৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল চলতি বছরের জানুয়ারিতে। সেই হিসাবে প্রায় সব খাতা মূল্যায়ন শেষদিকে। তবে স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা বজায় রাখার স্বার্থে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) নতুন চেয়ারম্যান ও সদস্যরা সব খাতা তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
পিএসসির কমিশন সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাতে পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমানের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজ চলমান। দ্বিতীয় পরীক্ষক কর্তৃক মূল্যায়নের কাজও প্রায় সমাপ্তির পথে। লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নে স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা বজায় রাখার স্বার্থে নতুন কমিশন সব উত্তরপত্র তৃতীয় পরীক্ষকের নিকট প্রেরণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে ১৯ মে ৪৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষায় অংশ নেন দুই লাখ ৬৮ হাজার ১১৯ জন। ৬ জুন প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ১২ হাজার ৭৮৯ জন।
বিজ্ঞপ্তির তথ্যানুযায়ী—৪৫তম বিসিএসে দুই হাজার ৩০৯ জন ক্যাডার নেওয়া হবে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিয়োগ হবে চিকিৎসায়। সহকারী ও ডেন্টাল সার্জন মিলিয়ে চিকিৎসা ক্যাডারে ৫৩৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। এরপর সবচেয়ে বেশি নিয়োগ পাবেন শিক্ষা ক্যাডারে।