গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়ে সংবিধান মেনে শপথ গ্রহণ করার কোনো প্রয়োজন হয় না। গণভুত্থানের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশে এসে এই শপথ শহীদ মিনার কিংবা রাজু ভাস্কর্যে না নেয়াই ছিলো তার প্রথম ভুল সিদ্ধান্ত। এবং সেটি তিনি না করে শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করেছেন বলে মন্তব্য করেন রাষ্ট্রচিন্তক ও কবি ফরহাদ মজহার।
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সেন্টার ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড পিস স্টাডিজের আয়োজনে দুর্নীতি ও রাষ্ট্রপতি বা সংস্কার শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ফরহাদ মাজহার বলেন, আমরা সবাই মিলে একটা গণঅভ্যুত্থান করেছি। গণঅভ্যুত্থানে কোথাও শপথ করার প্রয়োজন হয় না। যারা গুলির মুখে প্রাণ দিয়েছেন, যারা পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন তাদের প্রতি যথার্থ মর্যাদা আপনি দিতে পারতেন যদি শহীদ মিনারে বা রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে বলতেন, আমি ক্ষমতায় এসেছি, যেহেতু তুমি প্রাণ দিয়েছো, আমি ক্ষমতায় এসেছি তোমার রক্তের ওপর, আমি তোমার রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করব না। কিন্তু তা না করে যখনই আপনি বঙ্গভবনে ঢুকেছেন আপনি কিন্তু সেই শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করেছেন। তার কুফল এখন আপনারা দেখতে পাচ্ছেন এবং ভবিষ্যতেও দেখবেন।
নির্বাচনী শ্লোগান বা ফাঁদে পা না দিতে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ফরহাদ মজহার বলেন, নির্বাচন দিলেই মাফিয়া ও লুটেরারা ক্ষমতায় আসবে। তাই সেনা সমর্থিত নয়, পূর্ণ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি অন্তর্বর্তী সরকারের দাবি জানাই।
ফরহাদ মজহার আরো বলেন, জনগণের প্রতিনিধিদের দিয়ে আগে প্রশাসন ঢেলে সাজানো এবং পরে গণপরিষদের নির্বাচন দিতে হবে। তারপর হবে জাতীয় নির্বাচন। সে পর্যন্ত বিএনপিকে নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
কবি ফরহাদ মজহার বলেন, সরকারের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে গঠনতন্ত্র তৈরি করা। নির্বাচন কখনো গণতন্ত্রকে ধারণ করে না। রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করে দ্রুত একটি বিপ্লবী সরকার গঠন করা হোক।