৮৫ শতাংশ ভিন্ন বিষয়ে ডিগ্রিধারীরা শেখাচ্ছেন ইংরেজি-গণিত

দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক |

উচ্চ শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্য ও চাকরিতে ভালো করার জন্য ইংরেজিতে দক্ষতা অর্জনের গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে। একইভাবে একাডেমিক ও পেশাগত পর্যায়ে সমানভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে গণিতও। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি থেকে শুরু করে চাকরির পরীক্ষা পর্যন্ত প্রায় সবখানেই এ দুই বিষয়ের ওপরই জোর দেয়া হয় সবচেয়ে বেশি। যদিও দক্ষতা অর্জনের দিক থেকে এ দুটি বিষয়েই সবচেয়ে পিছিয়ে দেশের শিক্ষার্থীরা। এজন্য শিক্ষাবিদরা দায়ী করছেন দক্ষ শিক্ষকের অভাবকে। শিক্ষকদের সিংহভাগ শিক্ষাগত পর্যায়ে যথাযথ পারদর্শিতা অর্জন ছাড়াই শিক্ষার্থীদের এ দুই বিষয়ে পড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ তাদের। দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো থেকে বাংলাদেশ শিক্ষা-তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে সংগৃহীত তথ্যেও উঠে এসেছে, এসব বিদ্যালয়ের ইংরেজি ও গণিত শিক্ষকদের প্রায় ৮৫ শতাংশেরই সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেই। শুক্রবার (২৮ জুন) বণিক বার্তা পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদন লিখেছেন ফাতেমা-তুজ-জিনিয়া। 

প্রতিবেদনে আরো জানা যায়, দেশের শিক্ষার্থীরা ইংরেজি ও গণিত পড়ছেন শিক্ষাজীবনের শুরু থেকেই। এর পরও দেখা যায় উচ্চ মাধ্যমিক শেষেও তাদের বড় একটি অংশ ইংরেজিতে সঠিকভাবে একটি বাক্য গঠন বা অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। গণিতের দুর্বলতাও দেখা যায় ব্যাপক মাত্রায়। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের বিভিন্ন অনুসন্ধান-গবেষণায়ও বিষয়গুলো উঠে এসেছে। শিক্ষাবিদরা বলছেন, দেশের স্কুলগুলোয় বিশেষ করে মফস্বল শহরে এসব বিষয়ের শিক্ষকদের বড় একটি অংশের প্রয়োজনীয় মাত্রায় একাডেমিক দক্ষতা নেই। তা সত্ত্বেও শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ও গণিতের মতো বিষয় শেখানোর ভার পড়ছে তাদের ওপর। 

ব্যানবেইসের তথ্য অনুযায়ী, দেশে মাধ্যমিক স্কুলগুলোয় মোট ইংরেজি শিক্ষকের সংখ্যা ৬০ হাজার ৮৫৭। তাদের মধ্যে ইংরেজিতে স্নাতক (অনার্স) ডিগ্রিধারী শিক্ষকের সংখ্যা ৪ হাজার ১৫৮, যা মোট শিক্ষকের ৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ। আর স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী শিক্ষকের সংখ্যা ৫ হাজার ২১৮, যা মোট শিক্ষকের ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ। সে অনুযায়ী ইংরেজির শিক্ষকদের ৯ হাজার ৩৭৬ জন বা ১৫ দশমিক ৪ শতাংশ বিষয়টিতে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। আর ইংরেজি বিষয়ে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর নেই ৮৪ দশমিক ৬ শতাংশের। বর্তমানে যারা ইংরেজি পড়াচ্ছেন তাদের মধ্যে বড় অংশই অন্য বিষয়ে ডিগ্রিধারী। তাদের মধ্যে ৫০ দশমিক ৮৫ শতাংশ বা ৩০ হাজার ৯৪৮ জন শিক্ষকের স্নাতক পর্যায়ে বাধ্যতামূলক ১০০ নম্বরের ইংরেজি ছিল এবং ১০ দশমিক ৫২ বা ৬ হাজার ৪০৪ জনের স্নাতক পর্যায়ে ৩০০ নম্বরের ইংরেজি ছিল। এছাড়া ১৮ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ বা ১০ হাজার ৯৮২ জন শিক্ষকের স্নাতকে ইংরেজি ছিলই না। আর ৫ দশমিক ১৭ শতাংশ বা ৩ হাজার ১৪৭ জন শিক্ষক এইচএসসি পাস।

শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইংরেজিতে স্নাতক-স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী মেধাবী শিক্ষার্থীদের বড় অংশই বর্তমানে শিক্ষকতায় আগ্রহী নন এবং যারা শিক্ষকতায় আসছেন তাদের বেশির ভাগই অন্য কোথাও সুযোগ না পেয়ে আসছেন। 

চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ডিগ্রির চেয়েও অধিক গুরুত্বপূর্ণ একজন শিক্ষক শিক্ষার্থীদের কতটা ভালো পড়াতে বা কতটুকু বোঝাতে পারছেন। আমাদের দেশে এমন দক্ষ শিক্ষকের ঘাটতি আছে। অনেক সময় দেখা যায় সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অনার্স-মাস্টার্স ডিগ্রিধারীরাও ভালো পড়াতে পারছেন না। এর কারণ হলো যারা সবচেয়ে মেধাবী তারা শিক্ষকতায় আসেন না। আর্থিক ও সামাজিক মর্যাদার বিষয় বিবেচনা করে তারা অন্য চাকরিতে চলে যান। বিশেষ করে মফস্বল শহরের বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোয় এ সংকট অনেক বেশি।’

একই চিত্র উঠে এসেছে গণিতের ক্ষেত্রেও, মাধ্যমিক স্কুলগুলোয় মোট গণিত শিক্ষকের সংখ্যা ৬৪ হাজার ১৪৭। তাদের মধ্যে গণিতে স্নাতক (অনার্স) ডিগ্রিধারী শিক্ষকের সংখ্যা ৩ হাজার ৮৩৬, যা মোট শিক্ষকের ৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ। স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী আছেন ৪ হাজার ৬৪৩ জন, যা মোট শিক্ষকের ৭ দশমিক ২৪ শতাংশ। সে অনুযায়ী গণিতের শিক্ষকদের মধ্যে বিষয়টিতে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী আছেন মাত্র ১৩ দশমিক ২২ শতাংশ। অর্থাৎ গণিতে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ছাড়াই শিক্ষার্থীদের বিষয়টি শেখাচ্ছেন ৮৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ শিক্ষক। 

বর্তমানে যারা গণিত পড়াচ্ছেন তাদের মধ্যে বেশির ভাগই স্নাতক পর্যায়ে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি গণিত পড়েছেন। তাদের মধ্যে ১৮ দশমিক ৭২ শতাংশ বা ১২ হাজার ৯ জন শিক্ষক স্নাতক পর্যায়ে পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নের পাশাপাশি গণিত পড়েছেন। পদার্থ, রসায়ন ছাড়া অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে গণিত পড়েছেন ১২ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ বা ৭ হাজার ৭৪৩ জন। এছাড়া ১২ দশমিক ৩৯ শতাংশ বা ৭ হাজার ৯৪৭ জন শিক্ষকের উচ্চ মাধ্যমিকে গণিত থাকলেও বিএসসিতে গণিত ছিল না। ১৬ দশমিক ১৮ শতাংশের বা ১০ হাজার ৩৭৭ জন শিক্ষকের ডিগ্রি (পাস) পর্যায়ে গণিত ছিল না এবং ১১ দশমিক ৬ শতাংশ শিক্ষকের উচ্চ মাধ্যমিকে গণিত ছিল না। আর ডিগ্রি বা এইচএসসি পর্যায়ে গণিত ছিল না ৫ দশমিক ৩১ বা ৩ হাজার ৪০৬ জন শিক্ষকের।

মফস্বল শহরে ইংরেজি ও গণিতের দক্ষ শিক্ষকের সংকটের বিষয়টি উঠে এসেছে অভিভাবকদের বক্তব্যেও। অভিভাবকরা বলছেন সন্তানের জন্য ভালো শিক্ষক এবং মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতে তারা শহরকেন্দ্রিক হতে বাধ্য হচ্ছেন। পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার আব্দুস সালাম নামে এক অভিভাবক বলেন, ‘আমাদের কাছাকাছি তিনটা স্কুল রয়েছে কিন্তু এসব স্কুলে ফলাফল তেমন ভালো নয়। পড়ালেখাও মানসম্মত হয় না। আমার মেয়ে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত প্রতি ক্লাসেই ভালো ফল করেছে। কিন্তু মাধ্যমিকে ওঠার পর সে পড়ালেখায় অমনোযোগী হয়ে যাচ্ছিল, সবসময়ই অভিযোগ করত সে গণিত ও ইংরেজি বুঝতে পারছে না। বাসায় পড়ানোর জন্য এখানে ভালো শিক্ষক পাচ্ছিলাম না। পরে সবকিছু বিবেচনা করে গত বছর সন্তানদের পটুয়াখালী জেলা সদরের স্কুলে ভর্তি করিয়েছি।’

শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ও গণিতে দুর্বলতার চিত্র ফুটে উঠেছে এসএসসির ফলাফলেও। ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় অন্যান্য বিষয়ের তুলনায় গণিতে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক শিক্ষার্থী ফেল করেছে। গণিতে নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড মিলে ফেলের হার ৮ দশমিক ৮১ শতাংশ। সংখ্যার হিসাবে প্রায় ১ লাখ ৬৬ হাজার ৬০২ শিক্ষার্থী বিষয়টিতে ফেল করেছে। এর পরের অবস্থানেই ছিল ইংরেজি। নয় বোর্ডে ৪ দশমিক ৭৭ শিক্ষার্থী ইংরেজিতে ফেল করেছিল। যদিও শিক্ষকরা বলছেন যারা পাস করেছে, তাদেরও বড় একটি অংশের নম্বরও আশানুরূপ নয়।

নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে এক মাধ্যমিক শিক্ষক বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে এসএসসির ইংরেজি খাতা মূল্যায়ন করছি। প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থীই ৫০ নম্বরের কম পাচ্ছেন। আমরা সাধারণত ছোটখাটো অনেক ভুল উপেক্ষা করে যাই। অন্যথায় ইংরেজিতে ফেলের হার আরো বাড়ত।’

শিক্ষাবিদরা বলছেন, দক্ষ শিক্ষক নিশ্চিত করতে হলে শিক্ষকতায় সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের অধ্যাপক ড. এম অহিদুজ্জামান বলেন, ‘ইংরেজি ও গণিতে মানসম্মত শিক্ষক নিশ্চিত করতে হলে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ডিগ্রিধারী দক্ষ শিক্ষক নিশ্চিত করতে হবে। এখন বলা হতে পারে যে শিক্ষকরা তো পড়াচ্ছেন, শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। শিক্ষা কার্যক্রম ঠিকই চলছে কিন্তু আমাদের শিক্ষার্থীরা দক্ষ হয়ে উঠতে পারছে না। তারা উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেও সঠিকভাবে ইংরেজি বাক্য গঠনে হিমশিম খাচ্ছে। আর নতুন যে কারিকুলাম এ কারিকুলাম অনুযায়ী পাঠদানে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে শুধু ডিগ্রি নয় পাঠদানেও প্রশিক্ষণ থাকা জরুরি।’ 

তিনি আরো বলেন, ‘শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড আর শিক্ষার মেরুদণ্ড হলেন শিক্ষকরা। শিক্ষকতায় মেধাবীরা এলে তবেই মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা যাবে। কিন্তু আমাদের সমাজে শিক্ষকদের বেতন ও সুযোগ-সুবিধা সবচেয়ে কম। সামাজিক মর্যাদায়ও তারা পিছিয়ে। দিন দিন এ পেশায় সুযোগ-সুবিধা কমছে। ফলে এখন শিক্ষকতায় তারাই আসছেন, যারা অন্য কোথাও সুযোগ পাচ্ছেন না। শিক্ষার সংকট দূর করতে হলে এ চিত্র পাল্টাতে হবে। শিক্ষকতায় সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে, যাতে দেশের সবচেয়ে মেধাবীরা এ পেশায় আসে। অন্যথায় কারিকুলাম পরিবর্তন করা হোক বা যে উদ্যোগই নেয়া হোক মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না।’

