‘অদ্ভুত’ এক নিবন্ধন সনদে বিভ্রান্ত এনটিআরসিএ

সাঞ্জাবী খান চৌধুরী |

‘অদ্ভুত’ এক শিক্ষক নিবন্ধন সনদ নিয়ে চরম বিভ্রান্তিতে পড়েছেন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কর্মকর্তারা। দ্বিতীয় শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ও চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে একটি মাদরাসায় সহকারী মৌলভী পদে নিয়োগের জন্য নির্বাচিত এক প্রার্থী ওই সনদটি এনটিআরসিএ কার্যালয়ে জমা দিয়েছেন। সেটির সব তথ্য এনটিআরসিএ ডেটাবেজের সঙ্গেও মিলছে। কিন্তু ওই সনদের আসল মালিক এনটিআরসিএ থেকে সনদটি সংগ্রহই করেননি। তাই জমা পড়া সনদটি জাল। এ পরিস্থিতিতে ওই প্রার্থীকে নিয়োগ সুপারিশ না করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে রংপুরের গংগাচরা উপজেলার আদর্শ দাখিল মাদরাসায় সহকারী মৌলভী পদে নিয়োগ সুপারিশের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন মো. নুরুজ্জামান নামের ওই প্রার্থী। তিনি যে সনদটি জমা দিয়েছেন তার সঙ্গে দ্বিতীয় শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় প্রার্থীদের সনদের অনেক পার্থক্য রয়েছে। নির্বাচিত প্রার্থী মো. নুরুজ্জামানের সনদের তথ্য অনুযায়ী, তার বাবার নাম মো. মোজাহার আলী। তিনি ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে দ্বিতীয় শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় ইসলাম শিক্ষা বিষয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিবন্ধিত। ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে ফাজিল পাস করে নিবন্ধিত হয়েছেন। 

ওই প্রার্থীর সনদ যাচাইয়ের দায়িত্বে ছিলেন এনটিআরসিএর পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন শাখার সহকারী পরিচালক তাজুল ইসলাম। দৈনিক আমাদের বার্তাকে তিনি বলেন, দ্বিতীয় শিক্ষক নিবন্ধনে আমরা যে ফন্টে লেখা সনদ দিয়েছি তা এটি নয়। তবে, ওই প্রার্থীর সনদের সব তথ্য মিলে যাচ্ছে। আমরা কিছুটা বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিলাম। পরে সব সনদ বের করে দেখা গেছে, নুরুজ্জামান নামের প্রার্থী যে সনদটি জমা দিয়েছেন তার আসল মালিক সনদটি এনটিআরসিএ কার্যালয় থেকেই নেননি। ওই আসল সনদের সঙ্গে জাল প্রার্থীর সনদটির তথ্যগত পার্থক্য খুবই কম। শুরু রেজিস্ট্রেশন নম্বর আলাদা। আমদের ডেটাবেইজে রেজিস্ট্রেশনের তথ্য থাকে না। তাই তা আরো বিভ্রান্ত করেছিলো। পরে আসল সনদটি খুঁজে পাওয়ার পর আমরা বিষয়টি বুঝতে পেরেছি। তাকে চূড়ান্ত সুপারিশ তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। 

এনটিআরসিএর কর্মকর্তারা বলছেন, সব তথ্য জাল সনদে মিলে গেছে। এটি উদ্বেগজনক। অবশ্যই তিনি কোনো না কোনো মাধ্যমে তথ্য পেয়েছেন। 

এদিকে জাল সনদ জমা দেয়া নুরুজ্জামান মুঠোফোনে দৈনিক আমাদের বার্তার কাছে দাবি করেছেন, তার সনদটি সঠিক।  

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল   SUBSCRIBE  করতে ক্লিক করুন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারো ভর্তি পরীক্ষা চালু হবে - dainik shiksha জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারো ভর্তি পরীক্ষা চালু হবে সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তি: দুই দিনে আবেদন প্রায় দুই লাখ - dainik shiksha সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তি: দুই দিনে আবেদন প্রায় দুই লাখ শিক্ষক নিয়োগেও নামকাওয়াস্তে মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা হয়: গণশিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha শিক্ষক নিয়োগেও নামকাওয়াস্তে মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা হয়: গণশিক্ষা উপদেষ্টা পাঠ্যপুস্তক থেকে শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনার বিষয়বস্তু অপসারণের দাবি - dainik shiksha পাঠ্যপুস্তক থেকে শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনার বিষয়বস্তু অপসারণের দাবি এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ১ ডিসেম্বর - dainik shiksha এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ১ ডিসেম্বর কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গল্প - dainik shiksha পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গল্প কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক পাঠ্যপুস্তকে একক অবদান তুলে ধরা থেকে সরে আসার আহ্বান হাসনাতের - dainik shiksha পাঠ্যপুস্তকে একক অবদান তুলে ধরা থেকে সরে আসার আহ্বান হাসনাতের ৬ষ্ঠ ও ৮ম শ্রেণির বাদপড়া শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ - dainik shiksha ৬ষ্ঠ ও ৮ম শ্রেণির বাদপড়া শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0029420852661133