আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ে সদ্য সংযুক্ত কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল বলেছেন, কক্সবাজারের প্রধান সমস্যা মাদক চোরাচালান। বর্তমানে কক্সবাজারের আদালতে ১০ হাজারেরও বেশি মাদক মামলা রয়েছে। এ ছাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো হচ্ছে অপরাধী তৈরির কারখানা। রোহিঙ্গাদের মাদক মামলা অস্ত্র ও খুনের মামলার আসামিদের জামিনের জন্য কিছু আইনজীবী ও দালাল কোটি কোটি টাকার লেনদেন হচ্ছে। তারা জজ কোর্টে জামিন না পেলে হাইকোর্টে চলে যাচ্ছে। রোহিঙ্গাদের অপরাধের কারণে কক্সবাজারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। এই ক্যাম্পগুলো এখন ইয়াবা কারবারিদের মূল কেন্দ্র। আদালতে মাদকের মামলা নিষ্পত্তির জন্য নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
গতকাল দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের আয়োজনে এই বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নাগরিক ফোরামের সভাপতি আ ন ম হেলাল উদ্দিন।
জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল কক্সবাজারে সাড়ে তিন বছর দায়িত্ব পালনকালে নানা অভিজ্ঞতা, বিচারাঙ্গনে নানা সমস্যা ও সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দেশে সবচেয়ে হত্যা মামলা বেশি কক্সবাজারে। এরমধ্যে রোহিঙ্গাদের কারণে খুন খারাবিসহ নানা অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে। মেজর অব: সিনহা হত্যা মামলাসহ কক্সবাজারের বেশ কয়েকটি চাঞ্চল্যকর মামলা নিষ্পত্তির কারণে তার নিরাপত্তাজনিত সমস্যার আশঙ্কাও রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। মেজর সিনহা হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বরখাস্ত ওসি প্রদীপ ও তার সহযোগীরা নানা ষড়যন্ত্রে রয়েছে বলে জানান তিনি।ওসি প্রদীপের মৃত্যুদণ্ড হওয়ায় কক্সবাজারে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। অনুষ্ঠানে তিনি জানান, বর্তমানে আইনজীবীদের অধিকাংশই জামিনের পেছনে দৌড়ায়। তারা মূল মামলা পরিচালনা কিংবা ট্রায়াল শুনানি করেন না। তাদের প্রশিক্ষণের অভাব রয়েছে।
অনুষ্ঠানে আইনজীবী, সাংবাদিক ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।