৬৮ হাজারের বেশি এমপিওভুক্ত শিক্ষক পদে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করা প্রার্থীদের আগামী মার্চ মাসে প্রাথমিক সুপারিশ করা হবে। ফেব্রুয়ারির শেষে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির ফল প্রকাশ বা প্রার্থীদের প্রাথমিক সুপারিশ করা পরিকল্পনা করেছিলো বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।
তবে, ফল প্রক্রিয়ার কাজ গুছিয়ে উঠতে পারছে না এনটিআরসিএকে কারিগরি সহায়তা দেয়া প্রতিষ্ঠান টেলিটক। তাই মার্চের প্রথমার্ধ্বে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির ফল প্রকাশ বা প্রার্থীদের প্রাথমিক সুপারিশ করা হবে বলে মনে করছেন সংস্থাটির কর্তারা। গতকাল রোববার এনটিআরসিএর কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।জানতে চাইলে এনটিআরসিএর সচিব মো. ওবায়দুর রহমান গতকাল দুপুরে দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, আমরা চাচ্ছি দ্রুত ফল দিয়ে দিতে। আমরা চাচ্ছিলাম ফেব্রুয়ারি শেষে ফল প্রকাশ করতে। কিন্তু ফল প্রক্রিয়ার দায়িত্বে থাকা টেলিটক এখনো কাজ গুছিয়ে উঠতে পারেনি। সে ক্ষেত্রে আশা করছি মার্চের প্রথম দিকে ফল প্রকাশ করতে পারবো।
এদিকে এনটিআরসিএর সংশ্লিষ্ট শাখার একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, ফল প্রক্রিয়ার কাজে আশানরূপ অগ্রগতি নেই। ফল প্রক্রিয়ার কাজ মোটামুটি গুছিয়ে উঠতে পারলে তা প্রকাশে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি চাওয়া হবে। মন্ত্রণালয়ে অনুমতি মিললে সে অনুযায়ী ফল প্রকাশ করা হবে। এবারও প্রার্থীদের প্রাথমিক সুপারিশের পর পুলিশ ভেরিফিকেশ হবে। পুলিশ ভেরিফিকেশনের পর প্রার্থীদের চূড়ান্ত সুপারিশ করা হবে। প্রাথমিক সুপারিশের বিষয়টি এসএমএস করে প্রার্থীদের জানানো হবে।
বিভিন্ন এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের ৩১ হাজার ৫০৮ শিক্ষক এবং মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩৬ হাজার ৮৮২ শিক্ষক নিয়োগে গত
ডিসেম্বরে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিলো এনটিআরসিএ। গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে ওসব পদে আবেদন নেয়া শুরু হয়। ২৯ জানুয়ারি রাতে আবেদনের সময় শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ১ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত ফি জমা দিতে পেরেছিলেন প্রার্থীরা। এ ৬৮ হাজার ৩৯০টি শিক্ষক পদে নিয়োগ পেতে প্রায় ১ লাখ ১ হাজার প্রার্থী আবেদন করেছেন।