দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক : নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলের দাবি জানানো অভিভাবক রাখাল রাহা বলেছেন, আমরা বলছি না সব শিক্ষক একই প্রক্রিয়ায় নিয়োগ পেয়েছেন, তবে প্রায়ই শোনা যায় ওমুক স্কুলে দশ লাখ টাকা দিয়ে নিয়োগ পেয়েছেন, তমুক স্কুলের শিক্ষক বিশ লাখ টাকা দিয়ে নিয়োগ পেয়েছেন। ওই শিক্ষক কিসের লোভে বিশ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে নিয়োগ পেয়েছেন। তিনি মুখ দেখে মূল্যায়ন করবেন না তো কী করবেন?
শুক্রবার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে রাখাল রাহাকে লেখক হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। তিনিই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলের দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণায় কিছু অভিভাবক এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
আরো পড়ুন : ‘নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষকরা মুখ দেখে দেখে মূল্যায়ন করেন’
সংবাদ সম্মেলনে রাজধানীর মতিঝিল মডেল স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মুসফিকা ইসলাম বলেন, আমাদের বাচ্চা শিক্ষকের বাসায় ব্যাচে যায় না তাই সে ত্রিভুজ পায় না। যে শিক্ষার্থী শিক্ষকের বাসায় যায় সে ত্রিভুজ পায়। শিক্ষকরা মুখ দেখে দেখে মূল্যায়ন করেন। এ মূল্যায়ন পদ্ধতি আমরা চাই না। তিনি নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলের দাবি জানান।
এ বক্তব্যের কিছুক্ষণ পর অভিভাবকদের কাছে দৈনিক শিক্ষাডটকমের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়, কোনো শিক্ষক যদি মুখ দেখে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করেন তিনিতো বৈষম্য করছেন, শিক্ষকের দোষ শিক্ষাক্রমের ওপর চাপানো যায় কি-না।
আরো পড়ুন : কোচিং বাণিজ্য টিকিয়ে রাখতে নতুন শিক্ষাক্রমের বিরোধিতা: শিক্ষামন্ত্রী
এ উত্তরে রাখাল রাহা নামের ওই ব্যাক্তি বলেন, শিক্ষকরা শিক্ষকদের দায়িত্ব পালন করছেন না যেমন সত্য, তাদের সে দায়িত্ব পালনের উপযোগী পরিবেশও নাই। আমার হেড মাস্টার যখন বলেন, আমার ওপর ম্যানেজিং কমিটি আছে। ম্যানেজিং কমিটি পরিচালনা করে ওপরেও আছে। সুতরাং শিক্ষকদের দোষ যারা দেয় তারা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করেন।
আরো পড়ুন : নতুন কারিকুলামের সমালোচনায় পঞ্চমের শিক্ষার্থীর অভিভাবক!
এরপর তাকে মনে করিয়ে দিতে হয়, কিছুক্ষণ আগে একজন অভিভাবক শিক্ষকদের দোষারোপ করে বলেছেন তারা মুখ দেখে নম্বর দেন।
আরো পড়ুন : কোচিংয়ের পক্ষে সাফাই গাইলেন নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল চাওয়া অভিভাবকরা
এ পর্যায়ে রাখাল রাহা বলেন, আমরা বলছি না সব শিক্ষক একই প্রক্রিয়ায় নিয়োগ পেয়েছেন, তবে প্রায়ই শোনা যায় ওমুক স্কুলে দশ লাখ টাকা দিয়ে নিয়োগ পেয়েছেন, তমুক স্কুলের শিক্ষক বিশ লাখ টাকা দিয়ে নিয়োগ পেয়েছেন। ওই শিক্ষক কিসের লোভে বিশ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে নিয়োগ পেয়েছেন। যিনি বিশ লাখ টাকা পেয়ে নিয়োগ পেয়েছেন তিনি মুখ দেখে মূল্যায়ন করবেন না তো কি করবেন?