রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেছেন, শিক্ষকরা সম্মানীয়। ৯৯ শতাংশ শিক্ষকরা ভালো কাজ করছেন। দুই-এক জনের কারণে পুরো শিক্ষক সমাজের মানসম্মান যেন আমরা ধূলোয় মিশিয়ে না দিই। এটি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। আমি আশা করি আমাদের যারা কোমলমতি শিশু রয়েছে তারা অবশ্যই শিক্ষকদের সম্মান করবে।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস-২০২৪ উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।জেলা প্রশাসন ও জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো এ আলোচনা সভা আয়োজন করে।
জেলা প্রশাসক বলেন, আমাদের অনেকের বাড়িতেই গৃহকর্মী রয়েছে। আমরা তাদেরকে একটু একটু করে পড়িয়ে সাক্ষর জ্ঞানসম্পন্ন করতে পারি। বাড়িতে যে ১২-১৩ বছরের ছোট ছেলে বা মেয়ে আছে তাকে দিনে ১০-১৫ মিনিট সময় দিয়ে তার নিজের নামটা অন্তত লিখতে শেখানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। বিবাহের সময়, একাউন্ট খোলার মত সময়ে তার এই নাম লিখতে পারাটা কাজে আসবে।
সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রসঙ্গ তুলে ধরে শামীম আহমেদ বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষকরা লাঞ্ছিত হচ্ছেন। যদি কোনো শিক্ষক ব্যক্তিগতভাবে তার কাজের জন্য দায়ী হন, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের দিক থেকে নির্দেশনা রয়েছে এবং এর জন্য একটি প্রক্রিয়া রয়েছে। আপনারা এসব অসঙ্গতি আমাদের নজরে আনেন। দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকসহ শিক্ষা বিভাগের সকল কর্মকর্তা প্রস্তুত রয়েছেন।
তিনি বলেন, আসুন সাক্ষরতা দিবসে সাক্ষরতার যে তাৎপর্য তা উপলব্ধি করি এবং পরবর্তী প্রজন্ম যেন মানুষের মতো মানুষ হতে পারে সেই প্রচেষ্টা করি। আধুনিকতার ছোঁয়ায় আমাদের ছেলেমেয়রা মোবাইলের যুগে ঢুকে গিয়েছে, অনেকে নেশা করছে। আমরা যে যেই ধর্মেরই হই না কেন, ছেলেমেয়েদের কে ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করবো। তারা উচ্চশিক্ষায় অবশ্যই শিক্ষিত হবে, তবে তাদের মানবিক মূল্যবোধ যেন গড়ে ওঠে তা নিশ্চিত করতে হবে।
এসময় জেলা প্রশাসক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের অর্জন অনেক বলে মন্তব্য করেন।অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সুধীজনসহ বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থী এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে দিবসটি উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি আয়োজন করা হয়। এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘বহু ভাষায় শিক্ষার প্রসার: পারস্পরিক সমঝোতা ও শান্তির জন্য সাক্ষরতা’।