঞ্চিত প্রার্থীরা ‘নন ক্যাডার প্যানেল’ চালুর দাবি জানিয়েছেন।
আজ বুধবার রাজধানীর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা ৭ দফা দাবি তুলে ধরেন। এ সময় তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন ৪১তম বিসিএসের নন ক্যাডার প্রার্থী মো. তারেকুর রহমান।
তাদের সাত দফা দাবি হল—অন্যান্য নন ক্যাডারের ন্যায় ৪১তম বিসিএস নন ক্যাডারে প্যানেল চালু করতে হবে; ৪১ তম বিসিএসের নামে আসা কিন্তু জয়েন না করায় খালি থাকা পদগুলো ৪১তম নন ক্যাডার থেকেই মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদান করতে হবে; ১৫০০ মার্কের পরীক্ষায় সকল ধাপ (প্রিলিমিনারি, লিখিত, ভাইভা) উত্তীর্ণ মেধাবীদের চাকরি প্রদান করতে হবে; বিভিন্ন দপ্তরের ফাঁকা পদগুলো ৪১বিসিএস নন ক্যাডার দ্বারা পূরণ করতে হবে;
এ ছাড়াও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর/মাউশিসহ যে সকল দপ্তরে শিক্ষক/জনবলের অভাবে স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে, সে সকল দপ্তরে অনতিবিলম্বে ৪১তম বিসিএস নন ক্যাডার হতে নিয়োগ প্রদান করতে হবে; ৪০তম বিসিএসের ন্যায় ৪১তম বিসিএস নন-ক্যাডার সকল প্রার্থীদের চাকরি নিশ্চিত করতে হবে; দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি এবং রেজাল্ট টেম্পারিংয়ের সাথে জড়িতদের অনতিবিলম্বে শাস্তির আওতায় আনতে হবে এবং দুর্নীতির মাধ্যমে কর্মরতদের নিয়োগ বাতিল করতে হবে।
লিখিত বক্তব্যে তারেকুর বলেন, ‘৪১তম বিসিএসের জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা দপ্তরে যখন অধিযাচন পাঠানো হয়েছিল, ঠিক তার আগেই ৪৫তম এবং ৪৬তম বিসিএসের অধিযাচনও পিএসসি প্রেরণ করেছিল। যার ফলে যে পদগুলো ৪১তম বিসিএস নন ক্যাডারদের পাওয়ার কথা ছিল, সে পদগুলো অন্য বিসিএসে চলে যায়। অর্থাৎ যে সন্তান জন্ম হয়েছে তাকে খাবার না দিয়ে খাবার সংগ্রহ করেছে ভবিষ্যৎ সন্তানের জন্য। যা চরম বৈষম্যের বহিঃপ্রকাশ।’
তিনি আরও বলেন, ‘৪১তম বিসিএস নন ক্যাডারের রেজাল্ট দেওয়ার মাত্র ৭ দিন পর ৪৩তম বিসিএসের চয়েস লিস্টে নিচের গ্রেডে আবেদন করা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ৪১তম বিসিএসে একই কাজ করলে প্রায় ৫০০ পদ নষ্ট হওয়া থেকে বেঁচে যেত, প্রকৃত বেকাররা চাকরি পেত।’
৪০তম, ৪১তম, ৪৩তম বিসিএস কাছাকাছি সময় হওয়াতে একই প্রার্থী তিন জায়গায়ই চাকরি পেয়েছেন। যার কারণে একদিকে খালি থেকে গেছে অনেক পদ, অন্যদিকে বেকার থেকে যাচ্ছে হাজারো তরুণ।