পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে যেসব হবু শিক্ষক আবেদন করবেন তাদের প্রতি শুরুতেই রইল আমার সালাম, আদাব এবং ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা। আপনারা সবাই সফলতার সঙ্গে প্রিলি, রিটেন, ভাইভায় উত্তীর্ণ হয়েছেন এজন্য আপনাদের জানাই প্রাণঢালা অভিনন্দন। আপনারা অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছেন কবে ১৭ এপ্রিল আসবে আর ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করবেন। তাই আপনাদের উদ্দেশ্যে কয়েকটি কথা অভিজ্ঞতার আলোকে শেয়ার করতে চাই; যেন আপনাদের সামান্যতম হলেও উপকার হয়।
আবেদনের সময় কিছু বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন
:
১.আপনার নম্বর কম হলেও এটা নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। আপনার চয়েজ লিস্ট সাজানোর ক্ষেত্রে সতর্ক হন তাহলে আপনার কাঙ্ক্ষিত চাকরিটা হবেই ইনশাআল্লাহ।
২.চয়েজ লিস্ট সাজানোর পূর্বে অবশ্যই প্রতিষ্ঠানগুলোর খোঁজ নেবেন। এক্ষেত্রে আপনি ইন্টারনেট থেকে তথ্য পেতে পারেন, প্রতিষ্ঠানের মোবইল নম্বর পাবেন, যোগাযোগ করবেন এবং যদি সম্ভব হয় নিজে গিয়ে খোঁজ নিবেন।
৩.অবশ্যই দূরত্ব বিবেচনায় রাখবেন চয়েজ লিস্টে, এছাড়া সহজ রাস্তার প্রতিষ্ঠানটি আগে রাখবেন।
৪.চয়েজ লিস্ট খুব ভালোভাবে সাজানোর পর একদম স্থির হয়ে তারপর টাকা জমা দিবেন। টাকা জমা দেয়ার পূর্বে যতবার ইচ্ছা আপনি চয়েজ সাজাতে পারবেন।
৫.তাড়াহুড়ো করে দয়া করে আবেদন করবেন না। ধীরস্থিরভাবে আবেদন করবেন। যারা পূর্বে আবেদন করেছে এমন অভিজ্ঞতাসম্পন্ন লোকের কাছ থেকে আবেদন করুন।
৬.স্কুল বা মাদরাসা নির্বাচনের ক্ষেত্রে আপনার নিজস্ব পছন্দকে প্রাধান্য দিন। দূরের স্কুল থেকে কাছের মাদরাসা উত্তম চয়েজ হতে পারে।
৭.কোনো প্রকার যোগাযোগ করবেন না। এটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে। তাই কারো কথায় কান দেবেন না।
৮. আপনার আবেদনের যাবতীয় কপি কমপক্ষে ৩ সেট নিজের কাছে সংরক্ষণ করবেন।
৯.অন্যের মার্কস,সিরিয়াল,মেরিট পজিশন নিয়ে অযথা মাথা ঘামাবেন না। মনে রাখবেন, আপনার জন্য যেটা মঙ্গল সেটাই সৃষ্টিকর্তা ঠিক করে রেখেছেন। সৃষ্টিকর্তার ওপর ভরসা রাখুন।
১০.যে প্রতিষ্ঠানের জন্য নির্বাচিত হবেন সেখানে গিয়ে ভালো আচরণ করবেন। প্রতিষ্ঠান প্রধানের সাথে ভালো আচরণ করবেন। এমপিও আবেদন থেকে শুরু করে সবকিছু ঠান্ডা মাথায় করবেন। সর্বপ্রকার ঝামেলা এড়িয়ে চলবেন। ফেসবুকে না বুঝে কোনো মন্তব্য করবেন না।
আল্লাহ আপনাদের মনের নেক আশা পূরন করুক। সবার প্রতি দোয়া রইল।
আরিফ ইবনে আলম
সহকারী শিক্ষক (ইংরেজি) দিনাজপুর।
মোছা:সায়মা আখতার
লেকচারার (ইংরেজি)
ঠাকুরগাঁও।
৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে স্বামী-স্ত্রী চাকরি প্রাপ্ত।