‘নতুন কারিকুলামের নামে প্রজন্মকে ধ্বংসের নীল নকশা করা হয়েছে’

দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক |

নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়নের নামে সরকার প্রজন্ম ধ্বংসের নীলনকশা করেছে বলে দাবি করেছেন বইয়ের সম্পাদক হিসেবে পরিচিত রাখাল রাহা। 

সম্প্রতি শিক্ষা ও শিশু রক্ষা আন্দোলন (শিশির) এবং সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলন নামে ফেসবুকভিত্তিক দুটি ব্যানারের আহ্বায়ক পরিচয় দিচ্ছেন। তিনি আরো দাবি করেন, নতুন শিক্ষাক্রমের নামে প্রজন্মকে ধ্বংসের নীলনকশা করা হয়েছে। তার ভাষায়, প্রতিবাদ করায় অভিভাবক-শিক্ষকসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অবিলম্বে চারজনের মুক্তিও দাবি করেছেন রাখাল রাহা।   

ছবি : দৈনিক শিক্ষাডটকম

শনিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। ‘পরিকল্পিত শিক্ষাধ্বংসের কালপঞ্জী: ১৯৭২-২০২২’ শিরোনামে টাইপ করা কয়েকটি পাতা সরবরাহ করেন উপস্থিত সাংবাদিকদের। শিক্ষা ও শিশু রক্ষা আন্দোলন (শিশির) এবং সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলন যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে বলেও দাবি করা হয়।

রাখাল রাহার দাবি, নতুন কারিকুলামের নামে নতুন প্রজন্মকে ধ্বংসের যে নীল নকশা করা হয়েছে, তার প্রতিবাদ করায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

রাখাল রাহা দাবি করেন, এ পর্যন্ত যে কয়টি শিক্ষাক্রম বাস্তবায়িত হয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে খারাপ ও বাস্তবতাবিবর্জিত শিক্ষাক্রম হলো নতুন শিক্ষাক্রম। এ শিক্ষাক্রমের ফলে দেশে নিম্নমানের প্রচুর ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল সৃষ্টি হবে। এতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা বাইরে চলে যাবে।

সেমিনারে অর্ধশতাব্দীর বাংলাদেশের শিক্ষার বিভিন্ন স্তরের কিছু আয়োজনের ভেতরের চিত্র দেখিয়ে বলা হয়, যা সাদা চোখে দেখা যায়, তা মাইক্রোস্কোপ দিয়ে যিনি দেখতে বলেন, তার ভিন্ন ধান্দা আছে এবং এ বাংলাদেশে তাদের অভাব নেই।

সেমিনারে আলোচক ছিলেন অধ্যাপক সালেহ মতিন, অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান, অধ্যাপক আবদুস সাত্তার মোল্লা, অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন, অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খান, অধ্যাপক আবদুস সালাম প্রমুখ।

জানা গেছে, ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে নতুন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক নিয়ে সমালোচনা ও মিথ্যা তথ্য প্রচারের অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত ২৩ নভেম্বর ঢাকা থেকে তিনজন এবং টাঙ্গাইল থেকে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন- আবুল হাসনাত কবির (৫১), গোলাম রাব্বী (৩৭), জাহাঙ্গীর কবির ও কাজী পনির।
গত ২৩ অক্টোবর রাজধানীর মতিঝিল থানায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সহকারী সচিব আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা করেন। সেই মামলায় গ্রেফতারদের আদালতে হাজির করা হয়।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
পাঠ্যবইয়ের কাগজের বার্স্টিং ফ্যাক্টর কমানোর ধান্দায় মুদ্রাকররা - dainik shiksha পাঠ্যবইয়ের কাগজের বার্স্টিং ফ্যাক্টর কমানোর ধান্দায় মুদ্রাকররা বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ না পাওয়া শিক্ষকদের তথ্য আহ্বান - dainik shiksha বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ না পাওয়া শিক্ষকদের তথ্য আহ্বান কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে শিক্ষক শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহে ফের ই-রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ - dainik shiksha শিক্ষক শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহে ফের ই-রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ ববি উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আল্টিমেটাম - dainik shiksha ববি উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আল্টিমেটাম এসব কিন্তু শিক্ষার্থীদের কাজ নয় - dainik shiksha এসব কিন্তু শিক্ষার্থীদের কাজ নয় প্রাথমিকের দুই ফুটবল টুর্নামেন্টের নাম বদলে গেলো - dainik shiksha প্রাথমিকের দুই ফুটবল টুর্নামেন্টের নাম বদলে গেলো please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0031509399414062