মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, উন্নয়ন যদি নিশ্চিত করতে হয় তাহলে সবাইকে সুশাসন ও শুদ্ধাচার নিশ্চিত করতে হবে। মানুষের চরিত্রের শুদ্ধতা আনতে হবে।
১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু যে বক্তৃতা দিলেন, আমার যদি উন্নয়ন ঘটাতে হলে চরিত্রবান মানুষ লাগবে। মানুষের চরিত্রে যদি শুদ্ধতা না থাকে তাহলে আমাদের পক্ষে উন্নয়ন সম্ভব না। প্রধানমন্ত্রী ওই বিষয়টি নিয়ে এসেছেন। গুড গভর্নেন্স নিশ্চিত করতে হলে শুদ্ধাচার, পারফরমেন্স এগ্রিমেন্ট, রাইট টু ইনফরমেশনসহ এসব দিকগুলোকে যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের আয়োজনে স্বাস্থ্য শিক্ষায় শুদ্ধাচার ও সুশাসনবিষয়ক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সকালে বরিশাল নগরের বান্দরোডস্থ জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বিভাগের সরকারি মেডিকেল/ডেন্টাল কলেজের চিকিৎসকবৃন্দ এবং পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরসহ বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
মন্ত্রীপরিষদ সচিব বলেন, স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর যতগুলো সাফল্য আছে তার মধ্যে বড় সাফল্য করোনা জয় করা। আর এ জয়ে বাংলাদেশ জাতিসংঘেও প্রশংসিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন স্থরের সরকারী কর্মকর্তাদের কাছ থেকে নানা সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা শোনেন মন্ত্রীপরিষদ সচিব।
বরিশাল বিভাগীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় এ কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সচিব ও এটুআইর এইচ ডি মিডিয়া সিনিয়র স্ট্রাটেজিক অ্যাডভাইজার কামরুন নাহার, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সাইফুর হাসান বাদল, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. এ কে এম আমিরুল ইসলাম, পরিবার পরিকল্পনার মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মো. আমিন উল আহসান,বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ প্রমুখ।