দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক: পঞ্চগড়ে হত্যাকাণ্ডের ৭ দিনের মাথায় ১৬ আসামির জামিন মঞ্জুর করায় বিচারককে লক্ষ্য করে জুতা নিক্ষেপ করেছেন মামলার বাদী। এ ঘটনায় হত্যা মামলার বাদী মিনারা আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার দুপুরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ ঘটনা ঘটে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ৫ ডিসেম্বর সদর উপজেলার সাতমেরা এলাকায় জমি নিয়ে দুই ভাইয়ের বিরোধের জেরে ইয়াকুব আলী (৮৩) নিহত হন। ওই দিনই রাতেই নিহতের মেয়ে মিনারা আক্তার বাদী হয়ে ইয়াকুবের ছোট ভাইসহ ১৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। আজ মামলার ১৬ আসামি আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক অলরাম কাজী তাদের সবার জামিন মঞ্জুর করেন।
এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে বাদী মিনারা আক্তার বিচারককে লক্ষ্য করে জুতা ছুড়ে মারেন। এ সময় আদালতে হট্টগোল শুরু হয়। পরে বিচারকের নির্দেশে মিনারা আক্তারকে আটক করে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।
জেলা জজ আদালতের আইনজীবী আবু মো. ইউনুস আলী লেলিন বলেন, নিম্ন আদালতের রায় পছন্দ না হলে উচ্চ আদালতের যাওয়া সুযোগ আছে। কিন্তু বাদী আজ বিচারককে লক্ষ্য করে স্যান্ডেল ছুড়ে মেরেছে। জুতাটি বিচারকের সামনে থাকা গ্লাসে লেগে নিচে পড়ে যায়। এটা কোনোভাবে কাম্য নয়। আদালতের জামিন দেওয়ার এখতিয়ার আছে। বাদীর উচ্চ আদালতের যাওয়া সুযোগ আছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী হাবিবুল ইসলাম হাবিব বলেন, কয়েক দিন আগে বাদীর বাবাকে হত্যা করা হয়েছে। আজ তাদের বাড়িতে কুলখানি হচ্ছে। এমন অবস্থায় একটি হত্যা মামলায় সব আসামির জামিন দেওয়া কোনোভাবে কাম্য নয়। বিচারকের এমন রায়ে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে আদালত ত্যাগ করে চলে আসি।
আসামিপক্ষের আইনজীবী রাকিবুত তারেক বলেন, আসামিদের ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত অন্তবর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন আদালত। মামলার মূল আসমিরা আত্মসমর্পণ করেননি। আর যারা আত্মসমর্পণ করেছেন, তাদের অধিকাংশই নারী। আসামিদের বক্তব্য ছিল, ওই ব্যক্তি হার্ট অ্যাটাক করে মারা গেছেন। মামলার জব্দ তালিকা এবং সুরতহাল রিপোর্টের নথিতে এ তথ্য নেই। তাই সার্বিক বিবেচনায় তাদের জামিন দেওয়া হয়েছে।