বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন বলেছেন, তৃতীয় দফায় শিক্ষক নিয়োগের পর সেসিপের চাহিদা অনুসারে ছয় শতাধিক ট্রেড ইন্সট্রাক্টর নিয়োগ সুপারিশ করা হবে। এরপর এ বছরের আগস্টে চতুর্থ দফায় শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরিকল্পনা করা হয়েছে। তার আগে শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। সম্প্রতি দৈনিক শিক্ষাডটকমের সাথে আলাপকালে এ কথা বলেছেন তিনি।
তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, প্রার্থীদের কেউ কেউ আবেদনের সময় বাড়ানোর কথা বলছেন। এদিকে নিবন্ধন পরীক্ষার্থীরা (১৬ তম) তাদের পরীক্ষা শেষ করে ফল প্রকাশের পর তাদেরও আবেদন করতে দেয়ার সুযোগ চাইছেন। ৩য় দফায় শিক্ষক নিয়োগের আবেদনের সময় বাড়ানোর কোনো নির্দেশনা নেই। তাই, আবেদনের সনয় বাড়ানো নিয়ে ভাবছি না।
চেয়ারম্যান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে আরও বলেন, তবে প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই এনটিআরসিএর পরিকল্পনা তৃতীয় দফায় ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া সফলভাবে শেষে হলে সেসিপের চাহিদা অনুসারে ছয়শর বেশি ট্রেড ইন্সট্রাক্টর নিয়োগ সুপারিশ করা হবে। একই সাথে আমরা সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ করব। এরপর এ বছরের জুলাই বা আগস্টে ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ৩য় দফায় শিক্ষক নিয়োগের আবেদন গ্রহণ শেষ হবে ৩০ এপ্রিল। পরিকল্পনা অনুসারে আমাদের তা প্রক্রিয়া করতে একমাসের মত সময় লাগবে। এসময়ের মধ্যে আবেদন প্রক্রিয়া করে প্রার্থীদের শিক্ষক শূন্যপদগুলোতে নিয়োগের সুপারিশ করা হবে। আবেদন গ্রহণ শেষ হওয়ার একমাসের মধ্যে সুপারিশ প্রক্রিয়া শেষ করা পরিকল্পনা করা হয়েছে।
বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদারাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এন্ট্রি লেভেলের ৫৪ হাজারের বেশি পদে শিক্ষক পদে নিয়োগ সুপারিশ পেতে আবেদন গ্রহণ চলছে। এখন পর্যন্ত এসব পদে নিয়োগ সুপারিশ পেতে আবেদন সংখ্যা অর্ধকোটি ছাড়িয়েছে। এ পরিস্থিতিতে আগামী জুন মাসের শুরুতে এ অর্ধলক্ষাধিক শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করার পরিকল্পনা করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।
এদিকে সেসিপের চাহিদা অনুসারে ১ হাজার ২৮০ ট্রেড ইন্সট্রাক্টর নিয়োগের প্রক্রিয়া চালানো হলেও প্রার্থী না থাকায় সবগুলো পদে নিয়োগ সুপারিশ করতে পারেনি এনটিআরসিএ। এগুলোর মধ্যে ৬৮০টি পদের সুপারিশ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে তৃতীয় দফায় শিক্ষক নিয়োগের পর। তারপর শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। নতুন নীতিমালা অনুসারে অধিদপ্তরগুলো শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ করে এনটিআরসিএকে দেবে। এরপর জুলাই বা আগস্ট মাসে ৪র্থ দফায় শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ প্রক্রিয়া শুরু করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
এদিকে ভাইভা পরীক্ষা শেষ না হলেও ১৬তম নিবন্ধনের প্রার্থীরা ৩য় দফায় শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আবেদনের সুযোগ দাবি করেছে। তাদের কয়েক দিনের ভাইভা পরীক্ষা করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত লকডাউনের কারণে স্থগিত করা হয়েছে। সে পরীক্ষাগুলোর নতুন তারিখ এখনো ঘোষণা করেনি এনটিআরসিএ। যদিও আগামী ৩০ এপ্রিল ৩য় দফায় শিক্ষক নিয়োগের আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে গণবিজ্ঞপ্তি তে আবেদনের সুযোগ দাবি করে রোববার (২৫ এপ্রিল) সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে ১৬তম নিবন্ধনের প্রার্থীরা।
আরও পড়ুন : তৃতীয় চক্রে শিক্ষক নিয়োগের পর ছয় শতাধিক ট্রেড ইন্সট্রাক্টর সুপারিশের পরিকল্পনা
এদিকে গত ২২ এপ্রিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক আদেশে এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিনকে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদে বদলি করা হয়েছে।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।