‘এক গ্রুপ চলে গেলে আরেক গ্রুপ এসে আবার চাঁদা দাবি করেছে’

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক |

এক গ্রুপ চলে গেলে আরেক গ্রুপ এসে আবার চাঁদা দাবি করেছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

আজ রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনাকালে এসব কথা বলেন তিনি।

সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে কী ভূমিকা রাখবেন জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘কাওরান বাজারেই একটা পণ্য চারবার হাতবদল হয়, তাই না। এগুলো প্রিজামপটিভ মানি, তুমি এত টাকায় বিক্রি করলে এত টাকা পাবে। এভাবে টাকা আদায় করা হয়। এগুলো বন্ধ করতে হবে। চাঁদাবাজি হয়, একটা ট্রাক ঢাকা পর্যন্ত আসতে সাত হাজার টাকা লাগে, কেউ একজন আমাকে বলেছিলেন। তবে এটা কিন্তু বাণিজ্য কিংবা অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব না। এটা যাদের দায়িত্ব, তাদের সঙ্গে কথা বলব।’

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর অনেকে আত্মগোপনে গেছে। নতুন করে চাঁদাবাজ তৈরি হবে না, সেই নিশ্চয়তা কী, জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমার কাছে অনেক প্রতিবেদন আসছে। চাল কিনবে চাতাল থেকে, এক গ্রুপ নিয়ে চলে গেছে, আরেক গ্রুপ এসে আবার চাঁদা দাবি করেছে। তখন আমি বলেছি, তাৎক্ষণিকভাবে ডেপুটি কমিশনারকে বল, খোঁজ-খবর নিতে, যাতে ভালো ব্যবসায়ীরা বাধাপ্রাপ্ত না হয়। আমি জানি, এক গোষ্ঠী গেলে, নতুন আরেক গোষ্ঠী আসবে।’

ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশকে (টিসিবি) কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কিনা, প্রশ্নে তিনি বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে খোলা বাজারে কিছু বিক্রি করতে হবে।

তবে সবকিছু একদিনে প্রত্যাশা করতে না বলেছেন এই উপদেষ্টা। তিনি বলেন, হঠাৎ করে সবকিছু বন্ধ করে দিলে নিষ্পাপ লোকজন ভুক্তভোগী হবেন।

এসময়ে এক কর্মকর্তা বলেন, নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে টিসিবির ডিস্ট্রিবিউশন স্থগিত আছে। আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এটা চালু করা হবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ইউএনওর ‘মানসিক নির্যাতনে’ শিক্ষকের মৃত্যুর অভিযোগ - dainik shiksha ইউএনওর ‘মানসিক নির্যাতনে’ শিক্ষকের মৃত্যুর অভিযোগ শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতির সভা ১৮ সেপ্টেম্বর - dainik shiksha শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতির সভা ১৮ সেপ্টেম্বর সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! - dainik shiksha সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! নাহিদ-দীপুর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিই মাউশি অধিদপ্তরের ডিজি হচ্ছেন! - dainik shiksha নাহিদ-দীপুর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিই মাউশি অধিদপ্তরের ডিজি হচ্ছেন! শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- জানতে চায় অধিদপ্তর - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- জানতে চায় অধিদপ্তর এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি অন্যকে সুযোগ দেয়ার জন্য নয়: সারজিস - dainik shiksha এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি অন্যকে সুযোগ দেয়ার জন্য নয়: সারজিস কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0031371116638184