‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার নয় উপহার: ইউনেসকো

দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক |

দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক: শান্তি রক্ষায় অবদানের জন্য ইউনেসকোর নামে ‘ট্রি অব পিস’ ভাস্কর্যের যে প্রতিরূপ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের দেওয়া হয়, তা বিশ্ব সংস্থাটির আনুষ্ঠানিক কোনো পুরস্কার নয়। এটি উপহার হিসেবে দেওয়া হয়। প্যারিসে ইউনেসকোর সদর দপ্তরের সিনিয়র প্রেস অফিসার ক্লেয়ার ও’হাগান এক ই-মেইলের জবাবে গত বৃহস্পতিবার এ কথা জানান।

শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস পরিচালিত ইউনূস সেন্টার ২১ মার্চ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করে, আজারবাইজানে গ্লোবাল বাকু ফোরামে ১৬ মার্চ ড. ইউনূসকে ইউনেসকো থেকে ট্রি অব পিস পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এরপর শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বৃহস্পতিবার দাবি করেন, ইসরায়েলি একজন ভাস্করের দেওয়া পুরস্কার ড. ইউনূস প্রতারণামূলকভাবে ইউনেসকোর পুরস্কার হিসেবে প্রচার করছেন।

এই পরিস্থিতিতে বিষয়টি পরিষ্কার হতে ক্লেয়ার ও’হাগানের সঙ্গে  ই-মেইলে যোগাযোগ করা হয়। জবাবে ইউনেসকোর এই কর্মকর্তা বলেন, ট্রি অব পিস শিল্পী হেদভা সারের তৈরি একটি ভাস্কর্য। তিনি নিজের ব্যক্তিগত শিল্পকর্ম হিসেবে ভাস্কর্যটি তৈরি করেছেন।

ক্লেয়ার ও’হাগান বলেন, হেদভা সার ইউনেসকোর শুভেচ্ছাদূত হলেও ট্রি অব পিস নামে যা দেওয়া হয়ে থাকে, তা সংস্থাটির আনুষ্ঠানিক পুরস্কার নয়। একই ই-মেইলে ইউনেসকোর এই কর্মকর্তা জানান, ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে ইউনেসকোর তদানীন্তন মহাপরিচালক ইরিনা বুকভা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার হিসেবে ট্রি অব পিস দিয়েছিলেন।

হেদভা সারের নিজের এক প্রবন্ধ অনুযায়ী ট্রি অব পিস ভাস্কর্যটি প্রথম স্থাপন করা হয় ২০০৭ সালে ইসরায়েলের জেরুজালেমে হিব্রু ইউনিভার্সিটিতে। এরপর যুক্তরাষ্ট্র, মাল্টা, আজারবাইজান, ফ্রান্স, গ্রিস, লুক্সেমবার্গ, আবুধাবি, উজবেকিস্তান, চীনসহ বিভিন্ন দেশে এই ভাস্কর্যের প্রতিরূপ স্থাপন করা হয়। ২০১২ সাল থেকে ইউনেসকোর আনুষ্ঠানিক উপহার হিসেবে ট্রি অব পিস-এর প্রতিরূপ বিভিন্ন সময়ে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং, কিউবার সাবেক প্রেসিডেন্ট রাউল কাস্ত্রো, ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিমন পেরেজ, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন, গ্রিসের প্রেসিডেন্ট প্রকপিস পাবলোপলাস, জর্ডানের রাজা আবদুল্লাহসহ অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিকে দেওয়া হয়েছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
সাড়ে ৪ মাসে ১৮৮ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, বিশেষজ্ঞরা যেসব বিষয়কে দায়ী করছেন - dainik shiksha সাড়ে ৪ মাসে ১৮৮ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, বিশেষজ্ঞরা যেসব বিষয়কে দায়ী করছেন শতভাগ ফেল স্কুল-মাদরাসার বিরুদ্ধে ব্যবস্থার উদ্যোগ - dainik shiksha শতভাগ ফেল স্কুল-মাদরাসার বিরুদ্ধে ব্যবস্থার উদ্যোগ দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত শিক্ষা কর্মকর্তা - dainik shiksha দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত শিক্ষা কর্মকর্তা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে শ্রীপুরে গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর ভাইয়ের প্রার্থিতা বাতিল - dainik shiksha শ্রীপুরে গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর ভাইয়ের প্রার্থিতা বাতিল এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে - dainik shiksha এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে বিএনপি-জামায়াত মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ করে দেয় : প্রধানমন্ত্রী - dainik shiksha বিএনপি-জামায়াত মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ করে দেয় : প্রধানমন্ত্রী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0025720596313477