মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বেপরোয়া সংঘাতমূলক তৎপরতার মাধ্যমে কোরীয় উপদ্বীপে ‘পরমাণু যুদ্ধের’ আশঙ্কা বাড়িয়ে দিচ্ছে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন।
মঙ্গলবার সেদেশের নৌবাহিনী দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
কিম জং উন বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য বিদ্বেষী শক্তির বেপরোয়া সংঘাতমূলক পদক্ষেপের কারণে কোরীয় উপদ্বীপের পানিসীমা বিশ্বের বৃহত্তম রণ-সরঞ্জাম জড়ো করার স্থান এবং পারমাণবিক যুদ্ধের ঝুঁকিসমৃদ্ধ সবচেয়ে অস্থিতিশীল জলরাশিতে পরিণত হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সাম্প্রতিক সময়ে কোরীয় উপদ্বীপে তার সবচেয়ে অত্যাধুনিক যেসব সমরাস্ত্র মোতায়েন করেছে কিম দৃশ্যত সেসবের প্রতি ইঙ্গিত করে এ বক্তব্য দিয়েছেন। সম্প্রতি আমেরিকা কোরীয় উপদ্বীপে পরমাণু শক্তিশালিত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র-সমৃদ্ধ সাবমেরিনসহ অন্যান্য সমরাস্ত্র মোতায়েন করেছে। মার্কিন সরকার তার আঞ্চলিক মিত্র দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের সঙ্গে সহযোগিতা চুক্তির ভিত্তিতে অথবা সামরিক মহড়া চালানোর অজুহাতে ওই অঞ্চলে এসব সমরাস্ত্র মোতায়েন করেছে।
গত ১৮ আগস্ট আমেরিকার ক্যাম্প ডেভিডে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ নেতাদের মধ্যে যে বৈঠক হয় সে সম্পর্কেও আলোকপাত করেন কিম জং-উন।
তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার ‘গ্যাংস্টাররা’ ওই বৈঠকে কোরীয় উপদ্বীপে নিয়মিত যৌথ সামরিক মহড়া চালাতে সম্মত হয়েছেন।
কোরীয় উপদ্বীপে ওয়াশিংটন ও তার মিত্ররা যত সামরিক তৎপরতা চালায় তাকে উত্তর কোরিয়ায় হামলার মহড়া বলে মনে করে পিয়ংইয়ং।
সূত্র: রয়টার্স