এছাড়া এ দুই বিষয়ে শিক্ষকের সংকটও এখন প্রকট। ফলে বিভিন্ন স্কুলে অন্য বিষয়ের শিক্ষকদেরও অনেক সময় গণিত পড়াতে দেখা যায়। শিক্ষা পরিসংখ্যান-২০২২ অনুযায়ী ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত বাধ্যতামূলক যেসব বিষয় পড়ানো হয়, সেগুলোর শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক সংখ্যা তুলনা করে দেখা গেছে, শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে তুলনামূলক কঠিন বিষয়গুলো সব সময়ই কম গুরুত্ব পেয়েছে। মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষকদের অর্ধেকেরই বেশি সমাজবিজ্ঞান, ধর্ম, লাইব্রেরি বিজ্ঞান ও শারীরিক শিক্ষার। অন্যদিকে মোট ১ কোটি ১৩ লাখ ৩১ হাজার ১৪৩ শিক্ষার্থীর বিপরীতে ইংরেজি ও গণিতেও শিক্ষক রয়েছেন যথাক্রমে ২৪ হাজার ৭০২ জন ও ২৩ হাজার ৯৯৬ জন। এ হিসাবে ইংরেজিতে প্রতি ৪১০ শিক্ষার্থীর বিপরীতে একজন এবং গণিতে প্রতি ৪২২ শিক্ষার্থীর বিপরীতে মাত্র একজন শিক্ষক পাঠদান করেন।

এ বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মাধ্যমিক শাখার পরিচালক প্রফেসর সৈয়দ জাফর আলী বলেন, ‘আগে এ ধরনের শিক্ষক নিয়োগ হতে পারে। কিন্তু সরকার এখন শিক্ষক নিয়োগে অনেক বেশি সচেতন। নিয়োগ নীতিমালা অনুযায়ী স্নাতক পর্যায়ে ইংরেজি ও গণিত না পড়ে এসব বিষয় পড়ানোর সুযোগ নেই। আগে বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যোগ্যতা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন ছিল। এখন এনটিআরসির মাধ্যমে নিয়োগ হওয়ায় বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোয়ও শিক্ষকদের যথাযথ শিক্ষাগত যোগ্যতা নিশ্চিত হচ্ছে। এ প্রক্রিয়ার ফলে শিক্ষকদের দক্ষতা ও যোগ্যতা নিয়ে যে প্রশ্ন রয়েছে এটি কমে আসবে।’

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং ঢাকা-৮ আসনের এমপি আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীরা গণিত ও ইংরেজিতে দুর্বল এটি আমি মনে করি না। আমি মনে করি তারা সবাই মেধাবী এবং সব বিষয়েই মেধাবী। তবে এটি সঠিক যে গণিত ও ইংরেজিতে স্নাতক ডিগ্রিধারী মেধাবী শিক্ষার্থীরা শিক্ষকতায় কম আসছে এবং আমাদের শিক্ষক সংকট রয়েছে। এ পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটাতে শিক্ষকতায় সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে ও মেধাবীদের শিক্ষকতায় আসতে উৎসাহ দিতে হবে। এ পদক্ষেপগুলো দ্রুতই নিতে হবে। বিষয়গুলো নিয়ে সরকার এরই মধ্যে কাজ করছে এবং এ-সংক্রান্ত বিভিন্ন পরিকল্পনাও রয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক মহলসহ সুশীল সমাজকেও মেধাবীদের শিক্ষকতায় আসার বিষয়ে উৎসাহ দেয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে।’


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
হামলায় মোল্লা কলেজের ৩ শিক্ষার্থী নিহত, দাবি কর্তৃপক্ষের - dainik shiksha হামলায় মোল্লা কলেজের ৩ শিক্ষার্থী নিহত, দাবি কর্তৃপক্ষের সাত কলেজের অনার্স ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষা স্থগিত - dainik shiksha সাত কলেজের অনার্স ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষা স্থগিত নৈরাজ্যকারীদের প্রতিহত করা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধান কাজ: সারজিস - dainik shiksha নৈরাজ্যকারীদের প্রতিহত করা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধান কাজ: সারজিস মিনিস্ট্রি অডিটরদের গরুর দড়িতে বাঁধবেন শিক্ষকরা! - dainik shiksha মিনিস্ট্রি অডিটরদের গরুর দড়িতে বাঁধবেন শিক্ষকরা! সোহরাওয়ার্দী কলেজ বন্ধ ঘোষণা - dainik shiksha সোহরাওয়ার্দী কলেজ বন্ধ ঘোষণা সাত কলেজের অনার্স ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষা স্থগিত - dainik shiksha সাত কলেজের অনার্স ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষা স্থগিত কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে অনতিবিলম্বে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় এমপিওভুক্ত করতে হবে: নুর - dainik shiksha অনতিবিলম্বে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় এমপিওভুক্ত করতে হবে: নুর কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.00376296043396